ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে পাঠানো খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করলেন প্রায় ৭০০ জনেরও বেশি নাগরিক। এই চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছে, যে ভয়ঙ্কর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় প্রজ্জ্বল রেভান্না, এইচ ডি রেভান্না ও অন্যান্যদের নাম জড়িয়েছে, তাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এই চিঠিতেই দাবি জানানো হয়েছে প্রজ্জ্বল রেভান্না-র মতো একজন ‘সিরিয়াল’ যৌন নির্যাতকের পক্ষে ভোট চাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
Groundxero | May 4, 2024
জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে চিঠি লিখলেন সারা ভারতের কয়েক’শ সচেতন নাগরিক, যাঁর মধ্যে রয়েছেন মহিলা সংগঠনের নারীবাদী আন্দোলনকারীরা, সামাজিক আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, প্রাক্তন আমলা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিক্ষার্থী ও অন্যান্যরা। এই চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছে অসংখ্য মহিলার সঙ্গে যৌন হিংসার ঘটনা ও সেগুলির ভিডিও রেকর্ডিং-এর অপরাধে কর্ণাটকের সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না ও বিধায়ক এইচডি রেভান্নার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার, এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও গ্রেফতারির।
অত্যন্ত জোরালো ভাষায় লেখা এই পিটিশন-এ স্বাক্ষরকারীরা তাঁদের গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশন এই ঘটনায় অবিলম্বে ও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় (রাজ্যের ডিজিপি-কে পাঠানো একটি নোটিস ছাড়া) – শুধুমাত্র এই ঘটনায় নয়, মহিলাদের অধিকার ভঙ্গের বহু ঘটনায়, বিশেষত যেখানে কেন্দ্রের শাসক দলের সদস্যরা বা কোনও ভাবে তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যুক্ত। এর ফলে কমিশনের ক্ষমতা, স্বাধীনতা ও আইনি আদেশ প্রতিষ্ঠার পরিসর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বলে পিটিশন-এ স্বাক্ষরকারীরা মতপ্রকাশ করেছেন।
অগণিত মহিলার সঙ্গে ঘটানো প্রজ্জ্বল রেভান্নার যৌন নির্যাতন ও যৌন হিংসার প্রায় ২৯৭৬টি ভিডিও শত শত পেন ড্রাইভ ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন গৃহ পরিচারিকা একটি এফআইআর দায়ের করেছেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন প্রজ্জ্বল রেভান্না [হাসান-এর জেডি(এস)-এর সাংসদ, যা কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সহযোগী দল] ও তার বাবা এইচডি রেভান্না (হোলেনারাসিপুরার বিধায়ক) তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে যৌন নিপীড়ন করেছেন।
কর্ণাটকের নারী অধিকার সংগঠনগুলির কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগ ও রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছ থেকে পাওয়া চিঠির ভিত্তিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় তদন্তের জন্য এসআইটি গঠনের ঘোষনা করেছেন এবং প্রজ্জ্বল রেভান্না ও তার বাবা এইচডি রেভান্না, যিনি বর্তমানে একজন বিধায়ক ও রাজ্য সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন, দু’জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এসআইটি একটি এফআইআর দায়ের করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে অপহরনের অভিযোগও। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিলা সংগঠনের সদস্য ও নাগরিকদের গণ প্রতিবাদের খবর পাওয়া যায়। খুবই বড় ধরনের একটি গণ প্রতিবাদের পর, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্যের ডিজিপিকে তিন দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি লিখতে বাধ্য হয়।
পিটিশন-এ স্বাক্ষরকারীরা – যাদের মধ্যে রয়েছেন অল ইন্ডিয়া ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স (এএলআইএফএ), উইমেন ফর ডেমোক্রেসি (ডব্লিউএফডি), সারা দেশের অন্যান্য মহিলা অধিকার সংগঠন, গণতান্ত্রিক কালেক্টিভ ও সচেতন তথা চিন্তিত নাগরিকেরা –কড়া নিন্দা করেছেন যেভাবে প্রজ্জ্বল রেভান্না ও এইচডি রেভান্না যথাক্রমে সাংসদ ও কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রীর পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং তাঁরা দাবি জানিয়েছেন তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারির।
এই খোলা চিঠিতে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে:
“গত এক দশকে এমন বহু ‘হাই প্রোফাইল’ কেস সামনে এসেছে যেখানে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ও এনডিএ-এতে তার অন্যান্য সহযোগী দলের নাম যৌন হিংসার ঘটনায় জড়িয়েছে এবং সেইসব ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশনের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া বা অতি দুর্বল কোনও পদক্ষেপ নেওয়া নিশ্চিতভাবেই ইঙ্গিতবাহী। বর্তমান ঘটনাটি সেই তালিকায় আরও একটি লজ্জাজনক অন্তর্ভুক্তি এবং নির্যাতনের মাত্রা ও অপরাধীদের ক্ষমতার অপব্যবহারের চূড়ান্ত নমুনা হিসাবে তা নাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। এরফলে জাতীয় মহিলা কমিশনের উপর থেকে জনগনের আস্থা এবং এই ধরনের সংস্থা যেগুলির উদ্দেশ্য আমাদের সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলিতে ঘটতে থাকা বিভিন্ন অভিযোগের সুরাহা করা এবং সেখানে ব্যবস্থাপনায় ও পরিকাঠামোগত পরিবর্তন আনা, সেগুলির উপর থেকে দেশের মহিলাদের বিশ্বাস ধসে পড়ছে।”
স্বাক্ষরকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্তর দাবি করেছেন যে – কেন প্রজ্জ্বল রেভান্না এনডিএ থেকে হাসান লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার অনুমতি পেলেন, যেখানে তার যৌন নির্যাতনের অগণিত ঘটনার কথা সকলেই জানতেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে এক বিজেপি বিধায়ক দেবরাজে গৌড়া ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর লেখা এক চিঠিতে জানিয়ে ছিলেন?
এই খোলা চিঠিতে এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি জানানো হয়েছে যেহেতু তিনি প্রজ্জ্বল রেভান্নার মতো একজন পরিচিত ‘সিরিয়াল’ যৌন নির্যাতনকারীর পক্ষে ভোট চেয়ে ক্যাম্পেইন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার দাবিও করা হয়েছে, যদিও স্বাক্ষরকারীরা যোগ করেছেন, “মণিপুর ও অন্যান্য ঘটনার পরে তাঁর এই নীরবতা আশ্চর্যজনক নয়।”
নারীবাদীরা, নারী অধিকার আন্দোলনকর্মীরা এবং সচেতন ও চিন্তিত নাগরিকেরা, যাঁরা চিঠিটিতে স্বাক্ষর করেছেন তাঁরা কিছু অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলেছেন, যেমন:
- এই দেশের মহিলাদের অধিকারের অভিভাবকের (জাতীয় মহিলা কমিশন) প্রতিক্রিয়া কেন এমন ন্যূনতম, যেখানে একজন সাংসদ ও একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে অসংখ্য মহিলার সঙ্গে অত্যন্ত গুরুতর ও নজিরবিহীন যৌন নির্যাতন ও হিংসার অভিযোগ রয়েছে?
- প্রজ্জ্বল রেভান্না তার নির্মম, অপরাধমূলক কাজের পরেও কোনওরকম শাস্তির মুখোমুখি না হয়ে কীভাবে একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট’ নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেলেন এবং ক্ষমতায় থাকা কারা তাতে সাহায্য করলেন?
- কেন প্রজ্জ্বল রেভান্না এনডিএ থেকে হাসান লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার অনুমতি পেলেন, যেখানে তার যৌন নির্যাতনের অগণিত ঘটনার কথা সকলেই জানতেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে এক বিজেপি বিধায়ক দেবরাজে গৌড়া ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর লেখা এক চিঠিতে জানিয়ে ছিলেন?
- প্রজ্জ্বল রেভান্নার মতো একজন ‘সিরিয়াল’ যৌন নির্যাতনকারীর হয়ে ক্যাম্পেইন করে এবং সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার অনুমতি দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের মহিলাদের কী বার্তা দিলেন?
এই খোলা চিঠিতে জাতীয় মহিলা কমিশনকে বলা হয়েছে – প্রজ্জ্বল রেভান্নার ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট’ অবিলম্বে বাতিল করার সুপারিশ করতে, তার ভারতে ফেরা ও অবিলম্বে গ্রেফতার সুনিশ্চিত করতে, প্রজ্জ্বল রেভান্না ও এইচডি রেভান্নার অপরাধ লুকোতে বা ঘটাতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের সকলকেও গ্রেফতার করতে হবে।
বিষয়টির গুরুত্ব, অপরাধের মাত্রা ও যারা অপরাধী তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা মাথায় রেখে স্বাক্ষরকারীরা নিম্নলিখিত দাবিগুলি জানিয়েছেন:
- তাদের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর-এর ভিত্তিতে প্রজ্জ্বল রেভান্না ও এইচডি রেভান্নাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, পাশাপাশি প্রজ্জ্বল রেভান্না ও এইচডি রেভান্নার অপরাধ লুকোতে বা ঘটাতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের সকলকেও গ্রেফতার করতে হবে।
- জাতীয় মহিলা কমিশনের ক্ষমতানুসারে প্রজ্জ্বল রেভান্না ও এইচডি রেভান্নার বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে যাতে দ্রুত তদন্ত শুরু হয় এবং যথাযথ আইনি ও অপরাধ দমনমূলক পদক্ষেপ তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়।
- প্রজ্জ্বল রেভান্নার ‘ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট’ বাতিল করার সুপারিশ করতে হবে এবং তার অবিলম্বে ভারতে ফেরা নিশ্চিত করতে হবে।
- সার্ভাইভার-দের পরিচয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি সেই সমস্ত মহিলা যাঁরা যৌন নির্যাতিত হয়েছেন, অভিযোগ জানিয়েছেন, অভিযোগ জানাতে পারেন এবং যাঁরা সম্ভাব্য সাক্ষী, ২০১৮ সালের ‘উইটনেস প্রোটেকশন স্কিম’ অনুযায়ী তাঁদের সকলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
- যৌন নির্যাতনের সার্ভাইভার সকলের প্রয়োজনীয় মনস্তাত্ত্বিক, চিকিৎসাজনিত, আর্থিক ও আইনি সহায়তা সুনিশ্চিত করতে হবে, ২০১৮ সালের নালসা-র যৌন নির্যাতনের মহিলা সার্ভাইভারদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রকল্প অনুসারে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।
- এইচডি রেভন্নার বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য এবং যতদিন পর্যন্ত না তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলির আইনিভাবে সুরাহা হচ্ছে এবং তিনি যে সমস্ত অপরাধ ঘটিয়েছেন তার জন্য তাকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী সাব্যস্ত করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত প্রজ্জ্বল রেভান্না যাতে বিধায়ক পদের দায়িত্ব ফিরে না পান, তারজন্য সুপারিশ করতে হবে।
- বিজেপি সভাপতির উদ্দ্যেশ্যেও সমন জারি করতে হবে – ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্রের শাসক দল প্রজ্জ্বল রেভান্নার অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে কী জানত সেইসব তথ্যের তদন্ত করতে এবং এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন, যখন বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয় যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ থেকে অভিযুক্তকে সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার অনুমতি দেওয়া হবে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে তার হয়ে ক্যাম্পেইন করবেন।
- সার্ভাইভারদের সুরক্ষা ও সম্মানের জন্য, সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে নির্দেশ দিতে হবে ‘ডি-ইনডেক্স’ করার জন্য ও সমস্ত ভিডিও ও ছবি সরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই সংক্রান্ত সব কন্টেন্ট-এর ‘সার্কুলেশন’ ও ‘ডিস্ট্রিবিউশন’ কড়াভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মহিলা সার্ভাইভারদের ছবি ও ভিডিও যারা প্রচারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
খোলা চিঠিটিতে যোগ করা হয়, “নারীবাদী, মহিলাদের অধিকার ও গণতান্ত্রিক গোষ্ঠী হিসাবে, আমাদের আশা ও বিশ্বাস যে উপরে উল্লিখিত সব বিষয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নেওয়া সুনিশ্চিত করবে এবং চূড়ান্তভাবে এই কেসটি নিয়ে লড়াই করবে, যতদিন না সমস্ত অপরাধী, অপরাধ সংঘটনে তাদের সাহায্যকারী আইনিভাবে শাস্তি পায় এবং সকল সার্ভাইভারেরা সম্পূর্ণ সহায়তা পান।
এই চিঠি যখন পাঠানো হচ্ছে তখনই সংবাদে প্রকাশ একজন মহিলা রাজনৈতিক কর্মী দাবি করেছেন হাসানের সাংসস প্রজ্জ্বল রেভান্নার অফিশিয়াল কোয়ার্টারে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে গত ১ মে প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের কেসে ৪৪ বছর বয়সী এই মহিলা রাজনৈতিক কর্মী অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালে হাসানের সাংসদ তার অফিশিয়াল কোয়ার্টারে তাঁকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগকারিনী সিআইডিকে জানিয়েছেন, ২০২১ সালে সাংসদদের জন্য নির্দিষ্ট কোয়ার্টারে তাঁকে ধর্ষণ করার আগে জেডি(এস) নেতা ভয় দেখান, তিনি সহযোগিতা না করলে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে খুন করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রজ্জ্বল রেভান্না তার ফোনে যৌনতার ঘটনাটি রেকর্ড করেন ও সেই ফুটেজ দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করে ২০২১-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪-এর ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত তার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সংসর্গে বাধ্য করেন। তাঁর অভিযোগে এই মহিলা দাবি করেছেন তিনি তাঁর নিজের ও স্বামীর জীবনের ভয়ে অভিযোগ করেননি। কর্ণাটক সরকার যখন প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগের তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে তখন তিনি বেঙ্গালুরুতে ১ মে সিআইডি-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
জাতীয় মহিলা কমিশনকে লেখা চিঠিটি স্বাক্ষরকারীদের তালিকা সহ পিডিএফ দেওয়া হল।
[pdf-embedder url=”https://www.groundxero.in/wp-content/uploads/2024/05/Open-Letter-from-700-Citizens-to-NCW-Ensure-strong-action-against-Prajwal-Revanna.pdf” title=”Open Letter from 700 Citizens to NCW – Ensure strong action against Prajwal Revanna”]