বিগত সময়ে দেশের অন্যান্য সংস্থার বেসরকারিকরণ বা বিলগ্নীকরণের ক্ষেত্রে যে ধরণের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও কর্পোরেট চাপের বিষয় আমরা লক্ষ্য করেছি, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই জীবন বিমা নিগমের আই পি ও বিক্রির ক্ষেত্রেও একাধিক অভিযোগ উঠছে। সুমন কল্যাণ মৌলিকের প্রতিবেদন।
দেশের সম্পদ জলের দরে বিক্রি করার ধারাবাহিকতায় এবার বিক্রি শুরু হল আদ্যন্ত লাভজনক সংস্থা ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের আই পি ও বিক্রির প্রথম পর্ব। আই পি ও (Initial Public Offering) হল কোন সংস্থার প্রথমবারের শেয়ার যা বাজারে বিক্রি করার জন্য উপস্থিত করা হয়েছে। এই বিক্রির জন্য সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের যথাযোগ্য অনুমতি প্রয়োজন। যেহেতু এল আই সি নিগম (কর্পোরেশন) আকারে তৈরি হয় নি তাই সংস্থার গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করার পর তারা বাজারে শেয়ার বিক্রি করার অনুমতি পায়। এলআইসি এই পর্বে তার নিয়ন্ত্রণে থাকা মোট শেয়ারের ৩.৫% আই পি ও’র মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করছে। দাম ঠিক হয়েছে শেয়ার প্রতি ৯০২-৯৪৯ টাকা। এই বিক্রি থেকে সরকারের সর্বোচ্চ আয় হবে ২১,০০০ কোটি টাকা। ৪ঠা মে (২০২২) এই বিক্রি শুরু হয়েছে। এবারে যে পরিমাণ শেয়ার বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হয়েছে তার মধ্যে ১০% সংরক্ষিত রয়েছে পলিসি হোল্ডার দের জন্য, ০.৭% নিগমের কর্মচারীদের জন্য এবং ৩১.২৫% খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য। তথ্যের খাতিরে উল্লেখ করা প্রয়োজন দামের ক্ষেত্রে খুচরো বিনিয়োগকারীরা শেয়ার পিছু ৪৫ টাকা ও পলিসিহোল্ডাররা ৬০ টাকা ছাড় পাবেন। বিগত সময়ে দেশের অন্যান্য সংস্থার বেসরকারিকরণ বা বিলগ্নীকরণের ক্ষেত্রে যে ধরণের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও কর্পোরেট চাপের বিষয় আমরা লক্ষ্য করেছি, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই জীবন বিমা নিগমের আই পি ও বিক্রির ক্ষেত্রেও একাধিক অভিযোগ উঠছে। শেয়ারের দাম কমিয়ে দেখানোর ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ক্ষতি হচ্ছে এবং এটি এযাবৎকালের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড়ো দুর্নীতি – এই অভিযোগ তুলে শেয়ার বিক্রিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ‘পিপলস কমিশন অন পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড পাবলিক সার্ভিসেস’ নামে এক নাগরিক উদ্যোগ। যদিও আদালত এ বিষয়ে কোন স্থগিতাদেশ দেয় নি (নয়া উদারনীতির এই জমানায় আদালত এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেবে – এটা অবশ্য আকাশকুসুম কল্পনা) তবুও মামলা শুনানির জন্য গৃহীত হয়েছে।এই অভিযোগগুলির সারবত্তা অনুসন্ধান করা ও আরেকবার এই বিলগ্নীকরণ প্রক্রিয়ার পদ্ধতিটা বুঝে নেওয়াই বর্তমান নিবন্ধের লক্ষ্য।
একটি সংস্থা হিসাবে এলআইসি-র গড়ে ওঠার ইতিহাস, তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য, ভারতের বিমা বাজারে তার অবস্থান, দেশ গঠনে তার ভূমিকা, সর্বোপরি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের প্রশ্নটি ইতিমধ্যেই আলোচিত (বর্তমান নিবন্ধকারের গ্রাউন্ডজিরোতে প্রকাশিত প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য) তবুও দু-একটি কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে এল আই সি একটি বিশেষ ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যার তুলনা বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়, এমনকি পুঁজির এই বিশ্বায়নের যুগে কোথাও নেই। এটি তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ ধরণের কর্পোরেশনের আকারে যেখানে মোট মুনাফার ৫ শতাংশ সরকারকে ডিভিডেন্ড হিসাবে দিতে হয় এবং বাকিটা বোনাস আকারে পলিসি হোল্ডারদের মধ্যে বন্টিত হয়। ১৯৫৬ সালে এলআইসি-র জন্মের সময় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের পর আজ পর্যন্ত সেখানে সরকারি বিনিয়োগ শূন্য হয়। এমনকি ইন্সুরেন্স রেগুলেটরি অথরিটির দাবি মেনে যখন সরকার ইকুইটির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখনও এলআইসি সেই টাকাটা অভ্যন্তরীণ ভাবে সংগ্রহ করে। ভারত সরকার এল আই সি কে যা দেয় তা হল পলিসির ক্ষেত্রে সার্বভৌম গ্যারান্টি (Sovereign Gurantee)।
যেহেতু সরকার এলআইসি-র শেয়ার বিক্রি করতে বাজারে নেমেছে তাই আমরা সাম্প্রতিক আর্থিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নিগমের অবস্থাটা দেখে নেব। এলআইসি-র দখলে রয়েছে বিমা বাজারের ৬৪%, নতুন ব্যবসার ৬৬%, রিনিউয়াল প্রিমিয়ামের ৬৩%, ব্যক্তিগত পলিসির ৭৫%, গ্রুপ পলিসির ৮১%। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসবিআই লাইফ, এইচডিএফসি লাইফ ও আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়ালের বাজার দখল নিজ নিজ ক্ষেত্রে দশ শতাংশের বেশি নয়।
ভারতের বিমা বাজারে এল আই সি একনম্বর, এটা কোন নতুন তথ্য নয়।আমরা বরং এই মুহুর্তে বিশ্বে নিগমের অবস্থাটা দেখে নিতে পারি।পলিসি প্রিমিয়াম ও সম্পদ – দুটোর বিচারেই এল আই সি পৃথিবীতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ক্রম অনুসারে প্রথম : অ্যালায়েঞ্জ এস ই (জার্মানি), দ্বিতীয় : পিং অ্যান ইন্সুইরেন্স (চিন), তৃতীয় : চায়না লাইফ ইন্সুইরেন্স (চিন), চতুর্থ: অ্যাসিকুরাজিওনি জেনারেল (ইতালি), পঞ্চম: এল আই সি (ভারত), ষষ্ঠ: নিপ্পন লাইফ ইন্সুইরেন্স (জাপান), সপ্তম: অ্যাক্সা এস এ (ফ্রান্স), অষ্টম: জাপান পোস্ট ইন্সুইরেন্স (জাপান), নবম: দাইচি লাইফ (জাপান), দশম : নর্থ ওয়েস্টার্ন মিউচুয়াল (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)।
এবার ব্র্যান্ড ফিনান্সের রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান ১০ টি ইন্সুইরেন্স কোম্পানির তালিকায় এল আই সি স্থান পেয়েছে। নিগমের সম্পদের পরিমাণ এই প্রতিবেদন অনুসারে ৬৪,৭২২ কোটি টাকা। এই দশটা কোম্পানির মধ্যে ৫ টা চিনের। ব্র্যান্ড ফিনান্সের মতে সনস্ত ধরণের ব্র্যান্ডের মধ্যে পৃথিবীতে এল আই সির স্থান ২০৬ যা ২০২০ সালে ছিল ২৩৮। তাই যে মানদন্ডেই বিচার করা হোক না কেন এল আই সি ভারতের এক মূল্যবান গ্লোবাল ব্র্যান্ড এবং বাজার অর্থনীতির পরিভাষায় ব্লু চিপ কোম্পানি।
কোন সংস্থার শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল উপযুক্ত সময় নির্ধারণ। বাজার যদি অনুকূলে থাকে তবে বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যাবে এটাই নিয়ম। এলআইসি-র আই পি ও বিক্রির ক্ষেত্রে প্রথম অভিযোগ উঠছে এই সময়কে ঘিরে। এই বছরের শুরুতেই নিগমের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ক্রেতা খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় রোড শো করা হয়,আর তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় এটা আই পি ও ছাড়ার আদর্শ সময় নয়। প্রথমে পরিকল্পনা ছিল সরকার তার ১০% স্টেক বাজারে ছাড়বে, পরে তা কমিয়ে ৫% করা হয়। কিন্তু তাতেও সরকার নিশ্চিত ছিল না ফলে শেষমেশ ৩.৫% বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতিগত জটিলতা দেখা দেয় কারণ সেবি ন্যূনতম ৫% না হলে আই পি ও বিক্রির অনুমতি দেয় না। সরকারের হস্তক্ষেপে বিশেষ অনুমতি মেলে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে করোনা অতিমারী, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাজার টলমল তখন কার স্বার্থে তড়িঘড়ি করে এই বিক্রির সিদ্ধান্ত! অথচ পাবলিক সেক্টর বিলগ্নীকরণ মন্ত্রকের সচিবের ঘোষিত সিদ্ধান্ত ছিল যে বাজার অনুকূল না থাকলে সরকার কোন ব্লু চিপ কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়বে না।
আই পি ও বিতর্কে আরো একটা বড়ো প্রশ্ন হল এলআইসি-র মত এক গ্লোবাল ব্র্যান্ডের মূল্যাঙ্কন। ফেব্রুয়ারী (২০২২) মাসে এল আই সি তার ড্রাফট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস (DHRP) পেশ করে, তাতে দেখা যায় এর সম্ভাব্য মূল্য (Embedded Value / ই ভি) ৫.৪০ লক্ষ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে প্রথমে বলে নেওয়া প্রয়োজন যে ইভি কখনোই কোম্পানির প্রকৃত মূল্য নয় বরং সেটা তার বর্তমান মূল্য যা ভবিষ্যৎ আয়ের সম্ভাবনা ঠিক করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই মূল্যাঙ্কনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড হিসাবে এলআইসি-র যে সুনাম (goodwill) তার হিসাব করা হয় নি। দ্বিতীয় বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। তা হল মেট্রো শহর গুলিতে নয়, দেশের প্রায় সমস্ত শহরে এল আই সি প্রচুর স্থাবর সম্পত্তির মালিক, যার বাজার মূল্য ইভিতে যুক্ত করা হয় নি। অথচ শেয়ার বিক্রির পর যারা কিনবে তারাও কিন্তু কোন বিনিয়োগ ছাড়াই এই স্থাবর সম্পত্তির মালিক হবেন। অথচ এই সম্পত্তি গড়ে উঠেছে পলিসি হোল্ডার দের কারণে যাদের বিনিয়োগ ও অংশগ্রহণ ছাড়া এল আই সি এক গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠতো না।
এই আলোচনায় পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থের প্রশ্নটিও আসা উচিত। একথা ইতিমধ্যেই আলোচিত যে পলিসিহোল্ডাররা এলআইসি-র শুধু হৃৎপিণ্ডই নয়, গঠনগত কারণে তারা এর অংশীদারও বটে। তাই সরকার বাধ্য হয়েছে তাদের জন্য শেয়ার সংরক্ষিত করতে। পলিসি হোল্ডাররা কখনোই শুধু ক্রেতা (customer) নয়।আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে কোন আই পি ও বিক্রির ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটেছে কি যে কোম্পানির শেয়ার তার কাস্টমারদের জন্য সংরক্ষিত? ধরুন কেউ জোম্যাটো বা সুইগি অ্যাপ ব্যবহার করে দোকান থেকে খাবার আনিয়েছে, তাহলে তিনি কি জোম্যাটো বা সুইগি কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন! তাহলে আজ শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে সামান্য ৬০ টাকা ছাড়ই কি পলিসি হোল্ডারদের প্রাপ্য?
আলোচনার এই পর্বে আমরা সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশে প্রবেশ করব।মোদ্দা কথাটা হল এল আই সির শেয়ারের দাম কমিয়ে দেখানো হয়েছে যার ফলে সরকার তথা আম-জনতার কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কি না! প্রথমে বলে নেওয়া ভালো যে বিমা কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে ইভির মূল্যাঙ্কণকে ভিত্তি করে একটি শেয়ারের প্রাথমিক দাম (rock bottom price) স্থির করা হয়, তারপর একটা গুণিতক (multiplication factor) যুক্ত করে চূড়ান্ত দাম স্থির করা হয়। এই গুণিতকের পরিমাণ নিয়েই এক বৃহত্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। বিদেশের কথা যদি আমরা বাদও রাখি, শুধু দেশের মধ্যেই হিসেব নিকেশ সীমাবদ্ধ রাখি তাহলে দেখব এলআইসি-র তুলনায় বিমা বাজারে নেহাৎই ক্ষুদ্র শক্তি (আই সি আই সি আই প্রুডেনসিয়াল, এস বি আই লাইফ, এইচ ডি এফ সি লাইফ) তারা নিজেদের শেয়ারের দাম ঠিক করার সময় এই গুণিতক রেখেছে ২.৪৯ থেকে ৩.৯৬ এর মধ্যে। স্বাভাবিক ভাবে এটা অনিবার্য যে এলআইসি-র ক্ষেত্রে এই গুণিতক তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো থেকে বেশি হবে বা সমান হবে। এখন যদি আমরা ইভি মূল্যকেই (৫.৪০ লক্ষ কোটি টাকা) ভিত্তি ধরি তাহলে ৬৩২.৫০ কোটি শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রতিটির প্রাথমিক দাম হবে নিদেনপক্ষে ৮৫৩ টাকা। তারপর আসবে গুণিতকের প্রশ্ন। এবার জীবন বিমা নিগমের আই পি ও যখন বাজারে এল তখন তার দাম দাঁড়াল ৯০৪-৯৪৯ টাকা অর্থাৎ গুণিতক ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ১.১১ যা অবিশ্বাস্য ও নিশ্চিতভাবে সরকারের কোষাগারের ক্ষতি।
এই ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত তা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ তুলনামূলক বিচার উপস্থিত করেছে ‘পিপলস কমিশন অন পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড পাবলিক সার্ভিসেস’। যদি আই সি আই সি আই – প্রুডেনসিয়ালের মত ২.৪৯ কে গুণিতক ধরা হত তাহলে এলআইসি-র একটা শেয়ারের দাম হত ২,১৩২ টাকা, সরকারের আয় হত ৪৭,০২০ কোটি টাকা (অথচ এখন আয় ২১,১০৮ কোটি টাকা)। তাহলে এই হিসাবে কোষাগারের ক্ষতি ২৬,১০২ কোটি টাকা। যদি এস বি আই লাইফের হিসাব (গুণিতক ৩.৭৭) ধরা হত তাহলে একটা শেয়ারের দাম হত ৩,২১৬ টাকা। সরকারের আয় হত ৭১,১৯৪ কোটি টাকা তাহলে এই হিসাবে ক্ষতি ৫০,১৮৬ কোটি টাকা। আর এইচ ডি এফ সি-র হিসাব (গুণিতক ৩.৯৬), একটা শেয়ারের দাম হত ৩,৩৮৬ টাকা। সরকারের আয় হত ৭৪,৯৫৮ কোটি টাকা, ক্ষতির পরিমাণ ৫৪,৯৫০ কোটি টাকা। সব দিক থেকেই এটা পরিষ্কার এই আই পি ও বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আই পি ও বিক্রির ক্ষেত্রে এই অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রাথমিক ধাপ মাত্র। মূল লক্ষ্য অবশ্যই এল আই সি-র মত এক জনপ্রিয়, সফল, দক্ষ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণ। আর সেই প্রক্রিয়াটা শুরু হল এক দুর্নীতির মধ্য দিয়ে। দেশের সম্পদ রক্ষার লড়াই যতদিন না সঠিক দিশা ও নেতৃত্ব পায় ততদিন এটাই আমাদের ভবিতব্য।
পড়ুন বর্তমান নিবন্ধকারের গ্রাউন্ডজিরোতে প্রকাশিত
এল আই সি – নয়া উদারবাদী আগ্রাসনের নতুন নিশানা
অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ একটা লেখা। আমি সত্যি সমৃদ্ধ হলাম।