গ্রাউন্ডজিরো প্রতিবেদন
সব হাতে কাজ, কাজের পুরো মজুরির দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধরনায় বসলেন ১০০ দিন প্রকল্পের শ্রমিকরা। দেশের ১৫টি রাজ্য থেকে কয়েকশো শ্রমিক ২অগস্ট থেকে ধরনা শুরু করেছেন। নরেগা সংঘর্ষ মোর্চার উদ্যোগে এই ধরনা চলবে আগামী ৪ অগস্ট পর্যন্ত। কোভিড অতিমারির সময় এই প্রকল্পে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ, কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকদের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল ছিল। উদ্যোক্তাদের দাবি দু’বছর পরেও সেই চাহিদা কিছু কমেনি। উল্টে উত্তরোত্তর চাহিদা বাড়ছে। অভিযোগ, চাহিদা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে একদিকে বাজেট বরাদ্দ কমাচ্ছে অন্যদিকে মজুরি দিতেও দেরি করছে। বিলম্বিত মজুরির সঙ্গে নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে নরেগার মজুরির কোনও সামঞ্জস্য নেই। এর ফলে প্রকল্পটি ক্রমে শক্তিহীন পড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতির রাজ্য কমিটির সদস্য অনুরাধা তলোয়ার ধরনা মঞ্চে বলেন, এই প্রকল্পের মজুরি এখনই দৈনিক ৬০০ টাকা করা উচিত। তাঁর যুক্তি, সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী এক জন সরকারি কর্মচারীর সর্বনিম্ন বেতন এর চেয়েও বেশি। পশ্চিমবঙ্গে গত ডিসেম্বর মাস থেকে বকেয়া থাকা মজুরির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, গত দুটি অর্থবর্ষের হিসাবে বাংলায় প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও বিহার, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার শ্রমিকরাও মজুরি বকেয়া থাকার অভিযোগ করছেন। এই শ্রমিকরা গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে কাজের আর্জি জানালেও সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। তিনি মনে করিয়ে দেন, আইন অনুযায়ী কাজ দিতে না পারলে সরকারকে বেকার ভাতা দিতে হবে। কিন্তু, শ্রমিকদের বঞ্চিত করে নরেগা আইনের অবমাননা করছে সরকার। সিপিআই সাংসদ বিনয় ভিশ্বম শ্রমিকদের জল-জঙ্গল-জমির দাবি সমর্থন করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে শ্রমিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা কৃষি ও নরেগা শ্রমিকদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
[pdf-embedder url=”https://www.groundxero.in/wp-content/uploads/2022/08/Press-note-day2-E.pdf” title=”Press note day2 (E)”]
It’s the right approach. Mere issuing statements makes no sense. The persons in power understand the language of agitation.