প্যারিস অলিম্পিকের নোংরা সত্য অনথিভুক্ত অভিবাসী শ্রম


  • August 3, 2024
  • (0 Comments)
  • 601 Views

প্যারিস অলিম্পিক্স এর জাঁকজমকের অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে ইমাদ আর লামিন দের সমস্ত স্বপ্ন। আকাশছোঁয়া আড়ম্বর তৈরি করছে ওরা, কত আলো চোখ ধাঁধানো উল্লাস। কিন্তু ওদের শ্রম, ঘাম, রক্ত, খিদের গল্প গুলো প্যারিস অলিম্পিক্স এর ঝকঝকে ইতিহাস মনে রাখবে না। এটাও তো এক মজার খেলা!!

 

লেখক: চাইমা ঘরসাল্লাউই

অনুবাদ : আকাশনীল

 

গোটা বিশ্ব ২০২৪-এর অলিম্পিকের জন্য তাকিয়ে আছে ফ্রান্সের দিকে। তৈরি হচ্ছে বিশাল বিশাল ইমারত, সীমাহীন রাজকীয়তায় সেজে উঠেছে ফ্রান্স।

 

কিন্তু এই রাজকীয়তার আড়ালেই রয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার অনথিভূক্ত অভিবাসী শ্রমিকের কাহিনী। এঁদের অনথিভুক্ত এবং অনাম্নী শ্রমই আসলে এই বিরাট আমোদ প্রকল্পের আসল ভিত্তি।

 

এঁরা কাজ করেন আইনি মজুরির থেকেও কম পারিশ্রমিকে, এঁদের ঘামের দামেই তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর আগামী আড়ম্বর – ফ্রান্সের ২০২৪ অলিম্পিক।

 

ফ্রান্স এবং আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যেকার যে দীর্ঘ ঔপনিবেশিক সম্পর্ক, সেখান থেকেই এই বিপুল অভিবাসনের জনস্রোত তৈরি হচ্ছে।

 

একটু ভালো সুযোগের খোঁজে সমস্ত ত্যাগ করে চলে এসেছেন হাজারো হাজার তরুণ ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে,তাদের আজ ঠাঁই হয়েছে সমাজের প্রান্তে। এঁরাই এই প্রকল্পের প্রচ্ছন্ন চালিকাশক্তি, সেই সব কাজ করেন এঁরা যা ফরাসি শ্রমিকরা করেন না, কায়িক শ্রম যুক্ত যে কাজ, ইংরেজিতে যাকে এখন ব্লু কলার কাজ বলা হয়।

 

ইমেদ নামে একটি তরুণ এসেছিলেন প্যারিসে ২০২৪-এর, অলিম্পিকের কাজে যোগ দিতে। গাঁথন ব্যবসার কাজে নিযুক্ত হন তিনি এবং দ্রুতই ইমারত গড়ার কাজ নিজের দক্ষতায় শিখে ফেলেন।

 

ইমেদ দী নিউ আরব পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মশক্তির পিছনের আসল অভিসন্ধানের পরিকল্পনার কথা।

 

ইমেদ জানাচ্ছেন কিভাবে দালাল মধ্যস্থতাকারী কিছু কোম্পানির কথা যারা কিনা শ্রমিক নিযুক্ত করেন এই গাঁথন ব্যবসায় এবং কোম্পানিগুলোর স্বার্থে শোষণ করে চলেন এই অনথিভুক্ত অভিবাসী শ্রমিকদের।

 

Batiment et Travaux Publics (BTP) কার্ড হলো একটি প্রফেশানল কার্ড যা Union des Caisses de France (CIBTP) এই গাঁথুনি শ্রমিকদের জন্য বানিয়েছে।

 

এই কার্ডে শ্রমিকদের ছবিসহ থাকে তাদের যাবতীয় ব্যাক্তিগত তথ্য। মালিকপক্ষ এই কার্ডটি ৮ ইউরোতে শ্রমিকদের দেন, এবং এটিকে শ্রমিকরা এক ধরনের সাময়িক পরিচয়চিহ্ন হিসেবে নিজেদের হেলমেটে লাগিয়ে রাখেন।

 

খাতায় কলমে ১-২ ঘণ্টা কাজের শিফট্ হামেশাই পুরো দিনের ফুল  শিফ্ট হয়ে দাঁড়ায়, ৩০০ ইউরো পাওয়ার কথা থাকলেও, অধিকাংশ সময় পয়সা দেওয়া হয় বকশিশ হিসেবে। ইমেদ জানাচ্ছেন যে এই কায়দায় মালিকপক্ষ সুচারুভাবে নিরীক্ষকদের নজরদারি এড়িয়ে শ্রমিকদের হকের মজুরি চুরি করেন, কাগজে কলমে কোনক্রমে দেখিয়ে দেন তারা যে শ্রমিকরা সদ্য এসেছেন, তাদের প্রাপ্য মজুরি তাই অনেক কম হবার কথা।

 

রোজকারের পারিশ্রমিক আবার শ্রমিকের দক্ষতা এবং সে কোন দেশ থেকে এসেছেন এর উপরে নির্ভরশীল। ইমেদ বলছেন উত্তর আফ্রিকার শ্রমিকরা পাচ্ছেন দিনে ৭০ ইউরো এবং অন্য আফ্রিকান শ্রমিকরা এবং বিশেষত দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকার শ্রমিকরা পান ৪০ ইউরো করে।

 

ইমেদের মতো অনেক শ্রমিক পোস্ট অফিসের একাউন্টের মাধ্যমে কোনো ক্রমে টাকা সামলেছেন, যেখানে পুরো পারিশ্রমিকের কিছুটা অংশই তারা হাতে পান।

 

টাকার বাকি অংশ এই দালাল কোম্পানিগুলোর চক্রে আটকে থাকে কঠিন চুক্তির জালিয়াতিতে।

 

কোম্পানিগুলো আবার ক্ষণস্থায়ী, দুবছর অন্তর এরা নতুন নামে নতুন সাজে ব্যবসায় নামে। এতে ট্যাক্সের খপ্পরও এড়িয়ে যাওয়া যায় এবং চালিয়ে যাওয়া যায় অনথিভুক্ত শ্রমের শোষণ।

 

“যেহেতু আমার এখনকার মালিক আমাকে কোনো পেস্লিপ দেয় নি, আমাকে বাধ্য হয়ে এই কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তিতে যেতে হয়েছে। এরা আমাকে একটি কন্ট্রাক্ট এর ব্যবস্থা করে দিয়েছে যাতে দেখে মনে হয় আমি ওদের জন্য কাজ করছি এবং যাতে একটি পেস্লিপের ব্যবস্থাও করা যায়।” ইমেদ জানাচ্ছেন দী নিউ আরব কে।

 

“কিন্তু আসল কথা হলো আমি এদেরকে ৯০০ ইউরো দিয়ে চলেছি প্রতি মাসে। এটি আমার আবেদনের/দরখাস্তের ই অংশ এবং নিয়মিত প্লেস্লিপ জোগাড়ের একটি উপায় মাত্র।”

 

” চাতুরির বিষয়টি হলো, আমার নাম যেহেতু কন্ট্রাক্টে ঢুকে গেছে এবং আমার ইতালির একটি জাল রেসিডেন্সি কার্ড আছে, কোম্পানিগুলি আমার নামে বেআইনি ভাবে নতুন লোক আনায়। এতে BTP থেকে যেমন পারমিট পেতে সুবিধা হয় ঠিক তেমনি গাঁথনের ক্ষেত্রগুলোতে নতুন লোক আমদানিও হয় সহজেই। ব্যাপারটির মধ্যে আরো অনেক জটিলতা আছে, এতো শুধু ওপর ওপর বললাম।”

 

আরব ও উত্তর আফ্রিকার কোম্পানিরাজ এবং বিশ্বাসঘাতকতা

 

ইমেদ চাইছেন ফ্রান্সে নিজের একটি পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে, কিন্তু তার এখনকার মালিকপক্ষ চেপে রেখেছেন নানা জরুরী নথি।

 

একরকম মারিয়া হয়েই ইমেদ জানাচ্ছেন কিভাবে তিনি দিনের পর দিন ৯০০ ইউরো দিয়ে চলেছেন কিচ্ছু কাল্পনিক কোম্পানিকে স্থায়ী বসবাসের উপায় করতে, এবং অজান্তেই তিনি ফেঁসে গেছেন  এই ভুয়ো চক্রের হাতে।

 

এই জটিলতার মধ্যে দিয়েই ফ্রান্সের মালিকপক্ষ ট্যাক্সের এবং আইনি ঘেরাটোপ কে এড়িয়ে গিয়ে তুমুলভাবে বিপন্ন করে তুলেছেন অনথিভুক্ত শ্রমিকদের জীবন।

 

ইমেদ আরো জানাচ্ছেন কি করে ইজিপ্টের লোকজন আরবদের কাগজপত্র জোগাড় করে দেন এবং মালির লোকজন বাকি আফ্রিকার শ্রমিকদের জন্য ব্যবস্থা করেন এই ধরনের বেআইনি কাজের।

 

ইমেদের কথায় আমরা জানতে পারি যে ১৫০ ইউরোতে জাল রেসিডেন্সি কার্ড তৈরি করা যায় এবং সেই কার্ড শ্রমিকরা এই সাবকন্ত্রাকট্টার কোম্পানি গুলোর কাছে দেন। এতে করে কোম্পানিগুলি সুযোগ বুঝে প্রমাণ করতে পারে শ্রমিকদের অনথিভূক্ত থাকার বিষয়টি।

 

ইমেদ নিজেই ইতালির একটি জাল কার্ড ব্যবহার করেন যা ও নিজের মালিদের দেখিয়ে এতদিন কাজ চালাচ্ছিল। আমরা আরো জানতে পারি যে এই জাল বেলজিয়ান কার্ড এখন ইতিমধ্যেই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

ইমদের মত শ্রমিকদের জীবনে আছে শুধু হাড়ভাঙা পরিশ্রম,কোনরকম চুটি বা অসুস্থতা সংক্রান্ত ব্রেকের চিন্তাও ওদের কাছে স্বপ্ন। দুপুরে খাবার সময় বরাদ্দ মাত্র এক ঘন্টা, যার টাকা দেন ওরা নিজের পকেট থেকেই।

 

ইন্স্যুরেন্স, অসুস্থতার কারণে ছুটি, সাধারণ ছুটি না থাকায় এই শ্রমিকরা কাজ করেন অনেক বেশি ঘণ্টার, কোনরকম বাড়তি পারিশ্রমিক বা আইনি সুবিধা ছাড়াই।

 

ফ্রান্সের গাথন ব্যবসায় এই ভয়াবহ শোষণ প্রকল্প শ্রমিকদের জীবনকে কঠিন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

 

“আপনারা ভাবতে পারবেন না যে এই কোম্পানিগুলোর আসল মালিক উত্তর আফ্রিকা আর আরব থেকে আসেন। ফরাসীরা যেসব নোংরা কাজে হাত লাগান না, সেই সব কাজের দায়িত্ব নেন এনারা।” বলছে ইমেদ।

 

“ওরাই চালায় এই শোষণ চক্র, ফরাসি মালিকরা কিন্তু জানেন সব কিন্তু এইসব বিষয় থেকে তারা নিজেদেরকে দূরে রাখেন।”

 

মালিক ছাড়াও গাথন ক্ষেত্রের আর্কিটেক্ট এবং কেরানিরাও জানেন সবটা, কিন্তু “তাদের এতে কিচ্ছুটি এসে যায় না।”

 

এই কোম্পানিগুলোর কাজ পারিশ্রমিকের তুল্যমূল্য দরাদরি যা আসে এই সস্তা অনথিভুক্ত শ্রমের শোষণ থেকেই।

 

এর ফলে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত খাদ্য শৃঙ্খল- সবার উপরে  ফরাসি মালিক শ্রেনী, তার নিচে এই উত্তর আফ্রিকার সাবকনট্রাকট্টার শ্রেনী আর একেবারে নিচে শোষিত শ্রমিকরা।

 

ইমেদের কথা মত ফরাসি সরকার এই আরব কোম্পানীগুলোকে একটি বাজেট করে দেয় ঠিকই কিন্তু এরা নিজেদের মুফার জন্য সেই বাজেট কাট করতে দু বার ভাবে না।

 

ফরাসি সরকার জানেন সবকিছুই, পয়সা বাঁচাতেই তাদের এই আয়োজন। কিন্তু দায়িত্ব এবং আইন এড়াতেই তারা এই প্রক্রিয়ার থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখেন। এতে ঘুরপথে ফরাসি সরকার এবং কোম্পানিগুলোর দুজনেরই লাভ।

 

আফ্রিকার অভিবাসী শ্রমিকদের লড়াই 

 

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি তার তিউনিশিয়া সফরে এ কথা জানিয়েছেন যে এই তিউনিশিয়া হলো আফ্রিকান অভিবাসী শ্রমিকদের যাত্রায় মূল গমন পথ।

 

সুদান থেকে আসা ২১ বছরের লামিন ও এসেছিল এই ভয়াল পথ ধরেই। লামিন তিউনিশিয়া দিয়েই ঢুকেছিল ইতালি এবং সেখান থেকে এসে পৌঁছায় ফ্রান্সে।

 

লামিন কে খুজেছিলেন লি রয় মারলিন বলে এক ফরাসি কনট্র্যাক্টর। প্রথম প্রথম ছোট খাটো কাজ করে পরে ও এসে পড়ে অলিম্পিক্স এর গাথন ব্যবসায়।

 

এখন লেমিন থাকে একটি NGO র ডরমিটরি তে, কিন্তু শেল্টারের আর্জি ওর রোজকারের। এর আগে ৩০০ ইউরো প্রতি মাসে দিতে হত ওকে ভিড়ের মধ্যে একটু মাথা গোঁজার জন্য। একটি ছোটো ঘরে রাখা হয় ১০ এরো বেশি ইমিগ্র্যান্টদের।

 

লামিনের মত অভিবাসী শ্রমিকদের দিয়ে সবচেয়ে পরিশ্রমের কাজ গুলো করানো হয়। কাজের পরিবেশের কথা নাহয় বুঝতেই পারছি আমরা।কিন্তু সবচেয়ে কম পারিশ্রমিকে লামিন কে দিয়ে করানো হয় ভাড়া বাঁধবার কাজ, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে দেয় এনাদের।

 

ওদের জীবনে আছে শুধুই শোষণ। কোনো ছুটি,ব্রেক, হলিডে নেই। কেবল দুপুরের খাবার খেতে যা একটু সময়। দগদগে রোদ হোক কিংবা হাড় হিম করা শীত, কাজ করে যেতে হয়, সব সহ্য করে।

 

প্রথম প্রথম লামিন খুব ভয় পাচ্ছিল প্রেসের সাথে কথা বলতে, কিন্তু ইমেদই ওকে সাহস দেয় নিজের গল্প ভাগ করে নিতে।

 

“কোন কোন দিন আমার খাবার টাকা থাকে না, কারণ টাকা চেপে রাখে কর্তৃপক্ষ বহুদিন। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যেন ফ্রী/বিনামূল্যে তে কাজ করি। বহুবার আমাকে এইভাবে ঠকানো হয়েছে।” লামিন বললেন দী নিউ আরব কে।

 

“একবার আর মেনে নিতে না পেরে আমি ইমেদ কে বলি ওদের সাথে কথা বলে কিচ্ছু টাকা যোগাড় করতে। একটা অংশই নিতে পেরেছিলো ও আমার হয়ে,তবুও নেই মামার থেকে কানা মামা ভালো।”

 

“আমি এখন জবুথবু হয়ে একটি ঘরে পড়ে আছি ভিড়ের মধ্যে। পেপার ছাড়া বাড়ি পাওয়া মুশকিল। এর পর আবার আছে বাড়ীওয়ালার ঝামেলা। সুযোগ বুঝে ওরা মাথাপিছু ৩০০ ইউরো করে নেয় একটি বেডের জন্য। এখন আমি একটি NGO র শেল্টারে থাকি, কিন্তু রোজ এপ্লাই করতে হয় এর জন্য।”

 

গ্যাটসবির ফ্রান্স: রাজকীয়তা ও রক্ত

 

ফ্রান্সে বস্তির ডন হওয়া আইনের চোখে অপরাধ। এতে সরকারের গরিবের সহায় দরদিয়া রূপটি সামনে এসে।

 

২৬এ জানুয়ারির ইমিগ্রেশন আইন জানাচ্ছে যে বস্তির ডনদের খপ্পরে পড়েছেন যে সব অভিবাসী শ্রমিক, তাদের জন্যে রেসিডেন্সি পারমিট করে দেওয়া হবে মামলা শেষ হওয়া পর্যন্ত।

 

এই আইন আনা হয়েছে শ্রমিকদের বঞ্চনার হাত থেকে বাঁচাতে এবং কিচ্ছু আইনি অধিকার তাদেরকে দিতে।

 

কিন্তু লামিন এবং ওর মত হাজারো আরো শ্রমিকের কাছে এই আইনের খবর এখন পৌঁছায় নি। রোজকারের জীবন ওরা কাটাচ্ছেন কতৃপক্ষের থেকে ভয়ে এবং অবিশ্বাসে। রাগও আছে প্রচণ্ড যার ফায়দা নিয়ে চলেছে ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলি।

 

ইমেদ আর লামিন দুজনই এসেছিল এখানে ইউরোপের প্রেমে পড়ে। ইউরোপ ছিল ওদের কাছে স্বপ্নের মত, আশা ছিল অনেক,রাজকীয় সমৃদ্ধির ভূমি – ইউরোপ।

 

এর জন্য ওরা অনেক কষ্টে সব কিচ্ছু ছেড়ে যাত্রা করেছিল ইউরোপের উদ্দেশে। কিন্তু ভূমধ্যসাগরের ওপারে যে এই ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছিল তে আর ওরা জানবে কি করে।

 

প্রতিদিন ওদের কাটছে আইনি জটিলতা, প্রশাসনিক বিবাদ আর অনিশ্চয়তার সাথে পাঞ্জা লড়ে।

 

প্যারিস অলিম্পিক্স এর জাঁকজমকের অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে ইমাদ আর লামিন দের সমস্ত স্বপ্ন।

 

আকাশছোঁয়া আড়ম্বর তৈরি করছে ওরা, কত আলো চোখ ধাঁধানো উল্লাস। কিন্তু ওদের শ্রম, ঘাম, রক্ত, খিদের গল্প গুলো প্যারিস অলিম্পিক্স এর ঝকঝকে ইতিহাস মনে রাখবে না। এটাও তো এক মজার খেলা!!

 

 

চাইমা ঘরসাল্লাউই ফরাসি সাংবাদিক এবং চিত্রনির্মাতা। মূল নিবন্ধটি দী নিউ আরব-এ প্রকাশিত হয়েছিল।

 

Share this
Leave a Comment