GroundXero report
রানির রাজত্ব দূর করে মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছেলেন বিরসা। ডাক দিয়েছিলেন উলগুলান বা পূর্ণ যুদ্ধের। বিরসার জন্মদিনে পুরুলিয়ার ১২জন আদিবাসীর বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য এবং অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের করল পুরুলিয়া বনদপ্তর। অপরাধ, বনাধিকার আইন (২০০৬) অনুসারে গ্রামসভা গঠন। অপরাধ, অযোধ্যার বামনি ঝোরায় গ্রামসভার অধিকার প্রতিষ্ঠা। অযোধ্যা তথা পুরুলিয়ার ‘প্রকৃতি বাঁচাও ও আদিবাসী বাঁচাও মঞ্চ’-র মতে তো বটেই, গণতান্ত্রিক মানুষদের কাছেও বামনিতে গ্রামসভার পর্যটনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। অযোধ্যা পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্রিক উন্নয়নী প্রচেষ্টায় কোথাও আদিবাসীদের ন্যূনতম স্থান হয়নি। অথচ অযোধ্যার বন পাহাড় জীববৈচিত্র্যের তাঁরাই উত্তরাধিকারী। স্বাভাবিক এবং বর্তমানে বানাধিকার আইন অনুসারে আইনি উত্তরাধিকারের সূত্রেই বাড়ুয়াজারা দুলগুবেড়া বাঁধঘুটু গ্রামসভা বামনি ঝোরার রক্ষণাবেক্ষণ, প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষা, এবং স্থানীয় আদিবাসী যুবক-যুবতীদের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে পর্যটনকেন্দ্রের উদ্বোধন করে। বিরসা মুন্ডার স্বরেই— যাঁকে তাঁরা ধরতি আবা বলে মানেন—অযোধ্যা অভিযানে, আমাদের দেশ, আমাদের রাজ-এর ডাক উঠেছিল। বনদপ্তর, জেলা প্রশাসন, কায়েমি স্বার্থগোষ্ঠীর তা গায়ে লেগেছে। তাই এফআইআর সন্দেহ নেই—এমনই দাবি আদিবাসী বাঁচাও মঞ্চের।