গ্রাউন্ডজিরো রিপোর্ট, ১৬/১২/২০২০
চলমান কৃষক সংগ্রামের সমর্থনে সর্বভারতীয় কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার ডাকে আজে রাজভবন অভিযানে অংশ নিলেন হাজার হাজার কৃষক। লাল ঝান্ডার পাশাপাশি উড়তে দেখা গেল তেরঙ্গা ঝান্ডাও। কমিউনিষ্ট বিপ্লবী ঘরানার কৃষক সংগঠনগুলি বামফ্রন্টের কৃষক সংগঠনগুলির সাথে মিছিলে হাঁটলেন। লাল, তেরঙ্গার বাইরেও অনেক সংগঠন অংশ নিলেন। যেমন যোগেন্দ্র যাদবের স্বরাজ পার্টির সংগঠন।
প্রায় কুড়ি দিন দিল্লি এবং বিভিন্ন পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির বর্ডারে অবরোধ করে রাস্তায় বসে রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবিতে চলছে নাছোড় লড়াই। এই লড়াইকে পুষ্ট করতে দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা নিয়েছে সংঘর্ষ কমিটি। তারই অংশ হিসাবে আজ কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যদিও রাজ্যপাল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করলেন না। ডেপুটেশন নেন অধীনস্ত অফিসাররা। তথাপি এই কর্মসূচি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এক জোরালো বার্তা দিতে পারল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আজ সমাবেশে বিপুল জনসমাগন ঘটে। উপস্থিত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার। রানি রাসমণী রোড ছাপিয়ে লোক চলে আসে জহর লাল নেহেরু রোডে। যদিও ছিল না কোনো স্টেজ। একটা মিনিট্রাককে মেক শিফট স্টেজ বানিয়ে বক্তৃতা চলল। মুখ্য বক্তা ছিলেন, সর্বভারতীয় কমিটির অন্যতম নেতা হান্নান মোল্লা। তিনি পরিষ্কারই বললেন, এখন আর পিছিয়ে আসার জায়গা নেই। আইনগুলির প্রতিটি লাইন কৃষক-বিরোধী। কোনো সংশোধনী দিয়েই কাজ হবে না। পাল্টালে পুরো আইনই পাল্টাতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই না করে আজ এক পা-ও এগোনো সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই, কৃষক আন্দোলন এক নতুন গতি লাভ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাস্তা তৈরি হবে রাস্তাতেই।