এই শিল্পীরা যখন সরকারকে খুশি করার ছবি এঁকে মন কি বাতের শততম শো’তে প্রদর্শিত করছেন তখন এই ফরমানি প্রদর্শনীর পাশাপাশি সাক্ষী দেবে সত্য ঘটনার নিদর্শনগুলিও। …ইতিহাসে থাকবে ধর্ম আর জাতির নামে এই সময়কালের হীনতার সব থেকে নির্মম ঘটনাগুলি, সমস্ত জনমাধ্যম দখল করে নিয়ে দিবারাত্রি প্রোপাগান্ডা চালিয়ে সমগ্র দেশের মস্তিষ্কে ঘৃণা আর বিদ্বেষের বীজবপন করার একের পর এক নমুনাগুলি। লিখলেন আনখ সমুদ্দুর।
একটি ফ্যাসিস্ট দেশের চলমান আর আসন্ন সময়ের আবহ তার অতীতের উত্তরাধিকার সূত্রেই নির্মিত হয়। দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বর্ণ-শ্রেণি-লিঙ্গ ভিত্তিক গভীর বিভাজনের বিচ্যুতিরেখা আর আধুনিক স্বতন্ত্র রাষ্ট্রে ন্যায়, সাম্যের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির প্রতারণাকে আড়ালে রাখতে সরকার আপামর জনগণকে জাতীয়তাবাদের আফিম খাওয়ায়। এর পরে রাষ্ট্রের পরিণত বয়স্ক সরকার স্বৈরাচারী রূপ ধারণ করে উগ্র ধর্মান্ধতার মহৌষধি উপহার দেয় তার নাগরিককে। এই নিয়ন্ত্রিত আবহে নির্লিপ্ত জনগণের কাছে ধীরে ধীরে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে মানুষ হত্যা থেকে জাতিবিদ্বেষের মতো ঘটনাগুলো গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। আর বিক্রি হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রের একান্ত অনুগত মিডিয়া এই বর্বরতাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কাজ সমেত নগ্ন ভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের গুণগান করে, এমন মনে হয় যেন সবটাই স্বাভাবিক, সুন্দর।
ইতিহাস সাক্ষী হিটলার, মুসলিনিরা শুধু তোষামোদী মিডিয়া নয়, তোষামোদী আর্টিস্টদেরও স্যাঙাত বানিয়েছিল। সেই ইতিহাসের ধারাবাহিকতা মেনেই তোষামোদী মিডিয়ার পাশাপাশি সমসাময়িক শিল্পীদের একাংশকে দিয়ে ফ্যাসিবাদকে আরেকটু শানিত করে নেওয়ার প্রয়াসকে আমরা দেখলাম কিছুদিন আগে, গোদী মিডিয়ার পর এবার হাজির গোদী শিল্পীর দল, সরকারের কোলে দোদুল্যমান একদল সুযোগসন্ধানী দাস-শিল্পী।
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন, মন কি বাত নামক রেডিও অনুষ্ঠানের শততম পর্ব উদযাপন করতে দিল্লির গ্যালারি অব মর্ডান আর্ট (এনজিএমএ)-এ নরেন্দ্র মোদীর অনুপ্রেরণায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। সেখানে দেশের তথাকথিত নামজাদা কিছু শিল্পীরা তাঁদের শিল্পকর্ম নিয়ে উপস্থিত হয়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। এই শিল্পীরা এই ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে সর্বসম্মুখে প্রকাশিত করলেন ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি তথা ফ্যাসিষ্ট সরকারের প্রতি এক ধরণের ইতিবাচক সমর্থন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যেমন রিয়াজ কামুর নাম উল্লেখযোগ্য, যার শিল্পে বারবার উঠে আসতে দেখা গেছে গান্ধী ও আম্বেদকরের তুলনামূলক আলোচনা এবং আম্বেদকরের সাম্যবাদী দর্শন। অন্যদিকে ঠুকরাল ও টাগড়া, যাঁরা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তাঁদের নানা শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেছিলেন এক সময়; এই সব শিল্পী এবং তাঁদের কাজকে এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আত্মসাৎ করে নিতে পারল ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর এই অনুষ্ঠানে আগত শিল্পীদের সাথে নরেন্দ্র মোদীর ছবিগুলো সংবাদমাধ্যমে দেখে অনেকটাই বোঝা সম্ভব যে এ এক প্রকার প্রশ্নহীন আনুগত্য।
এই প্রতিবেদনটির বিষয় এ সম্পর্কিত হলেও এটা থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ, ভিন্ন আর জটিল। এই বছর মে মাসে এনজিএমএ- তে “জনশক্তি” নামক এই প্রদর্শনীর শুরু হবার সময়েই শিল্পকলা ও একাডেমিক জগতের কিছু মানুষ এই ফ্যাসিস্ট সরকার এবং তার তোষামোদী আর্টিস্টদের অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী লেখালেখি করেছিলেন। সমাজমাধ্যম এবং কিছু স্বতন্ত্র মিডিয়াতেও সেসব লেখা প্রকাশ পায়। এই লেখকদের মধ্যে একজন ছিলেন ডক্টর সন্দীপ কে. লুইস। সন্দীপ একজন শিল্প সমালোচক, গবেষক ও শিক্ষক, যিনি আম্বেদকর ও অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি-সহ আরও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আংশিক সময়ের শিক্ষকতার কাজ করেছেন। এবং এই সমালোচনা লেখার সময় কালে তিনি কিরণ নাদার মিউজিয়ামে একজন গবেষক কর্মী হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। সন্দীপ তার লেখায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে আলোকপাত করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের তোষামোদকারী শিল্পীবর্গের সমালোচনার পাশাপাশি তার লেখায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে এই মন কি বাত—জনশক্তি প্রকল্পের মূল উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা কিরণ নাদারের ভূমিকার কথা। কিরণ নাদার দিল্লির বিখ্যাত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিরণ নাদার মিউজিয়াম অব আর্টের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, আর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পমহলে একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। কিরণ নাদারের মতো অবস্থানে থাকা সমকালীন শিল্পপৃষ্ঠপোষক অলিগার্চদের শ্রেণিচরিত্র আর বিখণ্ডিত, ভঙ্গুর, ঐক্যহীনতায় ভোগা শিল্পজগতের ওপর তাদের অবাধ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সন্দীপ। সন্দীপের এই প্রতিবাদী লেখাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, অনেকেই সহমত জ্ঞাপন করতে থাকেন। নিজের রাজনৈতিক অবস্থানকে মুক্ত ভাবে ব্যক্ত করার কারণে প্রথমে তাঁকে ওই মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফে শো কজ করা হয় এবং গত ৫-৭-২০২৩ এই ঘটনার জেরে তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন।
বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের সুবিধার স্বার্থে সব সময় সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে চলে। কারণ তাঁদের শ্রেণি আর ক্ষমতার আঁতাতের সঙ্গে তা সাজুয্যপূর্ণ। কিন্তু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলি যখন ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে হাত মেলায় তখন স্বাভাবিকভাবে তাদের চরিত্রের মধ্যেও দমনকারী মনোভাব প্রস্ফুটিত হয়। তখন নিজেদের ক্ষমতা আর দম্ভের জোর খাটিয়ে তার অধীনস্ত কর্মচারীর গোটা সত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিলিপ্সা দেখা যায়। এই ক্ষেত্রেও কিরণ নাদার মিউজিয়াম থেকে ডক্টর সন্দীপ কে. লুইসকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যে এই ক্ষমতার দম্ভই প্রতিফলিত হয়।
আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকার বলে প্রতিটি মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারী। কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করা মানে নিজের গোটা সত্তাকে তাদের কাছে বিকিয়ে দেওয়া নয়। সেই সাংবিধানিক অধিকারের জায়গা থেকেই সন্দীপ কে. লুইস, উক্ত প্রদর্শনীতে অংশগ্রহনকারী শিল্পী ও সংগঠকদের সমলোচনা করেন। আর সমালোচনা গ্রহণ করবার ক্ষমতা যে ফ্যাসিবাদী সরকার বা প্রতিষ্ঠানের থাকে না, এই সত্যটি আমরা ইতিহাসের ধারাবাহিকতা থেকে জানি।
এই সময়ে সন্দীপ কে. লুইসের চাকরি থেকে বরখাস্ত এটা প্রমাণ করল যে আগামীর ইতিহাসে শিল্পসনদে লেখা থাকবে, যেমন ধরুন এইসব সরকারি চাটুকার শিল্পীর প্রদর্শিত কাজগুলিও:
ওয়াটার কনজারভেশন, বিভা গালহোত্র; উইমেন এনভায়রনমেন্ট, মাধবী পারেখ; অ্যাওয়ারনেস অন করোনা প্যান্ডেমিক, অতুল দোদিয়া; স্বচ্ছ ভারত অভিযান, রিয়াজ কামু; এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ, জি আর ইরান্না; ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল সিস্টেম, অসীম পুরকায়স্থ; যোগ ও আয়ুর্বেদ বিষয়ে মনু পারেখ; ইন্ডিয়ান টেকনোলজি এবং স্পেস সায়েন্স বিষয়ে ঠুকরাল ও টাগরা; পরেশ মাইতির বিষয় ছিল ‘দ্য ইমপর্ট্যান্স অব ইন্ডিয়াজ ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড মর্ডান প্র্যাক্টিসেস ইন অ্যাচিভিং ইয়োর বেস্ট পোটেনশিয়াল; প্রতুল দাস তাঁর শিল্পকলার মআধ্যমে তুলে ধরেন ইকনমিক, সায়েন্টিফিক, কালচারাল অ্যান্ড এডুকেশনাল অ্যাচিভমেন্টস অব ইন্ডিয়া আফটার ইন্ডিপেন্ডেস অ্যান্ড ফিউচার সলুশনস; জগন্নাথ পাণ্ডার বিষয় ছিল ইম্পর্ট্যান্স অব ইউনিক কালচারাল অ্যাড সোশাল ক্যারেস্টারিস্টিকস অব নর্থইস্ট ইন্ডিয়া এবং মঞ্জুনাথ কামাথের বিষয় ছিল ইন্ডিয়া অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড।
এই শিল্পীরা যখন সরকারকে খুশি করার ছবি এঁকে মন কি বাতের শততম শো’তে প্রদর্শিত করছেন তখন এই ফরমানি প্রদর্শনীর পাশাপাশি সাক্ষী দেবে সত্য ঘটনার নিদর্শনগুলিও। যখন সরকারের অবহেলায় যমুনা নদী দূষণে ধুঁকছে, হাথরাসে ধর্ষিত মেয়েটিকে যখন পুলিশ জ্বালিয়ে দিচ্ছে, লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের হাজার হাজার মাইল পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরা, পরিযায়ী শ্রমিকের উপর নির্বিচারে কীটনাশক স্প্রে করার দৃশ্য, স্বচ্ছ ভারতের নামে দিল্লির শ্রমিক বস্তির উপর নির্বিচারে বুলডোজার চালানো। এই সরকারের কর্মকাণ্ডের জেরে যোশী মঠ সমেত আরও অসংখ্য পরিবেশ ধ্বংসের ঘটনা, কৃষক আত্মহত্যার কথা, কৃষক আন্দোলনের কথা, ক্রমবর্ধমান জাতিবিদ্বেষ মূলক ঘটনার কথা, রামদেব থেকে শুরু করে এই সময়ের ভন্ড ভণ্ড গুরুদের কথা; একের পর এক গবেষণা কেন্দ্রগুলির রিসার্চ ফান্ডিং-এর অভাবে মৃত্যুর কথা; সরকারের এমন অসংখ্য অত্যাচার ও হিংস্রতার কথা রয়ে যাবে। থাকবে স্ট্যান স্বামীকে জেলে হত্যার ঘটনা। বিনা বিচারে রাজনৈতিক বন্দিদের আটকে রাখার কথা। ইতিহাসে থাকবে ধর্ম আর জাতির নামে এই সময়কালের হীনতার সব থেকেননির্মম ঘটনাগুলি, সমস্ত জনমাধ্যম দখল করে নিয়ে দিবারাত্রি প্রোপাগান্ডা চালিয়ে সমগ্র দেশের মস্তিষ্কে ঘৃণা আর বিদ্বেষের বীজবপন করার একের পর এক নমুনাগুলি।
আমরা জানি একজন সৎ শিল্পীর অন্তত ন্যূনতম বোধের জায়গা থাকে সত্যের পক্ষে থাকার, নিজের শিল্পে সত্যকে উন্মোচিত করার। কিন্তু এই সময়ের কর্পোরেট সমর্থন পুষ্ট শিল্পীরা নিজেদের স্বার্থে হয় নীরব নয়তো ক্ষমতার ভাষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আর সরকারের এই তোষামোদকারী শিল্পী ও সংগঠকদের বিষয়ে সমালোচনা লিখে চাকরি খোয়াতে হয় ডক্টর সন্দীপ কে. লুইসকে। তবু এই খোয়ানোর মধ্যে যেটুকু পাওয়া তা হলো আগামীর ইতিহাসে ডক্টর সন্দীপের সচেতন প্রতিবাদের ভূমিকাও লিপিবদ্ধ রাখা হবে। গ্রামশির ভাবনায় আধুনিক পৃথিবীতে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বলতে শুধু রাষ্ট্র বা সরকারি প্রশাসনকে বোঝায় না আর। এখন শাসক শ্রেণি তার ক্ষমতাকে প্রতিস্থাপিত করে মানুষের ও সমাজ চেতনার প্রতিটা অনুপুঙ্খ স্তরে। এই সময়ে ক্ষমতা আসলে বিকট প্রভাবশালী এক বিকেন্দ্রিক চরিত্র যেন। তাই এখন ফ্যাসিস্ট সরকারই শুধু নয়, তার অধীনস্ত প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের স্বরূপও আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে।
শেষ অংশে উল্লেখ করতে চাইব, ডক্টর সন্দীপ লুইস এই শিল্পী মহলে মোটামুটি পরিচিত নাম, তাই তাঁর অন্তত এটুকু লড়াইয়ের জায়গা আছে যে তিনি নিজের ‘ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন’ ও ‘রাইট টু ওয়ার্ক’-এর বিষয়ে আওয়াজ তুলতে সক্ষম। এইসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন কত অসংখ্য মানুষকে কাজ হারাতে হয়, যাদের কাজের নিরাপত্তা তো দূরের কথা, স্বাধীন অভিব্যক্তির ন্যূনতম জায়গাটুকুও নেই। সন্দীপের হয়ে কিছু সচেতন শিল্পী ও শিক্ষা জগতের মানুষ এগিয়ে এসেছেন একটা বড় প্রশ্নকে সামনে রেখে, এত সহজেই কারোর চাকরি কেড়ে নেওয়া যায় না, দেশের সাংবিধানিক অধিকারের জায়গা থেকে অন্তত। তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন অন্যান্য আরও শিল্পী, একাডেমিক, ও রাজনৈতিক চেতনার মানুষের কাছে সই সংগ্রহের আবেদন নিয়ে। এটা হয়তো একটা অসম লড়াই; এটুকু অন্তত প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া, যে এই রাষ্ট্রে অভিব্যক্তির কারণে কাজ খোয়ানো আসলে এক ধরণের ফ্যাসিবাদী দমন। বৃহত্তর এই গণতান্ত্রিক সমাজে রাষ্ট্রীয় ও অর্থ ক্ষমতায় বলিয়ান মানুষেরা যা খুশি তাই করতে পারে না। ক্ষমতার বিরুদ্ধে অনেক ভাষা উঠে আসবেই নানা রূপে নানান স্তর থেকে। আর এই ছোট ছোট লড়াই গুলোও ক্রমে একসাথে দানা বেঁধে একদিন নিশ্চয় এই ফ্যাসিস্ট মানসিকতার বদল আনবে।
Cover Image : PM Narendra Modi, at the Jana Shakti exhibition at the National Gallery of Modern Art (NGMA), Delhi.