সাক্ষী মালিকের অবসর, ভিনেশ ফোগাটের খোলা চিঠি ও পিতৃতান্ত্রিক রাষ্ট্রতন্ত্র


  • December 26, 2023
  • (0 Comments)
  • 475 Views

যেভাবে চোখের জল গিলে নিতে নিতে সাক্ষী মালিক কুস্তি লড়ার জুতোর পাটি টেবিলে তুলে অবসর ঘোষণা করেছেন তা এ দেশের প্রতিটি মেয়ে যারা নিজের পরিচিতিতে বাঁচার, লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন – তাঁদের শিরদাঁড়ায় ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দিতে বাধ্য। স্রেফ মেয়ে হওয়ার জন্য, যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়ার জন্য একজন ক্রীড়াবিদের এহেন পদক্ষেপ, এহেন অপমান যদি আমাদের অস্বস্তিতে না ফেলে, যদি আমাদের নিশ্চিন্ত ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায়, তাহলে মেনে নিতে হয় পিতৃতন্ত্র জিতে গেল। লিখলেন সুদর্শনা চক্রবর্তী

 

 

কিছু যায় আসে না। আসলেই কিছু যায় আসে না। এই গোটা দেশের, আমার, আপনার কারওরই কিছু যায় আসে না – সাক্ষী মালিক অবসর নিয়ে নিলে। আমাদের বছর শেষের ফূর্তি আছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ আছে, নিজেদের রাজনৈতিক (বা অরাজনৈতিক) অবস্থান নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বিশ্লেষণ আছে। শুধু যা নেই তা হল একটু বসে ভাবা – সাক্ষী মালিকের অবসর নিয়ে নেওয়া ঠিক কোন দিকে ইঙ্গিত করছে। তাতে সত্যিই আমাদের কিছু আসে যায় কি না?

 

সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং, খেলোয়াড়দের (যার মধ্যে নাবালিকাও ছিলেন) যৌন হেনস্থার দায় অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁর অপসারণের দাবি নিয়ে সাক্ষী ও তাঁর মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কুস্তিতে পদকপ্রাপ্ত ভারতীয় কুস্তিগিরেরা দিনের পর দিন দিল্লিতে ধর্ণায় বসেছেন, তাঁদের উপর নেমে এসেছে পুলিশি জুলুম তবু তাঁরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থামাননি, গঙ্গায় পদক বিসর্জনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা।

 

সেই সময়েই সাক্ষীদের রাগ, ক্ষোভ, চোখের জল, অধিকারের দাবি খবর হয়েছিল, কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব তো ফেলেনি। আমরা আসলে বুঝিনি যে এটাই আমাদেরও জীবন। যেখানে মেয়েদের কাজ, তাঁদের যৌন হেনস্থা সরকার, প্রশাসন, ক্ষমতায় থাকা মানুষদের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। সাক্ষীদের প্রতিবাদ আন্দোলন দিনের পর দিন উপেক্ষা করা, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ না নেওয়া, খোদ ব্রিজভূষণের বক্তব্য ইত্যাদি থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছিল সরকার ব্রিজভূষণের মতো হেনস্থাকারীর পাশে দাঁড়াচ্ছে শুধু নয়, খেলোয়াড়দের, মহিলা খেলোয়াড়দের যৌন হেনস্থার অভিযোগকে কার্যত নাকচ করে দিচ্ছে।

 

চাপের মুখে এবং অন্যান্য কয়েকটি গণ আন্দোলনের কর্মীরা প্রতিবাদরত কুস্তিগিরদের সমর্থনে এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত আইনি পদক্ষপ যখন নেওয়া হল, তখনও সেখানে অজস্র ফাঁক রয়েই গেল। নাবালিকা অভিযোগকারীর পরিবার শেষ মুহূর্তে কেন অভিযোগ বদলে দেন, কেন অভিযোগকারীদের বলা হয় হেনস্থার সময়কালীন প্রমাণ উপস্থিত করতে – সেসব প্রশ্ন চোখের সামনে থাকলেও, কেউ তা নিয়ে বিশেষ কথা বলে না। ব্রিজভূষণকে প্রেসিডেন্ট-এর পদ থেকে সরানো হয়, তবে নির্বাচন ও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে টালবাহানা অব্যহত থাকে।

 

সঞ্জয় সিং – সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট – ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাঁর এই পদে মনোনীত হওয়া প্রমাণ করে দেয় ক্ষমতার আস্ফালন ও সরকারিভাবে তার সমর্থন কতটা জোরদার হতে পারে। ব্রিজভূষণের পদে না থাকা, সিস্টেম-এর বদল নয়, তাঁরই মতো, তাঁরই ঘনিষ্ঠ কেউ সেই পদ পেয়ে যান। অর্থাৎ সিস্টেম চলবে একইভাবে, যেখানে যতই কেউ খেলোয়াড় হোন, যতই দেশ-বিদেশের পদক নিয়ে আসুন, দেশের ‘বেটি’ হলেও আপনি মহিলা হলে, নিছকই একটি শরীর। তা ব্যতিরেকে আর কিছুই নন।

 

এ দেশের মহিলাদের নিরাপত্তার হিসেব-নিকেশ করতে গেলে গত দশ-এগারো বছরে আইনের কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়লেও, বাস্তবের ছবিটা বদলায় না। ঘরের ভেতরে, পড়াশোনার জায়গায়, কর্মক্ষেত্রে এবং খেলাধূলার পরিসরে – মেয়েদের শত-সহস্র বাধা সরাতে সরাতে এগিয়ে যাওয়াটা যত দৃশ্যমান হয়েছে, ততই তাকে শরীর সর্বস্ব প্রমাণ করতে চাওয়ার মানসিকতা স্পষ্ট হয়েছে। এবং এ শুধুই পিতৃতান্ত্রিক পারিবারিক, সামাজিক মানসিকতা নয়। এর পেছনে রাষ্ট্রের, সরকারের সুস্পষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

 

বর্তমানে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ ও সনাতন হিন্দু তথা ভারতীয় নারীদের ঐতিহ্য-পরম্পরা তুলে ধরার যেসব কর্মসূচী তার আড়ালে চলে মেয়েদের প্রতি আরও বেশি করে বৈষম্য, হিংসা, হেনস্থার বাড়িয়ে চলার খেলা। যা সামনে চলে আসলেই বিপদ। তখনই এই কুস্তিগিরদের লড়াই, আন্দোলনকে অদেখা করে দেওয়ার মতো, সেগুলিকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার মতো, নিজেদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি দিয়ে তাদের দাবি-দাওয়ার উপর ‘বুলডোজার’ চালিয়ে দেওয়া এবং নাম-কা-ওয়াস্তে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আন্দোলনকে আরও ছোট করে দিয়ে, রাষ্ট্রের পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতার পেশি প্রদর্শন স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

 

সঞ্জয় সিং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের অবসর ঘোষণা করেন সাক্ষী মালিক। ন্যায়বিচার এভাবে উপেক্ষিত হওয়া, মহিলা কুস্তিগিরদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত না হওয়া, একজন অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ ফেডারেশনের শীর্ষ পদে মনোনীত হওয়ার বিরুদ্ধেই তাঁর এই প্রতিবাদ। অবশ্য তা মহামান্য সরকারের কানে কতটা পৌঁছবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে যায়।

 

অপর আর এক মহিলা কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখে নিজের পাওয়া জাতীয় সম্মান – মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন ও অর্জুন পুরস্কার ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। সঞ্জয় সিংয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিতর্কেই ভিনেশের এই সিদ্ধান্ত। তাঁর চিঠিতে উল্লেখযোগ্য হল, তিনি বলেছেন – “শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানোর জন্যই কি মহিলা কুস্তিগিরদের রাখা হয়েছে? আমি আমার সম্মান-মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই। তাই জাতীয় সম্মান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।“

 

ভিনেশের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট অন্য যেকোনও পেশাদার ক্ষেত্রের মতোই ক্রীড়াজগত ও কুস্তির মতো শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের খেলাতেও মহিলাদের অবস্থানকে ক্ষমতায় থাকা মানুষেরা, সরকার-প্রশাসন নিছক ‘শো-পিস’ হিসাবেই দেখে আসে। সেখানে তাঁদের শুধু নিজেদের যোগ্যতা, দক্ষতা প্রমাণ করতে হয় না, পুরুষদের নিরিখে তাদের সঙ্গে যে বৈষম্য চলে তা দূর করতে কয়েক গুণ বেশি পরিশ্রম করে যেতে হয়। তারপরেও চলে যৌন হেনস্থা, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা তটস্থ হয়ে থাকার মতো মানসিক চাপ।

 

এই চিঠিতে কেন্দ্রের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার দিকটি স্পষ্ট হয়ে গেছে, যেখানে তাঁরা কেবলই প্রকল্পের, সাফল্যের মুখ। বাস্তবে ক্ষমতাবান পুরুষ শীর্ষ ব্যক্তির দ্বারা হেনস্থা হলে যে সরকার উদাসীন। ভিনেশের চিঠি একজন মহিলার, একজন ক্রীড়াবিদের সেই সম্মানের দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চোখ ফেরাতে বলে ‘শো-পিস’ হয়ে থাকার দিকে নয়, একজন মহিলার যোগ্য মর্যাদার দিকে।

 

ইতিমধ্যে রবিবার ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রের ক্রীড়ামন্ত্রক সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করেছে। কারণ সদ্য নির্বাচিত কমিটি আন্ডার-ফিফটিন ও আন্ডার-টোয়েন্টি জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা করে দেয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ছাড়া ও খেলোয়াড়দের কাছে নোটিস না পাঠিয়েই। এরই পাশাপাশি নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি করে ব্রিজভূষণ শরণ সিং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুস্তি থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

 

এই দুই বিষয়ের অঙ্ক কোথায় গিয়ে যেন এক মনে হয়। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক তৎকালীন প্রেসিডেন্ট-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার একাধিক অভিযোগে প্রবল আন্দোলনের মাঝেও দীর্ঘ সময় নিশ্চুপ হয়ে, কোনও রকম পদক্ষেপ না নিয়ে বসেছিল। অথচ এখন তুলনামূলকভাবে নিতান্তই এক ছোট অভিযোগে ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করা হল। তা কি সঞ্জয় সিংকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক, বিক্ষোভ সামলাতে? ব্রিজভূষণের হঠাৎ অবসর নেওয়া, তাও আবার দলের সভাপতিকে জানিয়ে – রাজনীতির আবেগকে কাজে লাগিয়ে মূল অভিযোগ থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কী হতে পারে?

 

অন্যদিকে যা খুব বেশি সামনে আসছে না তা হল, আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা ‘ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং’ (ইউডব্লিউডব্লিউ) – সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনে সাসপেন্ড করে দিয়েছিল, সময় মতো নির্বাচন না হওয়ায়। তখন ব্রিজভূষণ বিতর্ক তুঙ্গে। এবং গত শনিবার ২৩ ডিসেম্বর তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মহিলা খেলোয়াড়দের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে না পারলে সাসপেনশন উঠবে না। তারা এ কথা জানিয়েছে সঞ্জয় সিংয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই। সঞ্জয় সিং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এই সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন করলেও, ইউডব্লিউডব্লিউ তাতে কর্ণপাত করেনি। বরং তার মুখপাত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সঞ্জয় সিং-এর নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়া বিষয়ে বলেছেন, “সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আগে আমাদের পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। এই নির্বাচন আদৌ বৈধ কি না, সঠিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে কি না, তা বোঝা দরকার। সেইসঙ্গে জাতীয় ফেডারেশনের তরফে সরকারি তথ্য, ন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির সম্মতি এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া জানতে হবে।”

 

আন্তর্জাতিক কমিটি যেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত সেখানে আমাদের দেশের ক্রীড়ামন্ত্রক, প্রশাসন, সরকার তা নিয়ে নীরব শুধু নয়, তাকে উপেক্ষা করার পথ নিয়েছে। মনোভাব অনেকটা এরকম – যেকোনও ক্ষেত্রেই মেয়েরা প্রবল পরাক্রমী পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্রের হাতের পুতুল।

 

আশার কথা পুরুষ কুস্তিগিরেরা শুরু থেকেই এই আন্দোলনের সহযোদ্ধা। এখনও রয়েছেন। গণ আন্দোলনের একাংশ এই আন্দোলনের পাশে রয়েছেন। দেশের নাগরিকদের একটা অংশ যারা চোখের সামনে ভারতের মেয়েদের কেন্দ্রের বিজেপি শাসনের আমলে ঘরে-বাইরে হিংসার শিকার হওয়া কতটা বেড়েছে তা বুঝতে পারছেন, তারাও সাক্ষীদের সঙ্গে আছেন।

 

সাক্ষী মালিক জানিয়েছেন, তিনি অবসর প্রত্যাহারের কথা চিন্তা করতে পারেন হয়তো। তিনি যদি অবসর ফিরিয়ে নেন, তার থেকে সুখবর আর কীই বা হতে পারে। কিন্তু যেভাবে, চোখের জল গিলে নিতে নিতে তিনি কুস্তি লড়ার জুতোর পাটি টেবিলে তুলে অবসর ঘোষণা করেছেন তা এ দেশের প্রতিটি মেয়ে যারা নিজের পরিচিতিতে বাঁচার, লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন – তাঁদের শিরদাঁড়ায় ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দিতে বাধ্য। স্রেফ মেয়ে হওয়ার জন্য, যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়ার জন্য একজন ক্রীড়াবিদের এহেন পদক্ষেপ, এহেন অপমান যদি আমাদের অস্বস্তিতে না ফেলে, যদি আমাদের নিশ্চিন্ত ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায়, তাহলে মেনে নিতে হয় পিতৃতন্ত্র জিতে গেল।

 

যে ছোট্ট মেয়েটি এই দেশেরই পতাকা জড়িয়ে, এই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গাইতে সাক্ষী মালিককে একের পর এক পদক জিততে দেখে কুস্তিগির হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে, তার কাছে এই পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত যেন কোনও ক্ষমতাসীন দলের সম্পত্তি হয়ে না ওঠে, পিতৃতন্ত্রের চোখরাঙানি তাকে যেন সুরক্ষার নামে ঘরবন্দী করে না ফেলে – এই দায় আমাদের রয়ে যায়।

 

Share this
Leave a Comment