সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে কোথাও বিলগ্নীকরণ, কোথাও কর্পোরেশন তৈরির মাধ্যমে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ভারতীয় রেলের ম্যানুফ্যাকচারিং ডিভিশন বা এলআইসি–ছবিটা মোটের উপর একই রকম। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা দিল্লির সরকার বুক বাজিয়ে ঘোষণা করেছে, সেই তালিকায় পরবর্তী নিশানা ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা। লিখেছেন সুমন কল্যাণ মৌলিক।
২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা দিল্লির সরকার বুক বাজিয়ে ঘোষণা করেছে, সেই তালিকায় পরবর্তী নিশানা ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা (এখন থেকে ইন্ডিয়া পোস্ট)। সম্প্রতি (১০ আগস্ট, ২০২২) ডাক বিভাগের কর্মীরা তাদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের (পোস্টাল জয়েন্ট কাউন্সিল অব অ্যাকশন) পক্ষ থেকে ইন্ডিয়া পোস্টের সম্ভাব্য কর্পোরেটকরণ ও বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে এক সফল ধর্মঘট করেছেন। এই প্রতিবাদ আশাব্যঞ্জক কারণ বিগত সময়ে আমরা দেখেছি কর্মচারী এবং শ্রমিকদের প্রতিরোধকে অগ্রাহ্য করে আচ্ছে দিনের সওদাগর তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সফল হয়েছে। সংগঠনগুলির দাবিপত্রে বিভিন্ন দাবির কথা উল্লেখিত হলেও সেগুলি মূলগতভাবে একটা সূত্রে বাঁধা, তা হলে যে কোনও মূল্যে ইন্ডিয়া পোস্টের কর্পোরেটকরণকে রোখা। আর বিষয়টি শুধু ডাক বিভাগের কর্মচারীদের চাকরির ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত নয়, কর্মী সংগঠনগুলির মতে এর দ্বারা সাধারণ মানুষের স্বল্পসঞ্চয়ে ও ডাক জীবনবিমায় (পিআইএল নামে জনপ্রিয়) গচ্ছিত পোস্ট অফিসগুলিতে জমা রাখা বিপুল অঙ্কের অর্থ সরাসরি আক্রান্ত ও বিপন্ন হতে চলেছে। ফলে এই ডাক ধর্মঘটের মূল দাবিটির সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকদের আর্থিক নিরাপত্তার সরাসরি যোগাযোগ আছে। বর্তমান নিবন্ধে আমরা কর্পোরেটকরণের নীল নকশা ও তার সম্ভাব্য পরিণাম কর্মী ও গ্রাহকদের উপর কীভাবে পড়বে তা আলোচনা করব। তবে সবার আগে খুব সংক্ষেপে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার ইতিহাসটা জেনে নেওয়া দরকার।
ইন্ডিয়া পোস্ট প্রায় দেড়শো বছর ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দেশের মেরুদণ্ড, যার প্রধান কাজ মানুষের কাছে চিঠিপত্র পৌঁছে দেওয়া। ১৭৬৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা শুরু হয়, পরে বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ রাজ তাকে এক পাকাপোক্ত সংগঠনের রূপ দেয়। স্বাধীনতার সময় ভারতে পোস্ট অফিসের সংখ্যা ছিল ২৩,৩৪৪ যার মধ্যে বেশিটাই ছিল শহরকেন্দ্রিক। পরবর্তী কালে সরকারি উদ্যোগে দেশ জুড়ে ডাক পরিষেবার বিস্তৃতি শুরু হয়। ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ১,৫৪,৯৬৫ টি পোস্ট অফিস আছে, যার মধ্যে ১,৩৯,০৬৭টি গ্রামীণ এলাকায়। এককথায় সাতগুণ বৃদ্ধি। গড়পরতা ভারতে একটা ডাকঘর ৭,০০০-৯,০০০ মানুষকে পরিষেবা দেয়। সবচেয়ে প্রসারিত ডাক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভারতের স্থান পৃথিবীতে প্রথম। একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, ইন্ডিয়া পোস্ট বহুবিধ উপায়ে মানুষের জীবনকে স্পর্শ করে চলেছে। যদিও ডাক পরিষেবা দেওয়াটা তার প্রধান কাজ কিন্তু একই সঙ্গে স্বল্প সঞ্চয় ও জীবনবিমা তার কাজের এক বড় জায়গা। এছাড়া যুক্ত হয়েছে গ্রামাঞ্চলে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশানাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট বা ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরি প্রদান, বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার মত আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা। অনেকে বলার চেষ্টা করেন যে, স্মার্টফোনের এই সর্বব্যপ্ত বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে চিঠিপত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ অনেক কমে গেছে। কথাটা মিথ্যা নয়, কিন্তু একই সঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার যেহেতু পোস্ট অফিস আজ বিভিন্ন রকমের পরিষেবা দেয় এবং নানান ধরণের আর্থিক পণ্য বিক্রি করে তাই পোস্ট মাস্টারের গুরুত্ব কমেনি। আগে যেমন গ্রামীণ ডাকসেবক বলতে সাইকেল চেপে খাকি ইউনিফর্ম আর ঝোলা কাঁধে এক ব্যক্তির চিত্রকল্প আমাদের সামনে ভেসে উঠত, এখন কিন্তু ছবিটা অনেকটাই পাল্টেছে। হাতে স্মার্টফোন নিয়ে এই মানুষেরাই আজ প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেন।
ইন্ডিয়া পোস্ট কর্পোরেটকরণের লক্ষ্যে প্রথম ধাপ ছিল প্রাক্তন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি টি এস আর সুব্রামনিয়মের নেতৃত্বে গঠিত দশ সদস্যের এক টাস্ক ফোর্স (২০১৪)। এই কমিটি ইন্ডিয়া পোস্টকে ছয়টি ইউনিটে ভাগ করার প্রস্তাব দেয় : ১) ব্যাঙ্কিং ও ফিনানসিয়াল সার্ভিসেস। ২) বিমা (পোস্টাল লাইফ ইন্সুইরেন্স)। ৩) তৃতীয় কোনও পক্ষের আর্থিক পণ্য বিক্রয়। ৪) সরকারি পরিষেবা প্রদান। ৫) পার্সেল ও প্যাকেট, এবং ৬) চিঠিপত্র পৌঁছানোর কাজ। এই তালিকার মধ্যে প্রথম পাঁচটিকে চিহ্নিত করা হয় স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিট এবং ষষ্ঠটিতে ভর্তুকি দিয়ে চিঠিপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। ইন্ডিয়া পোস্টের মধ্যেই গঠিত হবে এক হোল্ডিং কোম্পানি [ ইন্ডিয়া পোস্ট (ফিনানসিয়াল অ্যান্ড আদার সার্ভিসেস) কর্পোরেশন লিমিটেড]। এই কর্পোরেশন পরিচালনা করবে একটি বোর্ড, আবার পাঁচটা অধীনস্থ ইউনিটগুলির আলাদা আলাদা বোর্ড থাকবে। এটা তখনই বলা হয়েছিল যে, প্রথম পাঁচটা ইউনিটের লাভ দিয়ে ষষ্ঠ ইউনিটের ক্ষতিপূরণ করা হবে। তখনই কিন্তু এটা পরিষ্কার হয়েছিল যে আগামী দিনে এমনটা হতেই পারে যে সরকার তার হোল্ডিং-এর অংশ অন্য কোনও কোম্পানি বা কর্পোরেট সংস্থাকে বিক্রি করেই দিতে পারে। সেই কর্পোরেট আবার পরে শেয়ার বাজারে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারে।
কমিটির আরও সুপারিশের মধ্যে ছিল ‘দি ইন্ডিয়ান পোস্ট অফিস অ্যাক্ট-১৮৮৯’-কে বাতিল করে এক নতুন আইন আনা যার দ্বারা পূর্ববর্তী সুপারিশগুলোকে সহজেই বাস্তবায়িত করা যাবে। আরেকটি সুপারিশ হল, আলাদা করে ‘পোস্ট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া’ স্থাপন করা। বলা হয় প্রথম তিন বছরে প্রত্যেকটি জেলায় অন্তত একটি করে এই ব্যাঙ্কের শাখা খোলা হবে এবং এই ব্যাঙ্কের প্রাথমিক মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা যা সরকার দেবে। এই প্রস্তাব মোতাবেক ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক’ (আইপিপিবি) তৈরি হল। ডাক কর্মী সংগঠনগুলো সেই সময় এর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয়। সরকারের সেই সময় প্রধান শ্লোগান ছিল ‘আর্থিক সংযুক্তি’ (financial inclusion)। তাই সেই প্রতিবাদকে অগ্রাহ্য করে আধুনিক ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মডেলে এবং ইন্ডিয়া পোস্টের পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে আইপিপিবি ১,৩৬,০০০ ডাকঘরে এই পরিষেবা দেয় যার মধ্যে ১,১০,০০০ গ্রামীণ এলাকায়।
মুখে পিছিয়ে পড়া মানুষের আর্থিক সংযুক্তির কথা বলা হলেও কর্পোরেটকরণই যে আসল লক্ষ্য তা বুঝতে ডাক কর্মীদের বেশি দিন দেরি হল না। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ইন্ডিয়া পোস্টের আধুনিকীকরণের (IT modernization project 2.0 of dept of post) জন্য সরকার ৫৭৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল যা ২০২২-২৩ থেকে ২০২৯-৩০ (৮ বছর) ব্যয় করা হবে। সরকারের মতে এই আধুনিকীকরণের লক্ষ্য দুটো আলাদা কাঠামো না রেখে স্বল্পসঞ্চয়, জীবনবিমা, ব্যাঙ্কিং-সহ সমস্ত আর্থিক পরিষেবা হোল্ডিং কোম্পানি আইপিপিবি-র মধ্যে আনা। ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত হল চিঠিপত্র, অ্যাকাউন্টিং, ব্যাক অফিস ম্যানেজমেন্ট, ফিল্ড ওয়ার্ক–এগুলো দেখবে ডিপার্টমেন্ট অব পোস্ট। ব্যাঙ্কিং, বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট দেখবে আইপিপিবি। এই কথার অর্থ পোস্ট অফিস স্বল্পসঞ্চয় (১৮৮২) ও ডাক জীবনবিমা (১৮৮৪) যা ১৬৮ বছর ধরে জনগণের আস্থার প্রতীক, তারা তাদের পৃথক অস্তিত্ব হারাবে।
এই প্রস্তাব সাধারণ গ্রাহকদের জন্য কী ধরণের বিপর্যয় ডেকে আনবে তা বুঝতে একটা তুলনামূলক আলোচনা জরুরি। পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টের ডিপোজিটে ৪% হারে সুদ দেয়। জমার কোনও উর্ধ্বসীমা নেই, সার্ভিস চার্জ নেই, জমা ও ওঠানোর ক্ষেত্রে কোনও উর্ধ্বসীমা নেই। এছাড়া টার্ম ডিপোজিট, মান্থলি ইনকাম স্কিম, রেকারিং, কিষান বিকাশ পত্র, ন্যাশানাল সেভিংস স্কিমে এখনও গড়ে ৭% সুদ দেওয়া হয়। বহু প্রকল্পে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। ৩১.৩.২০২১ এর হিসেব অনুযায়ী ভারতে স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৯০৩৮৭৭৬৭ এবং সঞ্চয়ের পরিমাণ ৯৬৯১৩৬.১৭ কোটি টাকা। ইন্ডিয়া পোস্ট এই প্রকল্প গুলো কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চালায় এবং তার আয়ের ৬৪ শতাংশ আসে এই ন্যাশানাল স্মল সেভিংস স্কিমগুলো থেকে।
অন্য দিকে সুব্রামনিয়ম কমিটির মানসপুত্র ‘ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক’ (আইপিপিবি) এক লাখ টাকা পর্যন্ত জমাতে ২% এবং পরবর্তী একলাখে ২.২৫% সুদ দেয়। প্রথমে সার্ভিস চার্জ না থাকলেও এখন ঘরে ঘরে ব্যাঙ্ক পরিষেবায় জিএসটি যুক্ত সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। এছাড়া তিনবারের বেশি টাকা জমা-তোলা, মিনি স্টেটমেন্ট, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা, ফান্ড ট্রান্সফার–সবকিছুতেই জিএসটি যুক্ত সার্ভিস চার্জ (৫- ৫০ টাকা) নেওয়া হয়। তাই কর্মচারীদের যাবতীয় প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে এই পেমেন্টস ব্যাঙ্ক তৈরি করা হলেও তা গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়নি। ২০২১ সালের ৩১ মার্চের হিসাব অনুযায়ী এই ব্যাঙ্ক বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন। এছাড়া পিএলআই এর মত জনপ্রিয় জীবনবিমা প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও এই ব্যাঙ্ক বাজাজ অ্যালাএঞ্জের বিমা বিক্রি করছে যা পোস্ট অফিসের সাধারণ গ্রাহকদের মনে সংশয় সৃষ্টি করছে।
স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পের প্রধান গ্রাহক হল গ্রাম ভারতের দরিদ্র মানুষ। তাদের কষ্টার্জিত পয়সা এখনও সরকারের ঘরে সুরক্ষিত। এই সঞ্চয় ক্ষতিতে চলা এক পেমেন্টস ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেওয়া ভবিষ্যতে আত্মঘাতী হবে। যদি কোনও কারণে ব্যাঙ্ক ডোবে তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার “ডিপোজিট ইন্সুইরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন” নির্ধারিত টাকা (সর্বোচ্চ ৫ লাখ) ছাড়া গ্রাহক কিছুই ফেরত পাবেন না। তাই কর্পোরেটদের হাতে ইন্ডিয়া পোস্টকে তুলে দেওয়ার স্বার্থে ৩০ কোটি বিনিয়োগকারীর এবং ১০ লক্ষ কোটি টাকার সঞ্চয়কে বিপন্ন করার অধিকার কারোর নেই।
ডাককর্মীদের সংখ্যা এই সময় ৫ লক্ষ। কর্পোরেটকরণের কারণে কর্মী স্বার্থও বিঘ্নিত হবে। ইতিমধ্যে ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন কমন সার্ভিস সেন্টার ও ইন্ডিয়া পোস্ট এক চুক্তির মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষকে (village level entrepreneurs/VLE) পার্সেল, চিঠিপত্র পৌঁছে দেবার কাজে যুক্ত করতে চলেছে। এদের আনুষ্ঠানিক নাম হবে ‘ডাকমিত্র’। এই মিত্ররা কমিশন বা ইনসেনটিভের মাধ্যমে কাজ করবে। এটা পুরোপুরি চালু হলে গ্রামীণ ডাক সেবকদের নিয়মিত করণের দাবিপূরণ অসম্ভব হবে। আরেকটা আশঙ্কার কারণ হল দীর্ঘদিন ধরে ডাক পরিষেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ রেলওয়ে মেল সার্ভিসকে ভারতীয় রেল থেকে বিযুক্ত করা। শোনা যাচ্ছে অ্যামাজন এই সিদ্ধান্তের পর রেলকে তাদের পণ্য পরিবহনের প্রধান মাধ্যম করতে চলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে কোথাও বিলগ্নীকরণ, কোথাও কর্পোরেশন তৈরির মাধ্যমে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ভারতীয় রেলের ম্যানুফ্যাকচারিং ডিভিশন বা এলআইসি–ছবিটা মোটের উপর একই রকম। তবে একই সঙ্গে একটা পুরানো ঘটনা স্মরণ করা দরকার। বহু বছর আগে সাড়ম্বরে ইন্ডিয়া টেলিফোনস থেকে একটা বড় অংশকে বাইরে এনে গঠন করা হয়েছিল বিএসএনএল। আজ তার পরিণতি সবার জানা। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদে ব্যর্থ হলে ইন্ডিয়া পোস্টের জন্য সেই ভবিতব্যই অপেক্ষা করছে।
খুব ভালো লেখা।