৮৮.৪ লক্ষ প্রতিবন্ধী ভোটারের ভোটকে রাজনৈতিক দলগুলি কীভাবে দেখেন এবং প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের মধ্যেও বা নির্বাচনকে, নির্বাচনী রাজনীতিকে কীভাবে দেখা হয়, তা এই কনভেনশনে বিভিন্ন বক্তার আলোচনায় উঠে আসে।
সুদর্শনা চক্রবর্তীর প্রতিবেদন
May 1, 2024
ভারতে চলছে অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচন। সাত দফায় দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব’। নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ভরিয়ে দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। ক্ষমতায় আসলে নাগরিকদের জন্য, দেশের উন্নতির জন্য কতটা মুক্ত হস্তে, মুক্ত মনে কাজ করবেন তাঁরা সেই সব প্রচারে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রতিবারের মতোই এবারেও চোখে পড়েছে। ভোট দখলের রণকৌশলে যাতে তাঁরাই এগিয়ে থাকে তারজন্য পরিকল্পনায় কোনও খামতি নেই তাঁদের।
সাধারণ নির্বাচনের প্রেক্ষিতেই ৩০ এপ্রিল কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের মঞ্চ ‘ফোরাম ফর স্টুডেন্টস উইথ ডিসএবিলিটিস’ এক গণ কনভেনশন-এর আয়োজন করেছিল। বিষয় ছিল – ‘অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচন ও ভারতের প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলন: প্রাসঙ্গিকতা ও বাস্তব’। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধী অধ্যাপক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কলেজের অধ্যাপকেরা, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সংগঠনের প্রবীণ ও নবীন কর্মীরা, আন্দোলনকর্মী, ছাত্র রাজনীতির কর্মী, রিসার্চ স্কলার, সাংবাদিক প্রমুখের উপস্থিতিতে ও আলোচনায় এই কনভেনশন সংসদীয় রাজনীতিতে প্রতিবন্ধী মানুষদের অবস্থান বিষয়ে স্পষ্ট আলোকপাত করে এবং আগামীদিনে প্রতিবন্ধী আন্দোলনের অভিমুখ ভোটের রাজনীতির বিষয়টিকে ভেবে কোন দিকে হতে পারে সে বিষয়েও নজর দেওয়ার কথা বলেন।
চলতি সাধারণ নির্বাচন শুরুর আগে গত মার্চ মাসে দেশের নির্বাচন কমিশনার জানান অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে মোট ৮৮.৪ লক্ষ প্রতিবন্ধী মানুষ ভোটদাতা হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছেন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে এই সংখ্যাটি ছিল ৬২.৬৩ লক্ষ।
তিনি আরও জানান পোলিং বুথগুলিতে র্যাম্প ও হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়াও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, (ক) ৪০% বেঞ্চমার্ক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে এবং (খ) যাঁরা বুথে গিয়ে ভোট দেবেন, তাঁদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থাও করা হবে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনের আগে আরও জানায়, (ক) নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে প্রতিবন্ধীকতাকে ব্যবহার করে কোনওই অপমানজনক উক্তি ব্যবহার করা শাস্তিমূলক অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত হবে, (খ) ইউডিআইডি কার্ড অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে ভোট দেওয়া যাবে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনে মোট ৯৭.৮ কোটি ভারতীয় নাগরিক ভোট দানের জন্য নথিভুক্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা গত ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ৬% বেশি। লিঙ্গ বিভাজনের চিত্রের দিকে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন জানায়, ২০২৩-এর ৯৪০-এর তুলনায় তা বেড়ে হয়েছে ৯৪৮। মোট ভোটারের মধ্যে ৪৯.৭২ শতাংশ পুরুষ ও ৪৭.১ কোটি মহিলা ভোটার।
প্রতিবন্ধী ভোটদাতাদের মধ্যে লিঙ্গ বিভাজনের সঠিক তথ্য জানার জন্য প্রতিবন্ধী আন্দোলনকর্মীদের তরফ থেকে বিগত বহু বছরের দাবি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন সেই তথ্য এই বছরেও তুলে ধরেনি।
শেষ জনগণনার (২০১১) তথ্য অনুযায়ী ভারতে সে সময়ের ১২১ কোটি জনসংখ্যার ভেতরে প্রতিবন্ধী মানুষদের সংখ্যা ছিল ২.৬৮ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২.২১%। প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার মধ্যে ১.৫ কোটি ছিলেন পুরুষ ও ১.১৮ কোটি মহিলা। তারপর গত ১৩ বছরে ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, অতি সম্প্রতি তা চীনকে ছাপিয়ে গেছে, নিঃসন্দেহে বেড়েছে প্রতিবন্ধী মানুষদের সংখ্যাও, যদিও জনগণনা না হওয়ার কারণে সঠিক তথ্য অজানাই রয়ে গেছে। তাছাড়া জনগণনার সময়ে প্রতিবন্ধী মানুষদের সংখ্যা অনেক সময়েই সামনে আসে না সামাজিক সচেতনতার অভাব, ট্যাবু ইত্যাদি নানা কারণে। ফলে বিশেষত প্রতিবন্ধী নারী, প্রতিবন্ধী প্রান্তিক যৌন ও লিঙ্গ পরিচিতির মানুষেরা কতটা জনগণনায় শামিল হতে পারেন সে প্রশ্নও রয়ে যায়।
এই প্রেক্ষাপটে ৮৮.৪ লক্ষ প্রতিবন্ধী ভোটারের ভোটকে রাজনৈতিক দলগুলি কীভাবে দেখেন এবং প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের মধ্যেও বা নির্বাচনকে, নির্বাচনী রাজনীতিকে কীভাবে দেখা হয়, তা এই কনভেনশনে বিভিন্ন বক্তার আলোচনায় উঠে আসে।
মূল যে বিষয়গুলি এদিনের কনভেনশনে উঠে আসে তার মধ্যে রয়েছে :
- বৃহত্তর রাজনীতি, সংসদীয় রাজনীতিতে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কথা হয় না।
- প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কথা বললে ধরেই নেওয়া হয় ভোটে তার বিশেষ প্রভাব পড়বে না। অথচ প্রতিবন্ধী মানুষেরা একটা বড় ভোটব্যাঙ্ক।
- প্রতিবন্ধী আন্দোলনের মধ্যে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এবং বৃহত্তর রাজনীতির আঙিনায় প্রতিবন্ধী আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলন হিসাবে দাগিয়ে দিয়ে তার রাজনৈতিক গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
- রাজনীতি ও সামাজিক পরিসরে মানসিকতা কাজ করে যে প্রতিবন্ধী মানেই অরাজনৈতিক – যা সর্বতোভাবেই অসত্য। আরো বেশি করে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে, ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মানসিকতা দূর করার প্রয়োজন রয়েছে।
- ভবিষ্যতে নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলি প্রার্থী দিতে পারে কি না, নিজেদের নির্বাচনী গুরুত্ব কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলির সামনে আরও জোরালোভাবে উপস্থাপন করা যায় তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে।
- নতুন প্রজন্মের প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলনের কর্মীদের – ‘প্রতিবন্ধী কী? কেন? তার রাজনৈতিক অধিকার কেন নেই?’- এই প্রশ্নগুলি নিয়ে রাজনৈতিক পরিসরে আলোচনা বাড়াতে হবে। প্রতিবন্ধকতা যে সামাজিক বাধা এবং তা দূর করার দায়িত্ব যে রাষ্ট্রের, ক্ষমতায় থাকা দলের তা বারবার মনে করিয়ে তাদের দায়িত্বশীল করে তুলতে হবে।
- বর্তমান কেন্দ্র সরকার সমস্তটাই পুঁজিবাদী ব্যবস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে সংরক্ষণের কোনও বিষয়ও আর থাকবে না। আর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপরে, যার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই রয়েছে প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়।
- প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তিদের অধিকার আইন ২০১৬-তেও শিক্ষা, কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা থাকলেও বেসরকারী শিক্ষ ও জীবিকা ক্ষেত্রে কোনও সংরক্ষণের উল্লেখ নেই। ঠিক যেমন ভারতীয় রেলে প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সংরক্ষণ থাকলেও, নতুন প্রযুক্তির বন্দে ভারতের মতো দ্রুত গতির ট্রেনে এধরনের কোনও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই।
- জাতীয় শিক্ষা নীতির মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর জাতীয় নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। যাঁরা ভোটের রাজনীতি করে তাঁরা কেউই চায় না নাগরিকদের স্বাধীকার রক্ষা হোক।
- ভোটের প্রচারে বয়স ও সক্ষমতাকে জুড়েও প্রচার করা হচ্ছে যা পরোক্ষে প্রতিবন্ধকতা-বিরোধী। একজন প্রতিবন্ধী মানুষ নির্বাচনে প্রার্থী হলে জনমানসে অনেকাংশেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
- সংবাদমাধ্যমে প্রতিবন্ধী মানুষদের সমস্যা, দাবি, অধিকার, সব ক্ষেত্রে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি ও সেখানে তাঁরা যেভাবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দ্বারা বঞ্চনার শিকার হন, তা নিয়ে আলোচনা প্রায় হয়ই না। কারণ সব ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা জড়িয়ে থাকে, যেমন জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রতিবন্ধকতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতি সাম্প্রতিক উদাহরণ, পশ্চিমবঙ্গে রাতারাতি ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া, যার মধ্যে একটা বড় অংশ প্রতিবন্ধী। সংবাদমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের রাজনীতিকরণ করা হয় না।
- সংবাদ মাধ্যমের পরিসর এখন বিভিন্নভাবে ব্যপ্ত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মাধ্যমটিকে ব্যবহারের পন্থায় আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই বদল আনতে হবে। প্রয়োজনে যেমন প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে উৎসাহী সংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, তেমনি নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে, সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রটিকে ব্যবহার করে নিজেদেরও প্রতিবেদন তৈরিতে কিছুটা দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
- কেন্দ্র সরকার প্রতিবন্ধী মানুষদের দিব্যাঙ্গ বলছে। এই নামকরণ অরাজনৈতিককরণেরই হাতিয়ার। অন্যদিকে তাঁদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতিবন্ধী ভাতার নাম দিচ্ছে মানবিক ভাতা, যা ‘চ্যারিটি’ মনোভাবের প্রকাশ। সেই ভাতা বাড়ানোরও কোনও উদ্যোগ নেই। পশ্চিমবঙ্গে ইউডিআইডি কার্ড করানোতেও রাজ্য সরকারের অনীহা ও বিরূপ মনোভাব লক্ষ্যণীয়।
- সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নানা কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বিশেষভাবে প্রয়োজন রাজনৈতিক পরিসরে।
- বিবিধ প্রতিবন্ধী আন্দোলনের ফলেই নির্বাচন কমিশন প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। ‘নাথিং অ্যাবাউট আস উইথআউট আস’-এর শ্লোগানকে প্রতিবন্ধী আন্দোলনের নিরিখে নির্বাচনী রাজনীতিতেও শামিল করতে হবে। প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলন রাজনীতিবিমুখ থাকতে পারা সম্ভব নয়।
- প্রতিদিনের রাজনীতির আলোচনার মূলস্রোতে প্রতিবন্ধী ডিসকোর্স আসছে কি না, বিকল্প রাজনীতির পরিসর তৈরি করা যাচ্ছে কি না, ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তা আরও সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষনের প্রয়োজন রয়েছে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যেও। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রতিবন্ধী প্রার্থী থাকার প্রয়োজনীয়তা বোঝা প্রয়োজন।
- প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলনের পরিসরে মহিলাদের অবস্থানকে বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার মধ্যে একটা বড় অংশ মহিলা যাঁরা মহিলা ও প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ‘ডাবল মার্জিনালাইজেশন’-এর মধ্যে দিয়ে যায়। সামাজিক ট্যাবু ও বৈষম্যের কারণে তাঁদের দৃশ্যমানতা থাকে না, যেন তাঁরা এক অদৃ্শ্য জনসংখ্যা হয়ে থাকে। ফলে ভোটদাতা হিসাবেও তাঁদের দাবিগুলি যেন সামনে আসে না। প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলনের মধ্যেও পিতৃতান্ত্রিকতা, বৈষম্যের যে প্রভাব রয়েছে সেক্ষেত্রে আত্মসমালোচনার পরিসর রয়েছে। তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তাঁদের উপরে হওয়া হিংসা – ইত্যাদি বিষয়গুলি নারীদের নিয়ে যখন রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচার হয়, তখন একটি দল বাদ অধিকাংশ দলের ক্ষেত্রেই তা বাদ পড়ে যায়, সেই দল প্রতিবন্ধীদের জন্য নিজেদের নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতিতে প্রতিবন্ধী মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। কেন্দ্র সরকার বা অন্যান্য বিরোধী দলের ইস্তেহারে প্রতিবন্ধী মহিলাদের উল্লেখ থাকে না। প্রতিবন্ধী মহিলাদের দৃশ্যমানতা আন্দোলনের পরিসরে রাজনৈতিকভাবে না বাড়লে নির্বাচনী রাজনীতিতেও তাঁদের অবস্থান জোরালো হবে না।
এই গন কনভেনশনে বেশ কিছু জরুরি বিষয় উঠে আসে, যা ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী আন্দোলনের অভিমুখ তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিতে চলা এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণী জানান, তিনি চান সব প্রার্থীর নাম যেন ভবিষ্যতে ব্রেইল-এ থাকে, যাতে তিনি নিজে বুঝে ভোট দিতে পারেন পছন্দের প্রার্থীকে এবং তিনি পোলিং বুথে গিয়েই ভোট দিতে আগ্রহী, যা নিঃসন্দেহে বুথগুলির অ্যাক্সেসেবল হওয়ার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে এই প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত অনুভূতি, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য আন্দোলনের মানুষদের উপস্থিতি আরও বেশি করে প্রয়োজন প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের আন্দোলনে কারণ সমাজ ও যেকোনও আন্দোলনেই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি রাজনৈতিক, সামাজিক।