মহারাষ্ট্রের এক অজ পাড়াগাঁয়ের সেই আদিবাসী নারী মথুরার আজ বয়স হবে ৬৪/৬৫। ১৯৮৩-তে ধর্ষণ আইনের বড় রকম পরিবর্তন হওয়ার পর ৩৭ বছর কেটে গেছে। আমরা ক’জন জানি মথুরা কীভাবে বেঁচে আছেন? আমরা সত্যি কতটা কাজ করেছি সার্ভাইভারদের সম্মানের প্রশ্নটা নিয়ে, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ডিস্টিগমাটিজেশান’, সেটা বোধহয় ভেবে দেখা দরকার। লিখেছেন শর্মিষ্ঠা দত্তগুপ্ত।
“আবার সে এসেছে ফিরিয়া” বলে একগাল হাসতে হাসতে দাশু একেবারে সামনে এসে উপস্থিত। কী ভাবছেন? কেন দাশুকে নিয়ে এলাম খামোখা?
আসলে কী বলুন তো, করোনা আর লকডাউনের মধ্যে ১৪-১৫ বছরের মেয়েদের পটাপট বিয়ে, অষ্টপ্রহর মেয়ে-বউ বা বিকল্প লিঙ্গ-যৌন পরিচয়ের মানুষদের ওপর বাড়ির মানুষের নজরদারি/অত্যাচার—এসবের আগুন ধিকিধিকি জ্বললেও সেভাবে কুণ্ডুলী পাকিয়ে ধোঁয়া তো আকাশের দিকে ওঠেনি অথবা আমরা তার খবর রাখিনি। এই তো মাস খানেক আগে কাগজে পড়েছিলাম কুলতলিতে একটা স্কুলের মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে মেয়েটি বাপের বাড়ি ফিরে এসে আবার পড়াশোনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করায়, তার দাদা রাগের মাথায় বোনের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়। ভাগ্যিস কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় গুলিটা, তাই মেয়েটির হাতের কয়েকটা আঙ্গুল ঝলসে যাওয়া ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। মেয়েটি তার পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রোখ দেখাবার ফলে আগামী দিনগুলোয় কেমন থাকবে জানি না। এরকম তো কতই ঘটে। আমরা কী আর নড়েচড়ে বসি। নেহাত হাথ্রাসের মেয়েটির চিতার আগুনের ধোঁয়া নাকে এসে লেগেছে বলেই আমরা একটু গা তুললাম।
তা আবার যখন আমরা পথে নামছি, দু-কলম লিখছি যৌন হিংসা নিয়ে, তখন আমার প্রশ্ন এই যে ধর্ষণের মতো দুঃসহ অভিজ্ঞতাকে যাঁরা অতিক্রম করে লড়ে গেছেন, অর্থাৎ কিনা সার্ভাইভার, আইনি লড়াইয়ের দিকটা ছাড়া তাঁদের বেঁচে থাকা নিয়ে আমরা এত কম মাথা ঘামাই কেন? পারিবারিক হিংসার সার্ভাইভারদের জন্যে তবু কিছু জায়গায় কিছু সংস্থার মেলবন্ধন কেন্দ্র আছে, মানসিক সহায় পাওয়ার উপায় আছে। কিন্তু ধর্ষণ বা অ্যাসিড আক্রমণের মতো যৌন হিংসার ক্ষেত্রে কেন আমাদের অধিকাংশ লড়াই দোষীর শাস্তি ও আদালতের ন্যায়বিচারকে ঘিরে আবর্তিত হয়ে থমকে যায়?
সেটা কি এইজন্য যে আইনি লড়াইটা খুব দীর্ঘ, কঠিন ও ক্লান্তিকর? নাকি তাছাড়াও আমরা সাধারণভাবে কম গুরুত্ব দিয়ে থাকি সার্ভাইভারদের সামাজিক সম্মান, মানসিক ভালো থাকা ও আমাদের নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তনের ওপর? ধর্ষণ আইনের বৈপ্লবিক পরিবর্তনগুলো ’৭০-এর দশকের শেষে মথুরা নামের যে মেয়েটির ন্যায়বিচারের দাবির আন্দোলনের সূত্রে প্রথম সূচিত হয়েছিল, মহারাষ্ট্রের এক অজ পাড়াগাঁয়ের সেই আদিবাসী নারী মথুরার আজ বয়স হবে ৬৪/৬৫। ১৯৮৩-তে ধর্ষণ আইনের বড় রকম পরিবর্তন হওয়ার পর ৩৭ বছর কেটে গেছে। আমরা ক’জন জানি মথুরা কীভাবে বেঁচে আছেন? আমরা সত্যি কতটা কাজ করেছি সার্ভাইভারদের সম্মানের প্রশ্নটা নিয়ে, ইংরেজিতে যাকে বলে ডিস্টিগমাটিজেশান, সেটা বোধহয় ভেবে দেখা দরকার।
প্রশ্নটা কেন তুললাম বলি। গত বছর কাগজে একটা খবর পড়ে খুব উৎসাহিত হয়েছিলাম। আপনারা অনেকেই হয়তো দেশের নানা প্রান্ত ছুঁয়ে কয়েক হাজার মেয়ের ‘গরিমা অভিযান’-এর খবরটা লক্ষ করেছিলেন। প্রায় দু-মাসের পথচলায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা সবাই নিজেদের যৌন আক্রমণের অভিজ্ঞতাকে সামনে এনে প্রকাশ্যে ধর্ষক ও হেনস্থাকারীর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আন্দোলনে শরিক। অনেকেই ‘দলিত’ মেয়ে যাঁরা উচ্চ বর্ণের হিন্দু পুরুষদের হাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এঁরা ১০,০০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে, কখনও বা বাসে চড়ে ২৪টি রাজ্য ঘুরেছেন গত বছর। স্থানীয় মানুষজন এঁদের জন্য বাড়ি থেকে এনেছেন রুটি, ডাল, পেঁয়াজ-লঙ্কা-আচার। ধর্মশালায় রাত্রিবাস করে পরদিন সকালে জনসভায় নিজেদের বক্তব্য রেখে আবার এঁরা বেরিয়ে পড়তেন পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এঁদের নেতৃত্বে থাকা রাজস্থানের ভাতেরি গ্রামের প্রৌঢ়া ভাঁওয়ারী দেবী দিল্লির রামলীলা ময়দানে এক জনসভায় বলেন যে, ‘আগে আমাদের মুখ খোলার উপায় ছিল না’। তাঁরা অনুভব করেছেন মুখ লুকোনোর বদলে মুখ খোলা কতটা জরুরি। যৌন হেনস্থা নিয়ে মুখ খোলার যে ‘মি টু’ আন্দোলন ২০১৭ সালে ফেসবুক-টুইটারে শুরু করেছিলেন সচ্ছল পরিবারের কয়েকজন অল্পবয়সি মেয়ে, সেই আন্দোলনকে এক বিরাট ব্যাপ্তি ও গভীরতা দিয়ে ২০১৯-এ এভাবে শক্তি যোগান ভারতের বিশাল সংখ্যক গ্রামীণ ও নানাভাবে প্রান্তিক মেয়েরা, ঘরে বাইরে যাঁদের লড়াই বহুগুণ কঠিন। ভাঁওয়ারী দেবীর কথাই ধরুন। ১৯৯২ সালে নিজের গ্রামে বাল্যবিবাহ আটকাতে চাওয়ায় গণধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অসীম সাহস ও ধৈর্যে অনেক বছর পাল্টা লড়াই করেন তিনি, যার ফলে আমাদের দেশের মেয়েরা পেয়েছে কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা রোখার বিশেষ আইন।
আজ কিন্তু ভাঁওয়ারী দেবীরা আইনি ব্যবস্থাই শুধু চাইছেন না, তাঁরা চাইছেন ‘গরিমা’ অর্থাৎ সম্মান। মুখ লুকিয়ে নয় সামাজিক সম্মান নিয়ে বাঁচার দাবিতেই ছিল তাঁদের এই অভিযান। যাঁরা সারা দেশ ঘুরে নির্ভীকভাবে এরকম দাবি তুলেছেন, তাঁদের কথা ভাবলে বুকে সত্যি বল আসে। আবার মনটা খুব খারাপও হয়ে যায় যখন শুনি যে মুম্বাই থেকে গরিমা-যাত্রা শুরু করে জয়পুরের কাছে ভাঁওয়ারী দেবীর নিজের গ্রাম ভাতেরিতে যেদিন পৌঁছেছিল ওই পদযাত্রা, সেদিন গ্রামের ৪০০০ মানুষের একজনও গরিমা-যাত্রীদের সভায় উপস্থিত হননি। তাহলে দেখা যাচ্ছে ভাঁওয়ারী দেবী ও তাঁর পরিবার গ্রামের কয়েকজন ক্ষমতাশালী উচ্চ বর্ণের পুরুষের বিরুদ্ধে অবিরত লড়াই চালিয়ে গেছেন বলেই নিজেদের সমাজে এখনো প্রাপ্য সম্মান পেলেন না। কয়েক বছর আগেও কাগজে পড়েছিলাম যে ভাঁওয়ারী দেবী বলেছেন ‘আমার গ্রামে আমি ও আমার পরিবার আজও একঘরে’। অথচ সেই সময়ে তাঁর ওপর বলাৎকার করা অপরাধীরা অতি অল্পদিন হাজতবাস করে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। যদি অপরাধীরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হত, তা হলেই কি ভাঁওয়ারী দেবী ও তাঁর পরিবার নিজেদের সমাজে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারতেন? আইনি বিচারে যদি কোনো যৌন নির্যাতনকারীর কঠোর শাস্তিও হয়, সামাজিক বিচারে সে যদি ‘অশুচি’ বা ‘নির্লজ্জ’ বলে চিহ্নিত হয়, তখন তাঁর বা তাঁর পরিবারের পক্ষে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচা দুরূহ হয়ে ওঠে।
তাঁদের বেঁচে থাকার লড়াইটা বোঝাতে আর একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ২০১৩-র এপ্রিল মাসে—অর্থাৎ নির্ভয়ার ঘটনার চার মাসের মধ্যে—দিল্লিবাসী একটি শ্রমজীবী পরিবারের পাঁচ বছরের মেয়ে গুড়িয়াকে তার প্রৌঢ় প্রতিবেশী এক প্যাকেট চিপ্সের লোভ দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটিকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং ঘটনাটি নিয়ে বেশ কিছুটা শোরগোল হলে সরকারি খরচায় তার পুরো চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু গুড়িয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তার বাবা-মা তাকে নিয়ে তাঁদের পুরোনো পাড়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন নি। তাঁদের শুনতে হয়েছে নিশ্চয়ই মেয়েটি লোভী ছিল, বাবা-মা তার আচার-আচরণ ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, তাই সে ধর্ষিত হয়েছে। এসব অপবাদের হাত থেকে রেহাই পেতে তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন রাজধানীর অন্য প্রান্তে নতুন এক মহল্লা যেখানে সবাই তাঁদের দেখামাত্রই চিনে ফেলবে না।
অপরিচয়ের আড়াল ঘুচিয়ে সার্ভাইভাররা কীভাবে বাঁচতে পারেন, কীভাবে আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারি সেটা নিয়ে অনেক বেশি ভাবতে হবে, যেটা দেশের প্রান্তিক মেয়েরা ওই গরিমা-যাত্রার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন। ভাঁওয়ারী দেবীর ভাষায় ‘সোচ কো মিটানে কে লিয়ে যাত্রা নিকালি হ্যায়,’ অর্থাৎ ‘দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্যেই এই যাত্রা’। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ কারণ সমাজে নানারকম বৈষম্য ভয়ানক ভাবে বাড়ছে আর সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে বাড়ছে প্রান্তিক মানুষের প্রতি হিংসা, বাড়ছে মেয়েদের ওপর বীভৎস যৌন নিগ্রহ।
ইদানিং মেয়েদের ধর্ষণ করবার পর আর বাঁচতেই দেওয়া হচ্ছে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। অনেকে মনে করছেন ধর্ষণ আইন কঠোরতর হওয়ার কারণেই নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে মেয়েদের। সেটা খুবই সম্ভব। আবার এটাও তো আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আইন যতই কঠোর হয়ে উঠুক না কেন, ক্ষমতাবান দোষীরা রাষ্ট্র ও প্রশাসনের মদতে দিব্যি ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণকে না-ধর্ষণে রূপান্তর করবার হাজার রকম উপায় উদ্ভাবিত হচ্ছে প্রতিদিন। তাই আমার মনে হয়, ধর্ষণ করবার পর মেয়েদের আর বাঁচতে না দেওয়ার পিছনে আর একটা কারণও আছে।
সাম্প্রতিককালে মেয়েরা অনেক বেশি তেজের সঙ্গে ধর্ষকদের রুখছে—শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছে তারা। মেয়েদের এই রুখে দাঁড়ানোই কি অন্যদিক থেকে তাদের বিপদ বাড়িয়ে তুলছে? নির্ভয়ার কথাই ধরুন। যতক্ষণ শরীরে শক্তি ছিল সে প্রাণপণে ছ’জন পুরুষের সঙ্গে লড়ে গেছে। তারপর তীব্র শারীরিক ও মানসিক কষ্টের মধ্যেও সে চেষ্টা করেছে তার ওপর হওয়া অত্যাচার সম্পর্কে বয়ান দেওয়ার। অত্যাচারীদের নৃশংসতার কথা জেনে বহু মানুষ যখন শিউরে উঠছে, তখন ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে বলতে শোনা গেছিল যে, ‘মেয়েটির উচিত ছিল ওই ছেলেগুলোকে ভাই বলে ডাকা, ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওদের অনুনয় করা’। এর থেকে ই আমরা এই বুঝব যে মেয়েটি যদি ভয় পেয়ে ছেলেগুলোর কাছে দয়া ভিক্ষা চাইত, যদি সর্বশক্তি দিয়ে ওদের রোখবার চেষ্টা না করতো, তাহলে হয়তো ছেলেগুলো অতটা হিংস্র হয়ে জং-ধরা লোহার রড দিয়ে তাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিত না?
মেয়েরা আক্রান্ত হলে যদি ছেলেদের কৃপাপ্রার্থী হয়, তাহলে কি অত্যাচারের মাত্রা কমতে পারে? এমনিতেই মেয়েরা যত বেশি বাইরের জগতে নানাভাবে অংশগ্রহণ করছে, তাদের আত্মবিশ্বাস ও নির্ভয় ভাব যত বাড়ছে, তত এক ধরনের ছেলেদের মনে জমছে রাগ ও হিংসা। আমরা শুধু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলাই দেখছি না, ঘটনাগুলোর বীভৎসতা যেন আমাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। মেয়েরা আজকাল মাথা না নুইয়ে ধর্ষিত হওয়ার পরও ধর্ষকদের চোখে চোখ রাখার স্পর্ধা দেখাচ্ছে বলে কি অত্যাচারের বীভৎসতা বাড়ছে? যাকে সে জোর করে অধিকার করে সামাজিক মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চাইছে, তার রুখে দাঁড়াবার স্পর্ধাই হয়তো অত্যাচারীকে আরো হিংস্র করে তুলছে।
ফিরে আসি সার্ভাইভারদের কথায়। গত বছরের যে গরিমা-যাত্রার কথা আগে লিখেছি, সেই যাত্রীরা যখন বিভিন্ন জনপদের মধ্যে দিয়ে গেছেন, তখন অনেক গ্রাম ও মফস্বলের মেয়েরা গরিমা-যাত্রীদের জীবনের গল্পগুলো শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছেন নিজেদের সামাজিক লাঞ্ছনা ও অত্যাচারের কথা মুখ ফুটে বলতে। তা যদি ঘটে থাকে তাহলে ওই পদযাত্রার গুরুত্ব অপরিসীম। এ ধরনের পদযাত্রা ছোট ছোট করে হলেও দেশের নানা শহরে/মফস্বলে/গ্রামে যত বেশি হবে, তত মেয়েদের সামাজিক সম্মানের দাবি পৌঁছে যাবে অনেকের কাছে। ভাঁওয়ারী দেবীদের আর নিজেদের গ্রামে একঘরে থাকতে হবে না, প্রৌঢ়া মথুরা বা কিশোরী গুড়িয়াকে আশ্রয় নিতে হবে না অপরিচয়ের অন্ধকারে।
- লেখক গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সমাজকর্মী।