গর্ভবতী মহিলা, সদ্যজাত শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন এ রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার মহিলা আশা কর্মী। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের উপর গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা কতটা নির্ভরশীল তা সরকারের তরফে স্বিকার করা হলেও এই কর্মীদের পেশাগত ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে যে বঞ্চনা ও সমস্যার মুখোমুখি হয়ে কাজ করতে হচ্ছে সে বিষয়ে সরকার ও প্রশাসন সম্পূর্ণ উদাসীন। গত ৭ এপ্রিল আশা কর্মীদের কলকাতায় স্বাস্থ্যভবন অভিযান বিষয়ে সুদর্শনা চক্রবর্তীর রিপোর্ট।
এক বছর বা আরেকটু বেশি দিন আগের কথা হয়তো বা। কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে খুবই জনপ্রিয় ও ভাইরাল হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত জেলায় কোথাও বুক সমান জল ভেঙে, কোথাও ডিঙি নৌকা করে পরিষেবা দিতে পৌঁছে যাচ্ছেন মহিলা আশা কর্মীরা। তাঁরা নিজেদের কাজের প্রতি কতটা নিবেদিতপ্রাণ, কতটা দক্ষ ইত্যাদি নানাবিধ প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। বছরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা যেকোনও পরিস্থিতিতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য এভাবেই কাজ করে যেতে হয় আশা কর্মীদের। গর্ভবতী মহিলা, সদ্যজাত শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন এ রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার মহিলা আশা কর্মী। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের উপর গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা কতটা নির্ভরশীল তা সরকারের তরফে স্বিকার করা হলেও এই কর্মীদের পেশাগত ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে যে বঞ্চনা ও সমস্যার মুখোমুখি হয়ে কাজ করতে হচ্ছে সে বিষয়ে সরকার ও প্রশাসন সম্পূর্ণ উদাসীন।
নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার এ রাজ্যের আশা কর্মীরা। পরিষেবা দিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত সরকার ও প্রশাসনের কাছে সেই দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তৈরি হয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন’। গত ৭ এপ্রিল কলকাতায় স্বাস্থ্যভবন অভিযান করে এই ইউনিয়ন। প্রায় ১০ হাজার আশা কর্মী মহিলা এদিন জমায়েত, সভা ও প্রতিনিধি দলের ডেপুটেশন জমা দিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন। গত মার্চ মাস থেকে তাঁরা ‘প্যাকেজ বয়কট’-এর ডাক দিয়ে ফরম্যাট’ জমা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন, যাকে বলা যেতে পারে সারা মাস তাঁরা কোন পরিষেবা খাতে কী কাজ করেছেন ও তার ফলে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, সেই তথ্য জমা দেওয়ার কাজ বন্ধ রেখেছেন।
মুর্শিদাবাদের কান্দি ব্লক থেকে এসেছিলেন আঞ্জউমানারা খাতুন তাঁর অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে।। জানালেন শুধু তাঁদের কান্দি ব্লকেই আশা কর্মীদের সংখ্যা ২০৬ জন। “আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল প্রচণ্ড কাজের চাপ। সেইসঙ্গে আমরা কোনো ইন্টেসিভ পাই না সময় মতো। আমাদের যে ফরম্যাট আছে তার টাকা আমরা কখনো আট আনা, চার আনা, ছ’আনা করে পাই, কোন ভাগের কত টাকা কিসে দিয়েছে আমরা কোনো হদিশও পাইনি। আমরা যে বিল দিই, ফরম্যাটের যে হিসাব, যে টাকা পেয়েছি তার সঙ্গে কোনো মিলই নেই। অতএব সেখানে অনেক টাকা আমাদের মার গেছে।”
স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা দাবি পূরণ না হলে, তাঁরা ধর্মঘটের পথে জাবেন। অবশ্য তাঁরা ধর্মঘটে গেলে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিপন্ন হয়ে পড়বে। আশা কর্মীরা জানালেন, শুধুমাত্র মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের কাজ করবেন তাঁরা যদি ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হন, বাকি কোনো কাজ যেমন পোলিও দেওয়া, প্রেশার-সুগার মাপা ইত্যাদি তাঁরা করবেন না বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
আশা কর্মীদের উপরে যেমন সমস্ত কাজের দায়িত্ব থাকে, তেমনি যেকোনো রকম কাজ যার জন্য তাঁরা কোনোভাবে দায়ি থাকেন না, যেমন কোনও গর্ভবতী মহিলাকে নির্দিষ্ট ডাক্তারও যদি অন্য কোথাও রেফার করেন, বা সরকারি হাসপাতালে তাঁরা নিয়ে গেলেও যদি কারোর পরিবার তাঁকে নিয়ে যায় বেসরকারি হাসপাতালে ইত্যাদি নানাবিধ কাজের জন্যও তাঁদের দায়ী করা হয়ে থাকে।
“আমাদের যেন মনে করা হয় সর্বরোগ বিশেষজ্ঞ। খেলা-মেলা সব জায়গায় আমাদের কাজে বসিয়ে দেয়। কিছুই জানি না আমরা, তবু মেডিক্যাল বক্স দিয়ে বসিয়ে দেয়। এরজন্য কিন্তু আমাদের আলাদা করে কোনো টাকা দেওয়া হয় না। এমনকি ভোটের ডিউটিতেও যেতে হয়,” নমিতা সেন, মীতা অধিকারী, নাজিমা বেগম – হুগলির জাঙ্গিপাড়া থেকে আসা আশা কর্মীরা সমস্বরে জানালেন।
আগে ছিল সরকারি হাসপাতালে গাড়ির ব্যবস্থা। এখন সেখানে ১০২ গাড়ির (অ্যাম্বুলেন্স) ব্যবস্থা করতে হয়। রাত ১২টা হোক বা ভোর ছ’টা আশা কর্মীদের দায়িত্ব হল গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে যাওয়া এবং সেটাই তাঁদের সবচেয়ে কষ্টের জায়গাও। “রাত ১টায় সবে শুয়েছি হয়তো, গর্ভবতী মায়ের খবর এল, আমরা যেন হাওয়ায় উড়ে চলে যাই। অথচ অ্যাম্বুলেন্স পেতে কী কষ্ট দিদি! ১০২ বারবার ফোন করে, কতক্ষণ পরে পেলাম। আমদের সম্মান, সুরক্ষা কিছুই নেই। কাজের কোনো রুটিন নেই, ২৪ ঘন্টা কাজ করে যেতে হয়,” বললেন হাওড়া থেকে আসা বদরুন্নিসা বেগম।
এদিনের সভা থেকে উঠে আসে, যদি দ্রুত তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি অবধি পৌঁছাবেন দাবি নিয়ে ও তারপরেও দাবি আদায় না হলে তাঁরা কর্মবিরতিতে যাবেন। কিন্তু তাঁদের উপরে নির্ভরশীল গ্রামীণ বাংলার এক বিরাট সংখ্যক মা ও শিশুর জীবন, কর্মবিরতিতে যা বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে তাঁরা এমনও জানিয়েছেন যে, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা বজায় রেখে, তাঁরা বাকি সব কাজ বন্ধ রাখবেন।
আশা কর্মী ইউনিয়ন-এর দাবি অনুযায়ী বারবার জানানো সত্ত্বেও সামান্য কিছু দাবি ছাড়া তাঁদের মূল দাবিগুলি কিছুই মেনে নেওয়া হয়নি। যেমন
- উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও আশা কর্মীদের সরকার নির্দ্ধারিত ন্যূনতম ভাতা দেওয়া হয় না
- বেতন, ভাতা সঠিক সময়ে দেওয়া হয় না
- নানা শর্ত আরোপ করে ‘প্যাকেজ’-এর নানা টাকা কেটে নেওয়া হয়
মিশন ডিরেক্টর ও এনএইচএম স্বাস্ব্যভবনকে লেখা চিঠিতে যে দাবিগুলি পেশ করা হয়, তার মধ্য প্রধান ছিল –
(ক) ন্যূনতম ‘ফিক্সড’ ভাতা বৃদ্ধি,
(খ) বছরে সুনির্দিষ্ট হারে ইনক্রিমেন্ট,
(গ) অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন বৃদ্ধি
যে দাবিগুলি তুলে ধরা হল –
১) আশা কর্মীদের রাজ্য সরকার কর্তৃক ভাতা ন্যূনতম ১৫০০০ টাকা করতে হবে
২) কর্মরত অবস্থায় মৃত আশা কর্মীর পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
৩) ইন্সেটিভ-এর টাকা ভাগ না করে একই দিনে এক সঙ্গে দিতে হবে
৪) আশা কর্মীদের সমস্ত সরকারি ছুটি দিতে হবে
৫) সমস্ত আশা কর্মীদের ইন্সেটিভ ‘ফিক্স’ করতে হবে ও ডিএ দিতে হবে
৭) পিএফ-এর কাজ আশা কর্মীর নিজস্ব আইডি-তে করাতে হবে
৮) আশা কর্মীদের পোলিও-র কাজের জন্য ঘোষিত দৈনিক ১০০ টাকা দিতে হবে
৯) কোনো কারণে বুধবারের টাকা কাটা চলবে না
১০) আশা কর্মীদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে
১১) সমস্ত আশা কর্মীকে পিএল আই-এর টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে
শুধুমাত্র প্রসূতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নয় পোলিও টিকাকরণ থেকে সুগার-প্রেশার পরীক্ষা করা, ও আরো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজ করতে হয় তাঁদের। বাস্তবেই কোনো রকম ছুটিছাটা ছাড়া, সারা বছর ধরে এই কাজ করে চলতে হয় আশা কর্মীদের ন্যূনতম সাম্মানিকের বিনিময়ে। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের খাতে আশা কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ৫২৫০ টাকা, সবে গত বছর ৭৫০ টাকা সাম্মানিক বেড়ে এই টাকাটি হয়েছে, এর আগে তা ছিল মাত্র ৪৫০০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারি খাতে বিভিন্ন পরিষেবায় বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকে, যা রাজ্য বিশেষে পরিবর্তন হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই বরাদ্দ সবচেয়ে কম রয়েছে ১০ টাকা, যা কাওকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে তাঁর সুগার-প্রেশার মাপার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ রয়েছে ৩০০ টাকা যা কোনো গর্ভবতী মহিলাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সন্তান প্রসব করালে ও তার সঠিক নথিপত্র দেখালে তবেই দেওয়া হয়ে থাকে। ১০, ৫০, ৭৫ টাকা – বিভিন্ন পরিষেবায় এভাবেই ন্যূনতম অর্থ ধার্য করা আছে তাঁদের জন্য।
কিন্তু তাঁদের যেমন স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতি নেই, তেমনি নেই মর্যাদাপূর্ণ কাজের পরিবেশও। দপ্তরের উচ্চ পদে থাকা আধিকারিক থেকে এ এন এম – সকলেই তাঁদের উপর চাপ দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানোর চেষ্টা থেকে শুরু করে অসম্মান সূচক ব্যবহার করেন এমন দাবি করলেন প্রায় সকলেই। কথা হচ্ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আশা কর্মী কৃষ্ণা প্রধানের সঙ্গে, তিনি পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি। জানালেন রাজ্যের ৩৪৫টি ব্লকের প্রতিটিতে আনুমানিক ২০০ জন আশা কর্মী কাজ করেন। একেকটি গ্রামে ৮০০ থেকে ১০০০ জনসংখ্যায় ১ জন আশা কর্মীর নিয়োগ করা হয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধে তাঁদের যে কাজ সেখানে সময় নির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন কাজ শেষ করে কেন্দ্রীয় স্কিম-এর অন্তর্ভুক্ত ন্যায্য মজুরি দাবি করতে হয়, যাকে বলা হয় প্যাকেজ এবং তা শুনতে অবাক লাগলেও ১০, ২০, ৩০ টাকা থেকে সবচেয়ে বেশি মাত্র ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সহজেই অনুমেয়, এই সামান্য অর্থে যে বিপুল পরিমাণ কাজ আশা কর্মীরা করে থাকেন তা কতটা অমানবিক ও শ্রমের শোষনের পর্যায়ে পড়ে। “এই টাকাটা সবার সমান হবে না। এই হিসাবে আমরা এই খাতে কেউ ২০০০, ২২০০, ২৫০০ আবার খুব বেশি হলে কেউ কেউ ৪০০০ টাকা কখনো পেয়ে থাকি। কিন্তু এই টাকা কখনোই একবারে দেওয়া হয় না। চার-পাঁচ মাস ধরে বাকি রেখে ভাগে ভাগে দেওয়া হয়। কোনো হিসাব থাকে না আমাদের এবং সেই টাকার কোনো কার্যকারিতাও থাকে না। একজন যদি ঠিকঠাক এই টাকাগুলি পান, তাহলেও এক মাসে সবচেয়ে বেশি ৭০০০-৭৫০০ টাকা রোজগার করতে পারেন। আমাদের দাবি একজন শ্রমিকের আজকের দিনে যে ন্যায্য মজুরি হতে পারে, সেই হিসাবে আমাদের ন্যূনতম ১৫০০০ টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি প্যাকেজ সিস্টেম বাদ দিয়ে ন্যূনতম ২৬০০০ টাকা বেতন দিতে হবে। আমাদের নিয়োগের সময় বলা হয় সামাজিক মান্যতা প্রাপ্ত কর্মী। আমরা দাবি করছি সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতির।”
কর্ণাটক, কেরালা, দিল্লি বিভিন্ন রাজ্যে নানান সময়ে আশা কর্মীরা আন্দোলন করছেন নিজেদের দাবি আদায়ে। কর্ণাটক সরকার ন্যূনতম ফিক্সড ভাতা বাড়িয়ে ১০০০০ টাকা করেছেন। কর্ণাটক, দিল্লিতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ স্কিমের অন্তর্গত যে যে ক্ষেত্রে টাকা বাড়াতে পারেন, সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে বরাদ্দ বাড়িয়েছেন।
কৃষ্ণা প্রধান জানালেন, এ রাজ্যে বড় সমস্যা হল, সিএমওএইচ, বিএমওএইচ-দের মানসিকতায় তাঁরা এক ধরনের বদল দেখছেন। নিজেদের হেলথ সেন্টারের বিভিন্ন কাজ তাঁরা এই আশা কর্মীদের দিয়ে করিয়ে নেন, যা হয়তো তাঁদের কাজের আওতাভুক্তও হয় না। অথচ আশা কর্মীরা নিজেদের সুবিধা মতো কোনোভাবে কাজ সামাল দিতে চাইলে সেক্ষেত্রে জোটে নানান নিয়ম কানুনের চোখ-রাঙানি, আধিকারিকদের কাছ থেকে অমর্যাদাপূর্ণ মন্তব্য। “আমাদের কোনো মর্যাদা নেই” – এই কথাটি বারেবারেই উঠে এল উপস্থিত একাধিক আশা কর্মীর কাছ থেকে।
একদিকে তাঁরা মায়েদের বলেন ছ’মাস শিশুদের স্তন্যপান করাতে। অথচ তাঁদের মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি মাত্র দেড় মাস বা ৪৫ দিন। এই ধরনের বৈষম্য দূর করতেই তাঁদের লড়াই। যেভাবে অবসরকালীন ভাতা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ করেছেন। যেভাবে দুর্গা পুজো ও ঈদে বোনাস আদায় করেছেন ৬৮০০ টাকা।