মিড ডে মিল কর্মীদের আন্দোলনের পাশে রাজ্যের বিদ্বৎসমাজ


  • May 29, 2023
  • (0 Comments)
  • 869 Views

“এঁদের দাবিগুলির মধ্যে আছে আমাদের শিশুদের মহত্তর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। তাই এঁদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য বলে আমরা মনে করি।” বিদ্বৎসমাজের জনবিবৃতি।

 

গ্রাউন্ডজিরোর প্রতিবেদন | ২৯ মে, ২০২৩

 

এ বছরের একদম শুরুতেই হঠাৎ ঘোষণা—প্রতি সপ্তাহে পড়ুয়া পিছু মিড ডে মিলের বরাদ্দ ২০ টাকা করা হল। তবে তা চার মাসের জন্য। নিন্দুকেরা বললেন, পঞ্চায়েত ভোট আসছে এ ঘোষণা তারই ইঙ্গিত। অভিভাবকদের খুশি করা।
বরাদ্দ বাড়ায় পড়ুয়াদের পাতে ফল, ডিম, মাংস পড়ল। চার মাস কাটতে না কাটতেই তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ হল মিড ডে মিল। চার মাস পার হয়ে গিয়েছে। স্কুল খুললে কি ফের সেই আলুর ঝোল, সয়াবিন আর সপ্তাহে একদিন ডিম? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

 

অথচ, মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়ানো, সহায়িকাদের কাজের স্বীকৃতি, ন্যূনতম মজুরির দাবি নিয়ে কথা উঠছে অনেকদিন। রাজ্যের মিড ডে মিল সহায়িকাদের অন্যতম সংগঠন “অ্যাসোসিয়েশন অব মিড ডে মিল অ্যাসিস্ট্যান্টস” বা আম্মা বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠিত ভাবে এবং গণতান্ত্রিক পথে এ বিষয়ে তাঁদের দাবি তুলে ধরছেন। তাঁদের প্রধান প্রধান দাবিগুলি থেকে স্পষ্ট খাদ্যের অধিকারের অন্তর্ভুক্ত এই প্রকল্পটি ঘিরে যা চলছে, যেভাবে চলছে—সেখানে কারোর অধিকারই সুরক্ষিত নয়। না পড়ুয়াদের, না রাঁধুনি দিদিদের। কেননা পড়ুয়ারা যথেষ্ট পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবং সহায়িকারা যেমন সামান্য বরাদ্দে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে পুষ্টিকর খাদ্য তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন, তেমনই তাঁদের একরকম ‘বেগারি’ খাটতে হচ্ছে।

 

এই কথাগুলো এবার আরও জোরেসোরে জানান দেওয়ার জন্য আম্মার সদস্যরা ‘কলকাতা চলো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে : মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বাড়ানো, বিদ্যালয়ের সব ছাত্রছাত্রীকে মিড-ডে মিলের আওতায় আনা, মিড-ডে মিল কর্মীদের সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি দেওয়া ও চাকরির স্বীকৃতি দেওয়া, বারো মাসের মজুরি দেওয়া, মাতৃত্বকালীন ছুটি সহ বোনাস, পেনশন, দুর্ঘটনা ভাতা দেওয়া এবং কেউ মারা গেলে পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া।

 

আম্মা-র পক্ষ থেকে সুপর্ণা ঘোষ, সেলিমা বিবি, বনশ্রী বড়ালরা জানিয়েছেন, “কলকাতা চলো” কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বেলা ১২টায় শিয়ালদা থেকে রামলীলা ময়দান হয়ে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত একটি মিছিল করা হবে। মিছিল শেষে সেখানে সভা এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে।

 

২৮ মে, ২০২৩, কলকাতা প্রেস ক্লাবে মিড-ডে মিল কর্মীদের আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্যের বিদ্বৎসমাজ এবং অন্যান্য সমাজ-প্রসারী নাগরিকদের পক্ষ থেকে একটি জনবিবৃতি প্রকাশ করেন অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী ও অশোক সরকার, সমাজকর্মী কুমার রাণা, সাংবাদিক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় ও দেবাশিস আইচ, মিড-ডে মিল কর্মী সুপর্ণা ঘোষ ও অন্যান্যরা।

 

তাঁদের মতে, দেশের অন্যতম উন্নয়ন প্রকল্প হল মিড ডে মিল। এই সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে প্রকল্পটি চালু হবার পর, যত দিন গেছে ততই এর প্রাসঙ্গিকতা জনমানসে স্বীকৃতি লাভ করে চলেছে। এতৎসত্ত্বেও, এই প্রকল্পের রূপায়ণে যতটা গুরুত্ব দেবার কথা তা দেওয়া হচ্ছে না, ফলে এর রূপায়ণে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যাগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনা হলেও এই প্রথম কোনো সংগঠিত আকারের আন্দোলন উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে। আন্দোলনের আয়োজক হচ্ছেন যাঁরা স্কুলস্তরে মিড-ডে মিল রান্না করেন ও বাচ্চাদের পরিবেশন করেন সেই কর্মীরা। তাঁদের দাবিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

জনবিবৃতিতে তাঁরা জানান, “এঁদের দাবিগুলির মধ্যে আছে আমাদের শিশুদের মহত্তর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। তাই এঁদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য বলে আমরা মনে করি।” বিবৃতিটি এখানে দেওয়া হল।

 

মিড ডে মিল কর্মীদের আন্দোলনের সমর্থনে জনবিবৃতি

 

দেশের অন্যতম উন্নয়ন প্রকল্প হল মিড ডে মিল। এর আওতায় এসেছে দেশের সমস্ত সরকারি ও সরকার-পোষিত স্কুলের প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক শ্রেণিতে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের বাচ্চাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করাই এই প্রকল্পের বিশেষত্ব। এর একটা দিক হল দেশের শিশুদের পুষ্টির ব্যবস্থা করা, আর অন্য দিকটা হল স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিসাধন। শুরুর দিকে নানা বিরূপ ধারণা থাকলেও, যত দিন গেছে ততই এই প্রকল্পের প্রাসঙ্গিকতা জনমানসে স্বীকৃতি লাভ করে চলেছে।

 

এতৎসত্ত্বেও, সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের রূপায়ণে যতটা গুরুত্ব দেবার কথা তা দেওয়া হচ্ছে না। এতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ৫.৪৫ টাকা, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম পর্যন্ত  ৮.১৭ টাকা। যদিও এই হিসেবের মধ্যে চাল পড়ে না, তা সরবরাহ করে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, এই টাকায় উপকরণ কেনা, জ্বালানীর খরচ, ইত্যাদি দিয়ে মিড-ডে মিল চালানো যে কত কঠিন তা কেবল যাঁরা চালান তাঁরাই জানেন। প্রায়শই বাজারদরের সঙ্গে বরাদ্দের ঘোর অসঙ্গতির কারণে, মানোপযোগী এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে পারা যাচ্ছে না।

 

দ্বিতীয়ত, এই প্রকল্পের যাঁরা প্রধান রূপকার, সেই পাচিকাদের জন্য যে পারিশ্রমিক বরাদ্দ তা সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে অনেক কম — ঠিকমতো হিসেব করলে দিনে মাথাপিছু বড়জোর কুড়ি-পঁচিশ টাকা। বছরে বারো মাসের টাকাও তাঁদের দেওয়া হয় না, যেহেতু স্কুল দু’মাস ছুটি থাকে! এঁদের ছুটি নেই, বোনাস নেই, দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ নেই, মাতৃত্বকালীন ছুটি নেই। অবসরের সময় কোনও পেনশন নেই, ডিএ নেই, হঠাৎ মারা গেলে পরিবারের একজন যে কাজ পাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। এই দেড় হাজার টাকা মজুরি চলছে গত দশ বছর ধরে, কর্তারা একে মজুরিও বলেন না, বলেন ভাতা, সরকারী কর্মীর স্বীকৃতিও নেই।

 

অথচ, আমাদের দেশেই তামিলনাড়ুতে ১৯৮৩ সাল থেকেই দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল চলে, সপ্তাহ পাঁচদিন ডিম, কর্মীরা তিনটি স্কেলে বেতন পান মোটামুটি ৯,০০০ টাকা থেকে ১৬,০০০ টাকা পর্যন্ত, অবসরের পর যৎসামান্য হলেও পেনশন পান, আছে সরকারী কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি। কেরালাতেও মিড-ডে মিলের মান উন্নত। তাঁরা গড়ে ১০,০০০ টাকার কাছাকাছি বেতন পান। এই সব রাজ্যের কর্মীরা উন্নততর ব্যবস্থার জন্য লড়ছেন।

 

আর আমাদের রাজ্যে মিড-ডে মিল কর্মীরা সংগঠিত হতে হচ্ছে ন্যূনতম পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনাটুকুর জন্য। তাঁদের দাবিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মধ্যে আছে : মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বাড়ানো, প্রতিদিন ডিম, স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের এর আওতায় আনা, মিড-ডে মিল কর্মীদের সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ও চাকরির স্বীকৃতি, মাতৃত্বকালীন ছুটি সহ, বোনাস, পেনশন, দুর্ঘটনা ভাতা, কেউ মারা গেলে পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া, বারো মাসের মজুরি, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় মোতাবেক মিড-ডে মিল কর্মীদের ‘বেগার শ্রম’ বন্ধ করা, মিড-ডে মিল তদারকিতে অভিভাবকদের যোগদান সুনিশ্চিত করা।

 

এঁদের দাবিগুলির মধ্যে আছে আমাদের শিশুদের মহত্তর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। তাই এঁদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য বলে আমরা মনে করি।

 

**********

অঙ্কিতা মুখার্জী (চাকরিজীবী), অচিন চক্রবর্তী (অধ্যাপক), অঞ্জন বসু (স্ব-নিযুক্ত), অঞ্জনা মঙ্গলগিরি (শিক্ষাবিদ), অনিতা অগ্নিহোত্রী, (লেখক ও প্রাক্তন আই এ এস), অনিতা দিঘে (অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী), অনিন্দ্য সরকার (অধ্যাপক), অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় (সাংবাদিক), অনির্বাণ ভট্টাচার্য (নাট্যকর্মী), অনুপম বসু (অধ্যাপক), অনুরাধা ধুরু (সমাজকর্মী), অনুরাধা ব্যানার্জি (সমাজকর্মী), অপুর্ব গুপ্ত (সমাজকর্মী), অমর্ত্য বসু (সমাজকর্মী), অমিত ভাদুড়ী (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), অমিতা চট্টোপাধ্যায় (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), অমিতি সেন, অশেষ রায়চৌধুরী (চিকিৎসক), অশোক গঙ্গোপাধ্যায় (অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি), অশোক যাদব (সমাজকর্মী), অশোক সরকার (অধ্যাপক), অশোকেন্দু সেনগুপ্ত (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), অশোকরঞ্জন ঠাকুর (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), আকাশ ভট্টাচার্য (সমাজকর্মী), আফরোজা খাতুন (অধ্যাপক), আফলাতুন (সমাজকর্মী), আভা (সমাজকর্মী), আয়েষা (সমাজকর্মী), আলবার্তিনা আলমেদিয়া (অ্যাডভোকেট), আশিস কাজলা (গবেষক), ইসমাইল দরবেশ (ঔপন্যাসিক), উর্বা চৌধুরী (চাকরিজীবী), ঋক চট্টোপাধ্যায় (অধ্যাপক), ঋতজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় (সমাজকর্মী), ঋতজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় (সমাজকর্মী), ঋদ্ধি সেন (নাট্যকর্মী), এ এল সারদা (সমাজকর্মী), কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর (লেখক), কবিতা চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী), কুমার রাণা (সমাজকর্মী), কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় (সমাজকর্মী), কৈলাশ মিনা (সমাজকর্মী), কৌশিক সেন (নাট্যকর্মী), ক্রিষ্টি নাগ (সমাজকর্মী), গুরুপ্রসাদ কর (অধ্যাপক), গোপা সামন্ত (অধ্যাপক), চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় (শিক্ষক), জগদীশ খইরালিয়া (সমাজকর্মী), জন দয়াল (লেখক), জয়ন্ত ঘোষ (সমাজকর্মী), জিতেন নন্দী (সমাজকর্মী), জিতেন নন্দী (সমাজকর্মী), জোসেফ মুণ্ডা (সমাজকর্মী), জ্যোতি এস জে (সমাজকর্মী), টিংকু খান্না (সমাজকর্মী), তনিকা সরকার (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), তনুকা রায় (স্ব-নিযুক্ত), তনুশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, তৈষী রায় (স্ব-নিযুক্ত), তারা মুরলী, তৃষাণ বসু (ছাত্র), দিলীপ ঘোষ, (অবসরপ্রাপ্ত আই এ এস), দেবমাল্য নন্দী, দেবাশিস আইচ (সাংবাদিক), দেবাশীষ সেনগুপ্ত , দেবী চ্যাটার্জি, (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), দ্বিজি গুরু (সমাজকর্মী), নীলাক্ষী ভট্টাচার্য, পরান অমিতাভ (গবেষক), পি রোহিনী রাজশেখরণ (লেখক), পীযূষ রায় (অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী), প্রবাল দাসগুপ্ত (অধ্যাপক), প্রসাদ চাকো (সমাজকর্মী), প্রসেনজিত বসু (অর্থশাস্ত্রী), প্রীতি আর (সমাজকর্মী), বিজয় চন্দ (অ্যাডভোকেট), বিনায়ক সেন (সমাজকর্মী), বিনীত (সমাজকর্মী), বিপ্লব বন্দোপাধ্যায় (সমাজকর্মী), বীণা শত্রুঘ্ন (বিজ্ঞানী), বোলান গঙ্গোপাধ্যায় (সমাজকর্মী), ভারতী এম (সমাজকর্মী), ভাস্কর চক্রবর্তী (চিকিৎসক), মধু প্রসাদ (সমাজকর্মী), মধুমঞ্জরী চক্রবর্তী (শিক্ষক), মনন মণ্ডল (অধ্যাপক), মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় (শিক্ষিকা), মীরা সঙ্ঘমিত্রা (সমাজকর্মী), মীরাতুন নাহার (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), মুসা আলি (ঔপন্যাসিক), মেঘনা মেহরা (সমাজকর্মী), মৈনাক বিশ্বাস (অধ্যাপক), মোহিত রণদীপ (মনোবিদ), রচনা মুদ্রাবোয়িনা (সমাজকর্মী), রমা মেলকোট (অধ্যাপক), রাংতা মুন্সি (সমাজকর্মী), রাজশেখর (সমাজকর্মী), রাজারাম সুন্দরেসন (সমাজকর্মী), রিতা বসু (ঔপন্যাসিক), রুনু (সমাজকর্মী), রেশমী সেন (নাট্যকর্মী), শরণ্যা নায়ক (সমাজকর্মী), শিবানী (সমাজকর্মী), শুভেন্দু দাশগুপ্ত (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), শুভ্রা দাস (চাকরিজীবী), শ্রীরাধিকা মজুমদার (চাকরিজীবী), সজয় কাকরলা (সমাজকর্মী), সঞ্জয় কুমার (সমাজকর্মী), সতীশ মিশ্র (সাংবাদিক), সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (লেখক), সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (লেখক), সব্যসাচী রায় (অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী), সাত্যকি ব্যানার্জি (সমাজকর্মী), সিমন্তিনী মুখোপাধ্যায় (অধ্যাপক), সিমোনা সাহনি (অধ্যাপক), সুকান্ত চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক), সুজাত ভদ্র (মানবাধিকার কর্মী), সুজাতা মাধোক (সাংবাদিক), সুপ্রিয়া চৌধুরী (অবসরপ্রারপ্ত অধ্যাপক), সুমন কল্যাণ মৌলিক (শিক্ষক), সেবতি আয়েঙ্গার (রয়্যাল চেন, ফ্রান্স), সোমা চ্যাটার্জি (সমাজকর্মী), সৌমেন্দ্র রায় (সমাজকর্মী), স্বাতী চ্যাটার্জি (সমাজকর্মী), স্বাতী ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), হাসনাইন ইমাম (শিক্ষক)

 

Share this
Leave a Comment