আঁকড়ে ধরুন এই মুহুর্তকে, করায়ত্ত করুন


  • April 28, 2021
  • (0 Comments)
  • 1011 Views

মরা মরা বলতে বলতেই নাকি রাম রাম বলতে শিখেছিলেন দস্যু রত্নাকর। মোদী-যোগী যুগে রাম রাম বলতে বলতে যে সব মরা মরা হয়ে গেল। কত অসংখ্য মানুষ বেওয়ারিশ লাশ হয়ে পুড়ে গেল, কবরে গেল তার কোনও লেখাজোখা নেই। সরকারি আধিকারিকের বিবৃতির সঙ্গে শ্মশানের ডোম কিংবা কবরগাহের কেয়ারটেকারের তথ্যের কোনও মিল নেই। সচিবালয় আর শ্মশানের মধ্যে এই দুস্তর ফারাকটাই প্রকৃত সত্য। লিখছেন দেবাশিস আইচ

 

‘অ্যান্টি ন্যাশনাল’-দের সম্পর্কে সতর্ক করেছেন আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবেলে। মোদী সরকার ট্যুইটারে তাদের খোঁজ পেয়েছে। ভারত সরকারের হুকুম পেয়ে সে সব ‘দেশ বিরোধী’ ট্যুইট মুছে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। যোগী রাজত্বে অক্সিজেনের কোনও অভাব নেই। থাকতে পারে না। রামরাজত্বে ‘অভাব’ শব্দটিই সবিশেষ মিথ্যা। এমন মিথ্যা বললে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে জেলে ভরা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রতাপমত্ত মুখ্যমন্ত্রী। বাজেয়াপ্ত হবে সম্পত্তিও।

 

কিন্তু কে শোনে কার কথা। টিভি খুললে, কাগজ মেললে, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে চোখ রাখলে সারা দেশে শুধুই অভাবের হাহাকার উপচে পড়ছে। অভিসম্পাতের ফোয়ারা ছুটছে শাসকের উদ্দেশে। অক্সিজেনের জন্য, প্রাণদায়ী ওষুধ কিংবা হাসপাতালে একটা বেডের জন্য — বাঁচতে চাওয়ার, বেঁচে থাকার জন্য কী ভয়াবহ ‘দেশদ্রোহ’। মরছেও তেমন। কত মরছে তার অবশ্য কোনও হিসাব নেই। যে সরকার প্রথমে স্বীকারই করতে চায়নি দেশ অতিমারির কবলে পড়তে চলেছে, তাদের হিসাবে বিশ্বাস করার কোনও কারণ থাকতে পারে না। তথ্য লুকিয়ে রাখা যাদের স্বাভাবিক স্বভাব, নির্লজ্জের মতো যারা লিখিত ভাবে সংসদে জানিয়ে দেয় — কোনও তথ্য নেই, তারা গণহারে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করবে তা আদৌ আশা করা যায় না।

 

মরা মরা বলতে বলতেই নাকি রাম রাম বলতে শিখেছিলেন দস্যু রত্নাকর। মোদী-যোগী যুগে রাম রাম বলতে বলতে যে সব মরা মরা হয়ে গেল। কত অসংখ্য মানুষ বেওয়ারিশ লাশ হয়ে পুড়ে গেল, কবরে গেল তার কোনও লেখাজোখা নেই। সরকারি আধিকারিকের বিবৃতির সঙ্গে শ্মশানের ডোম কিংবা কবরগাহের কেয়ারটেকারের তথ্যের কোনও মিল নেই। সচিবালয় আর শ্মশানের মধ্যে এই দুস্তর ফারাকটাই প্রকৃত সত্য। যা চিরকালীন সত্যের মতো। পুবর আকাশে সূর্য ওঠার মতোই।

 

এমনটাই চিরকাল ছিল। নানা কিসিমের তন্ত্রেমন্ত্রে, গণতন্ত্র, সংবিধান, সংসদ, আইন-আদালতের বাদ্যিবাজনায় তা ছিল আশা-ধোঁয়াশার আবরণে ঢাকা। মোদী-শাহরা, মোহন ভগত-হোসাবেলেরা দেশের, দেশের মানুষের লজ্জা নিবারণের সেই শেষ আবরুটুকুও কেড়ে নিয়েছেন। আমরা অনেকেই এই বিপদ বুঝিনি। যাঁরা বুঝেছেন তাঁরাও অধিকাংশকেই বোঝাতে পারেননি এই বিপদের গুরুত্ব। দেশের এক বলিয়ে-কইয়ে অংশ, যারা নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই খুলে আম উদার অর্থনীতির অনুরাগী এবং ক্রমশ তার সুফলে ফুলেফেঁপে উঠেছেন, তাঁরা তাদের মিডিয়া দেশকে আজ এই তথ্যহীনতার, অসত্যের অন্ধকারে ডুবিয়ে ছেড়েছেন। প্রতিস্পর্ধী বয়ান দেওয়া হয়েছে গুঁড়িয়ে। সেই সব কণ্ঠস্বর, সেই সব জাগ্রত বিবেক আজ জেলবন্দি। কী ভয়ংকর ষড়যন্ত্রই না রয়েছে তার পিছনে। একটিও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নেই আজ দেশে যা স্বাধীন। কিছু ব্যক্তি মানুষ রয়েছেন যাঁরা প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে হলেও আইনকে, আইনি অধিকারকে, মানবিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। সেইসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিহিত আপাত নিরাপত্তা তাঁদের আজ রক্ষা করছে বটে কাল সেই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এলে কী হবে ভাবতেও শিউরে উঠতে হয়। এখনও যে মোদী-শাহ-মোহনেরা সিবিআই, ইডিকে লেলিয়ে দেননি এটাই আশ্চর্যের! এখনও যে সঙ্ঘী ট্রোল বাহিনী তাঁদের ‘দেশদ্রোহী’ বলে দাগিয়ে দেয়নি, খুন-ধর্ষণের হুমকি দেয়নি সেও আশ্চর্যজনক! লাশের পাহাড়, চিতার আগুন বোধহয় তাদেরও হতবুদ্ধি করে ছেড়েছে। ভাগোয়া ঝাণ্ডা উড়িয়ে জয় শ্রীরাম হুঙ্কারে যে ভাইরাসের না আছে ডর, না পায় সে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ভয়, না যায় তাকে নিরাপত্তা আইনে ফাটকবন্দি করা। যোগী-হোসাবেলদের হুঙ্কারের তোয়াক্কা করে না করোনাভাইরাস।

 

আর এখানেই ওঁদের ভয়। এই যে কর্পোরেট হাসপাতালের সিওও-সিইওরা আদালতে ছুটে যাচ্ছেন,  ট্যুইট করে হাসপাতালের হাঁড়ির হাল প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা, অক্সিজেন প্রস্তুত ও সরবরাহকারী কর্পোরেট সংস্থার আইনজীবী হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির অক্সিজেনের কোটা ভেঙে উত্তরপ্রদেশে পাঠাতে বাধ্য করছে — কোথা থেকে সাহস পাচ্ছে তাঁরা এত? ফাটল ধরেছে মোদী-শাহের আমলাশাহিতেও।  গোপনে তাঁরাও জানিয়ে দিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা আগাম জানালেও কান দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। কোনও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই নেয়নি। গড়ে তোলেনি কোনও পরিকাঠামো। সংবাদপত্রে তা ছাপা হচ্ছে। রেমডেসিভির নিয়ে গুজরাত বিজেপির দুর্নীতির খবর প্রথম পাতা জুড়ে ছেপে দিয়েছে গুজরাতি ভাষার দৈনিক। একই কাণ্ড করে রেহাই পায়নি মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কী এমন হলো যে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সংবাদমাধ্যম এমন সব খবরে উৎসাহিত হয়ে পড়ল? গোদী মিডিয়ার একটি অংশও জুড়ে গেল তার সঙ্গে? আর এখনও ভক্ত মিডিয়া কোনও ভিন্ন, পালটা বয়ান দাঁড় করাতে পারল না! কারণটা বোধহয় এই যে, এবার করোনার আগুন লুটিয়েনের সাজানো বাংলো থেকে জুহুর আকাশচুম্বী অট্টালিকাকেও গ্রাস করে ফেলেছে। এই  শ্রেণিই তো মোদী-শাহের যাবতীয় অর্থনৈতিক অপকর্মের, যাবতীয় নীতিপঙ্গুতার সুফলভোগী। যাঁদের বড় অংশটিই মনে করেন দেশের শাসনভার থাকা উচিত মোদীর মতো একজন শক্তিমান লৌহপুরুষের হাতে। যাঁরা মনে করেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত গণতন্ত্র’ দেশের উন্নয়নের পক্ষে প্রধান বাধা। যাঁরা মনে করেন, সরকারের কাজ নয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালানো, অতএব বেচে দাও সব লাভজনক রাষ্ট্রীয় সংস্থা। তেল-রেল মায় অর্ডিন্যান্স  ফ্যাক্টরি। মোদী তাঁদের উপহার দিয়েছেন তিন কৃষি আইন, নয়া শ্রম আইন। যে আইনে না আছে কৃষকের অধিকার না রইল শ্রমিকের। রয়েছে অবাধ লুটের প্রতিশ্রুতি। মোদী তাঁদের নিশ্চিত ঘুমের জন্য উপহার দিয়েছেন এনআইএ-র বিশেষ ক্ষমতা, সংশোধিত ইউএপিএ। আর আমজনতার জন্য বরাদ্দ হলো লাভ জিহাদ, গো-রক্ষা, রামমন্দির, সংখ্যালঘু বিদ্বেষ আর হিন্দুরাষ্ট্রের আফিম। ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান, মুসলমান যাও কবরাস্তান’ — ৯২-র সেই বাবরি ভাঙা গণহত্যার শ্লোগান তো প্রকাশ্যে আওড়াতে পারেন না কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সে তিনি যতই হিটলার-মুসোলিনির ভক্ত হোন। কাজে তো দেখাতেই পারেন আর ঘটিয়ে তুলতে পারেন মুজফফরনগর, গুজরাত কিংবা দিল্লি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেই পারেন কাশ্মীরিদের যাবতীয় অধিকার কেড়ে গৃহবন্দি করে রাখতে, পারেন বাবরি মসজিদকে রামমন্দির করে তুলতে আর পারেন প্রতিবাদী কিংবা রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে এনআইএ-সিবিআই-ইডি লেলিয়ে দিতে। মোদীর সাঙাতদের এসবে কিছু আসে যায় না। তবে, এবার তাঁরাও ভয় পেয়েছেন। পেয়েছেন বলেই এত হট্টগোল। এত গেল গেল রব। সরকারি হিসেব মতো এক কোটি মানুষ এক ধাক্কায় স্রেফ ঠাঁই হারা হয়ে গেল, কত মানুষ মরে গেল পথে পথেই, কই এমন আর্তনাদ তো তখন শোনা যায়নি! ছয় রাজ্য লকডাউন, এখনও কি তেমন ভাবে শোনা যাচ্ছে তাঁদের কথা? কাজ হারিয়ে, মারিতে মরবার ভয়ে তাঁরা দলে দলে ঘরে ফিরেছিলেন। অধিকাংশই ফিরেছেন শেষ আর্থিক সম্বলটুকু উজার করে। আর আজ মনে মনে ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’ নাকি ‘মোদীর নাম’ আউরে সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন ধনকুবেররা। কী করেননি মোদী তাঁদের জন্য? ‘ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলার’ অর্থনীতির মহাভোজের আয়োজনে আদানি-আম্বানি-টাটাদের কাছে দেশ বেচে দেবেন বলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে এখনও লড়ে যাচ্ছেন। দেশের দমবন্ধ হয়ে আসছে, সারা বিশ্ব থেকে ভিক্ষা করতে হচ্ছে অক্সিজেন, ওষুধ, টিকা, প্রাণদায়ী সাজ-সরঞ্জাম, দিল্লি জোড়া লকডাউন, তার মাঝেও জরুরি পরিষেবার ছাপ্পা মেরে বিশ হাজার কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ চলছে রাজধানীতে। এই না হলে শাহেনশাহ মোদী! এই না হলে ক্ষমতার মজা লোটা! এর কাছে কোথায় লাগে বেহালায় নিরোর ছড় টানা!

 

এ সবই তো তাঁদের দিকে লক্ষ্য রেখে — যাঁরা দেশের জনসমষ্টির সেই অংশ, ২০১৭ সালের পিউ (Pew) গবেষণায় যাঁদের কথা উঠে এসেছে, যাঁরা বিশ্বাস করেন এক ‘বিকাশ’ পুরুষের। এক স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার। সেই শাসন ব্যবস্থাটি এমন হবে যে, যেখানে শক্তিমান শাসকের কাজে নাক গলাবে না সংসদ কিংবা আদালত। বিশ্বাস করেন এমনটাও যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বদলে ‘বিশেষজ্ঞ’রাই ভালভাবে দেশ চালাতে পারেন। এই যে এমন ভাবেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে শহুরে শিক্ষিত শ্রেণি এবং বিজেপি সমর্থকরাই সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। এমনটাও কিন্তু এক-আধদিনের ঘটনা নয়। সমীক্ষা বলছে, বিগত বিশ বছর ধরেই ক্রমে ক্রমে গণতন্ত্রের প্রতি মোহ চলে গিয়েছে প্রায় ৩৭-৩৮ শতাংশ ভারতীয় নাগরিকের। এই যে ‘গোদি মিডিয়া’, এই যে নীতি আয়োগ, এই যে নব্য আমলা শ্রেণি, এই যে নির্বাচন কমিশন-টমিশন, আদালত-টাদালত, বিশ্ব-টিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র এই ৩৮ শতাংশের রমরমা- রাজ। আমরা শুধু তাঁদের প্রতিনিধি হিসাবে দেখতে পাই লুম্পেন স্ট্রিট ফাইটার, খুনে গোরক্ষা বাহিনীকে। শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি তাঁদের জয় শ্রীরাম রণহুঙ্কার।

 

এই হলো মোদীরাজ। বিগত সাত বছর এক কানাকড়িও বাজে খরচ করেননি তিনি। অতিমারিতেও নয়। কেউ বলতে পারবেন না জনতাকে গণটিকা দেওয়ার জন্য সিরাম কিংবা বায়োটেকের পিছনে ফালতু পয়সা ঢালা হয়েছে। পাবলিকের জন্য সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা শয্যা সাজিয়ে রেখে দেবে — এত আহাম্মক বণিক রাষ্ট্রের কর্ণধাররা নন। সে অপবাদও কেউ দিতে পারবেন না। অক্সিজেন প্ল্যান্টের জন্যই-বা আর কত খরচ? মাত্র ২০০ কোটি। সেও-বা এমন কী! জনতা জনার্দন। তাদের ভোটে যতদিন জিততে হবে ততদিন অবশ্য এই দু’পাঁচশো কোটি খরচ তো হবেই। তবুও তো আজ অক্সিজেন ব্যবসায়ী, স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের আঙুল ফুলে কলাগাছ। কালোবাজারিরা করে খেতে পাচ্ছে আদানি-আম্বানি-টাটারাও ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কার আর মেডিক্যাল অক্সিজেনের ব্যবসায় নেমে পড়তে পেরেছে। বিশ্বের স্বাস্থ্য বাণিজ্যের অভিমুখ এখন ১৩০ কোটির ভারত। যার ২০-২৫ কোটি অনায়াসে কিনতে পারে দুর্মূল্য স্বাস্থ্য পরিষেবা।

 

অতিমারির পহলা ঝাঁকিতেই হাঁটু ভেঙে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। তারই মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পুঁজিপতি সাঙাতরা এই বিপর্যয়কে কাজে লাগিয়ে আরও ধনী হয়েছেন। ডুবে গিয়েছেন কোটি কোটি হতদরিদ্র, গরিব এবং মধ্যবিত্ত মানুষ। দুসরা ঝাঁকিতে দেশ এখন মোদী-মশান। ভুক্তভোগীদের মুখে মুখে তো বটেই দেশে-বিদেশের সংবাদমাধ্যমেও কত শত বিশেষণ — ‘সুপার স্প্রেডার’, ‘দাম্ভিক শাসক’, ‘উগ্র জাতীয়তাবাদী’, ‘ভিড় প্রেমী’ কত কিছু। তবে কি তিসরা ঝাঁকির জন্য জোটবদ্ধ হবে দেশের আমজনতা? এই কি সেই সময় আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে বলার — মোদী যাও যাও যাও! এই সেই সময় মোদীর কবল থেকে, বর্বর বণিকদের বিপর্যয়-বাণিজ্যের হাত থেকে ভারতকে রক্ষা করার। অতিমারি আমাদের সব কেড়েছে, কাড়তে পেরেছে মোদী-শাহ জমানার নীতি পঙ্গুতার জন্য। যে নীতি পঙ্গুতাকে উলঙ্গ করে ছেড়েছে অতিমারি। এই সেই সময় গণতন্ত্রের জন্য, সংবিধানের জন্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়-সুবিচার-সমানাধিকারের জন্য, ভারতকে ফিরে পেতে, ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। ঐকবদ্ধ লড়াইয়ের। সিজ দ্য মোমেন্ট। সিজ দ্য টাইম। আঁকড়ে ধরুন এই মুহুর্তকে। এই সময়কে করায়ত্ত করুন।

 

 

Share this
Leave a Comment