মুক্ত আকাশের নীচে রোদ বৃষ্টি মশা মাছি অন্ধকার উপেক্ষা করে সরকারী প্রাথমিক শিক্ষকেরা অনশনরত। তাঁদের দুটো দাবী: ন্যায্য বেতনক্রম, এবং প্রতিবাদ করার শাস্তি হিসেবে শিক্ষকদের দূরে দূরে বেআইনি বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা।
সমস্ত নাগরিক সমাজের চোখের সামনে ‘নিপীড়িত’ শিক্ষক সমাজের এই অনশন আন্দোলনের চেয়ে ‘লজ্জার কিছু নেই’। লিখিত বিবৃতিতে জানালেন শঙ্খ ঘোষ।
আবারও কিছু ন্যায্য দাবি নিয়ে এ রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষিকারা সরকারের কাছে কিছু আবেদন জানিয়েছিলেন। কোনও কোনও প্রসঙ্গে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করতে চাননি বা পারেননি সরকারপক্ষ। এটা প্রায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার যে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা প্রায় অর্ধেক বেতন পান। শিক্ষার বা প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে যে বিন্দুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে — মনে হয় সে-বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। এর প্রতিবাদে সংগতভাবেই নিপীড়িত শিক্ষকসমাজ আজ আন্দোলন করছেন। কোনওরকম সদর্থক প্রতিক্রিয়া না মেলায় শেষপর্যন্ত আঠারোজন ইতিমধ্যেই আমরণ অনশনের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন আজ পাঁচদিন হল। সমস্ত নাগরিক সমাজের চোখের সামনে এটা যে ঘটতে পারছে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের নিজেদের নিতান্ত অসহায় বলে মনে হয়। তবুও আমরা শুধু এইটুকু আশা করে থাকতে চাই যে, অবস্থাবিবেচনায় সরকারের কোনও সুচেতনা হবে, এবং এই অবর্ণনীয় দুর্দশা থেকে প্রাথমিক শিক্ষকসমাজের মুক্তির একটা ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। – শঙ্খ ঘোষ
প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দেখুন https://www.groundxero.in/2019/07/10/primary-teachers-movement-in-west-bengal/ ও https://www.groundxero.in/2019/07/16/primary-school-teachers-on-hunger-strike/