গ্রাউন্ডজিরো রিপোর্ট।
অরণ্যের অধিকার, স্বশাসন, গণতন্ত্রের দাবিতে জেলায় জেলায় চলছে পদযাত্রা। শুরু হয়েছে ৯ অগস্ট থেকে চলবে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে এই সময়ে ২২টি ব্লকে ১৯টি পদযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্সেও পদযাত্রার খবর মিলেছে।
উদ্যোক্তা ‘বনাধিকার ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা’ তাদের প্রচারপত্রে প্রশ্ন তুলেছেন, “যখন সারা বিশ্ব ডুবতে বসা দ্বীপ, পুড়তে থাকা বন, মুহুর্মুহু ঝড়, অনাবৃষ্টি, বন্যা, মড়কের আক্রমণে জর্জরিত তখন বন ধ্বংস করে, ড্যাম বা কয়লাখনির বিরুদ্ধে আমরা প্রকৃতির সন্তানেরা যদি আওয়াজ তুলতে না পারি কে পারবে।”
রাজ্যে পুরুলিয়ার পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প, বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামি মতো প্রকল্পগুলির উদাহরণ তুলে মহাসভার অভিযোগ, ৫ম ও ষষ্ঠ তপসিল এবং পেসা আইনে যেখানে আদিবাসীদের স্বশাসন, জমির অধিকার অনেকখানিই নিশ্চিত করে এবং বনাধিকার আইন (২০০৬) যেখানে আদিবাসী এবং অন্যান্য পারম্পরিক অরণ্যবাসীদের উপর ঘটে চলা ‘ঐতিহাসিক অন্যায়’-কে স্বীকার করে নিয়ে তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে—সেই সমস্ত আইন সরকার আদিবাসী প্রধান অঞ্চল বা বনাঞ্চলে অক্ষরে অক্ষরে প্রয়োগ তো করছেই না উলটে নানা অছিলায় আইনি অধিকারগুলি কেড়ে নিতে চাইছে। সারা দেশ জুড়েই এমনটা ঘটে চলেছে।
মহাসভার প্রধান দাবি, এ রাজ্যে বন এলাকায় বনাধিকার আইন রূপায়ন এবং গ্রামসভা গঠন; অযোধ্যা পাহাড়, ডেউচ-পাঁচামি-সহ সর্বত্র আদিবাসী ও বনবাসীদের জীবন-জীবিকার ওপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।