পুলিশি আক্রমণে খেতমজুর আনারুল ইসলামের (৫৩) মৃত্যুর তীব্র নিন্দা করল সংযুক্ত কিষান মোর্চা (এসকেএম), কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ এবং ক্ষেত্রীয় ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন।
Groundxero| 16th February, 2024
মঙ্গলবার বহরমপুরে আইন অমান্য আন্দোলনে খেতমজুর আনারুল ইসলামের (৫৩) মৃত্যুর তীব্র নিন্দা করল সংযুক্ত কিষান মোর্চা (এসকেএম), কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ এবং ক্ষেত্রীয় ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিবৃতিতে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পুলিশ বাহিনীর অন্যায় বলপ্রয়োগের” তীব্র নিন্দা করে তারা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায়। এই ঘটনায় অন্তত ৬০ জন আন্দোলনকারী আহত হন। আনারুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলি নিহতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের এক জন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ারও দাবি জানায়।
১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আইন অমান্য, জেল ভরো, গ্রামীণ ও ক্ষেত্রভিত্তিক শিল্প ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসকেএম ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। ১৩ ফেব্রুয়ারি তারই সমর্থনে রাজ্যের জেলায় জেলায় আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বামপন্থী শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুরদের সংগঠনগুলি। সংগঠনগুলির অভিযোগ, বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পৌঁছলে পুলিশ ‘বিনা প্ররোচনায়’ নির্মম ভাবে লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস চালায়। কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আনারুলকে প্রথমে ইসলামপুর হাসপাতাল ও পরে ডোমকল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডোমকল হাসপাতাল থেকে বহরমপুর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিনের ঘটনায় পুলিশের আক্রমণে ৬০ জনেরও বেশি আহত হন বলে জানা গিয়েছে। ৬ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রেস বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা করে বলা হয়, আনারুল ইসলাম এসকেএম ও জেপিসিটিইউ’র রাজ্য সমন্বয় কমিটির ডাকা এক বিশাল প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। গ্রামীণ ও শিল্প ধর্মঘটের সমর্থনে এই প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়েছিল। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), ঋণ মকুব; সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির বেসরকারিকরণ, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের ইস্যুগুলি সামনে রেখে এই শান্তিপূর্ণ জমায়েতের উপর পুলিশ তীব্র আক্রমণ চালায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার শ্রমিক-কৃষকদের উপর বিনা প্ররোচনায় এই পুলিশি আক্রমণের জন্য দায়ী।