তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে ধরনা অব্যাহত। উত্তরভারতে বিজেপির রাজনৈতিক ও সামাজিক ধস ক্রমে বেড়েই চলেছে। হাজার অপপ্রচার, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বয়ান, দমনপীড়নের পরও কৃষকশক্তিকে টলাতে না পেরে ক্রুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন, কর্পোরেটরাজই দেশের অর্থনীতি-শিল্প শাসন করবে। সরকার নয়। তাঁবেদার দুই গুজরাতি শিল্পপতি আম্বানি-আদানির উদ্দেশ্যে কৃষকদের সমালোচনা সহ্য হয়নি একদা গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর।
এই কৃষি আইন বিষয়ে এটি একটি দীর্ঘ নিবন্ধ। যা ‘আপডেট স্টাডি গ্রুপ’ (updatestudygroup.org) রচনা করেছে। তাদের অনুমতি নিয়েই গ্রাউন্ডজিরো নিবন্ধটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা শুরু করল। তিন পর্বে নিবন্ধটি প্রকাশিত হবে। আজ তৃতীয় ও শেষ অংশ প্রকাশিত হল। সম্পাদকমণ্ডলী।
প্রথম অংশ পড়ার জন্য ক্লিক করুন: কৃষি বিল কি কৃষক স্বার্থে?
দ্বিতীয় অংশ পড়ার জন্য ক্লিক করুন: কৃষি বিল কি কৃষক স্বার্থে? (দ্বিতীয় অংশ)
কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি বিল এনে ঘোষণা করেছে এর ফলে না কি চাষিদের মঙ্গল হবে, তারা লাভ করতে পারবে, এমনকি তাদের আয় না কি দ্বিগুণ হয়ে যাবে। একদিকে কর্পোরেট ও বহুজাতিক কোম্পানিরা মুনাফা করবে (যা আমরা আগের আলোচনায় দেখেছি), অন্যদিকে চাষিদের আয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে এমনই এক ‘রামরাজ্য’-এর স্বপ্ন ফিরি করা হচ্ছে। চাষিদের বর্তমান গভীর সংকটজনক অবস্থা বিচারে আনলে সরকারের প্রতিশ্রুতির ফানুস ফুটো হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
চাষিদের গভীর সংকটজনক অবস্থা
সরকারের ৫৭৬ নম্বর জাতীয় নমুনা সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০১২-১৩ সালে গ্রামীণ ভারতের মোট কৃষক পরিবারগুলির ৬৯ শতাংশই ছিল এমন চাষি যাদের হাতে ১ হেক্টরের কম জমি আছে। ১৭ শতাংশের হাতে আছে ১ থেকে ২ হেক্টর। অর্থাৎ কৃষিজীবী পরিবারগুলির মধ্যে ৮৬ শতাংশের হাতে জমি আছে ২ হেক্টরের কম। মাত্র ০.৪ শতাংশের হাতে আছে ১০ হেক্টরের বেশি জমি।১ সাধারণভাবে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমি যাদের আছে এমন কৃষি পরিবারগুলিকে গরিব ও প্রান্তিক চাষি আখ্যা দেওয়া হয়। জমি চাষ করে যে ফসল উৎপন্ন হয় তা দিয়ে তাদের বছরের চার থেকে পাঁচ মাস চলে কি না সন্দেহ। বাকি সময়টাতে তাদের সরকারি গণবন্টন ব্যবস্থা অথবা খোলা বাজারের উপর নির্ভর করতে হয়।
ধরে নিতে পারি, এই কৃষি পরিবারগুলিতে সদস্যসংখ্যা গড়ে ৪ থেকে ৫ জন (তার বেশিও হতে পারে)। সুতরাং ঐ জমির উপর সংবৎসর ৪ থেকে ৫টি মানুষকে নির্ভর করতে হয়। জাতীয় নমুনা সমীক্ষাই জানাচ্ছে, ভারতের কৃষিজীবী পরিবারগুলির প্রতি মাসে গড় আয় হল মাত্র ৬৪২৬ টাকা। অন্যদিকে খরচ হল পরিবার পিছু ৫০১৩ টাকা। অর্থাৎ মাসে তাদের হাতে অতিরিক্ত থাকে ১৪১৩ টাকা।২ পরিবারে পাঁচজন সদস্য থাকলে মাসে মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়ায় ১২৮৫ টাকা। অর্থাৎ দিনে মাথাপিছু ৪২ টাকা ৯ পয়সা। এগুলি কিন্তু গড় হিসেব। অধিকাংশ চাষি পরিবারে দৈনিক মাথাপিছু আয় এর থেকে অনেক কম। ঐ ৪২ টাকাতে তাদের খাওয়ার খরচ, মাথার উপর আচ্ছাদন, পোশাকের খরচ, স্বাস্থ্য-শিক্ষার (?) খরচ, চাষের খরচ, মহাজনের আসল-সুদ মেটাতে হয় এমন ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, অন্ধ্রপ্রদেশের চাষি পরিবারের হাতে মাসে অতিরিক্ত জমা থাকে মাত্র ৯৫ টাকা।৩ তা দিয়ে এক বোতল তেলও কেনা যায় না!
বলা বাহুল্য, ঐ যৎসামান্য টাকাতে না চলে সংসার, না চলে চাষআবাদ। সুতরাং অধিকাংশ চাষিকে ধার করতে হয়। ভারতের কৃষিজীবী পরিবারগুলির গড় ঋণ হল ১,০৪,৬০২ টাকা।৪ ২০০২-০৩ সালে ভারতের কৃষিজীবী পরিবারগুলির ৪৯ শতাংশ ঋণগ্রস্ত ছিল। নাবার্ডের সমীক্ষা জানাচ্ছে ২০১৬-১৭ সালে এই পরিমাণ এখন ৫৩ শতাংশ।৫ সরকারি হিসেবে ঋণগ্রস্ত চাষিদের সরকারি ব্যাঙ্ক ধার দেয় ৪৬ শতাংশ। বাকিটা তাদের মহাজনদের থেকে ঋণ করতে হয়। কিন্তু গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে ন্যূনতম পরিচিতি আছে এমন যে কেউ বলে দেবে, বাস্তবে চাষিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জমিদার, মহাজন, আড়তদার, সার-কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছে আরও গভীরভাবে ঋণগ্রস্ত যেখানে সুদের হার অ-নে-ক বেশি। সরকারি হিসেবে, যাদের হাতে ২ হেক্টরের বেশি জমি আছে তাদের ৬০ শতাংশই ঋণগ্রস্ত। আর যারা গরিব ও প্রান্তিক চাষি তাদের ৫০ শতাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত।৬
এই অবস্থা চলছে বছরের পর বছর ধরে। বরং বলা ভাল অবস্থা আরও সঙ্গীণ হয়ে উঠেছে। মোদী সরকার চাষিদের জন্য পিএম-কিষাণ নামক একটি প্রকল্প শুরু করে দিবারাত্র তার জয়ঢাক বাজাচ্ছে। যাদের হাতে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমি আছে তাদের দেওয়া হচ্ছে মাসে মাত্র ৫০০ টাকা, অর্থাৎ দিনে ১৬ টাকার মতো। অথচ সুরেশ তেন্ডুলকর কমিটি জানিয়েছে গ্রামীণ ভারতে দারিদ্র্যসীমা হল ৮১৬ টাকা।৭ ফলে ৮৬ শতাংশ কৃষিজীবী পরিবার থেকে গেছে গভীর সংকটগ্রস্ত অবস্থায়। ২০১৯ সালে কৃষির সঙ্গে যুক্ত ৪২,৪৮০ জন চাষি বা ক্ষেতমজুর আত্মহত্যা করেছে।৮ ১৯৯০-এর দশক থেকে ধরলে ৩ লক্ষেরও বেশি।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, যারা মধ্য চাষি হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ যাদের হাতে ২ হেক্টরের বেশি জমি আছে তারাও গভীর সংকটগ্রস্ত। সরকারের কমিশন ফর এগ্রিচালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস (সিএসিপি)-এর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী গম চাষে চাষিরা কুইন্টাল পিছু ৫০০ টাকা আয় করে। অর্থাৎ প্রতি কেজি গমে ৫ টাকা লাভ।৯ চাষের কাজে লাগে সার, বীজ, বিদ্যুৎ, কীটনাশক, আগাছানাশক, যন্ত্রপাতি, মজুরির খরচ, ইত্যাদি ধরলে আয় না কি এরকম দাঁড়ায়। ফলে চাষবাসে প্রচুর লাভ হয়, এসব কথাবার্তা এখন অতিকথা মাত্র, তার মধ্যে সারবত্তা খুবই কম। চাষআবাদ ছেড়ে দিচ্ছে এমন চাষির সংখ্যা কম নয়।
কাজের অভাব ও বেকারি
উপরোক্ত তথ্যগুলি হল হাতে যাদের হাতে কিছু জমি আছে তার কথা। যাদের হাতে চাষযোগ্য কোনও জমিই নেই – অর্থাৎ যারা ভূমিহীন কৃষক – যারা ক্ষেতে মজুরি খেটে দিন আনে দিন খায়, অথবা যারা চাষবাসের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত, তাদের অবস্থা কতটা খারাপ হতে পারে উপরোক্ত সামান্য কিছু তথ্য সম্ভবত কিছুটা হলেও স্পষ্ট করে। জমিতে মেশিন দিয়ে চাষ করলে এই মজুররা বেকার হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে, জমি যদি ক্রমশ কর্পোরেট প্রভুদের হাতে যায়, তবে উন্নত মেশিন কাজে লাগানো হবে এবং এই মজুরদের কাজ যাবে। কৃষি বিলের ফলে চাষআবাদে কর্পোরেট আধিপত্যের ফলে উপরের তলে সামান্য কিছু কাজ হয়তো সৃষ্টি হবে – যেমন, খামার-কর্মচারী, অ্যাসিস্টেন্ট, হিসাবরক্ষক, কুলি, বাবুদের ফাইফরমাশ খাটার জন্য কিছু আমআদমির কাজ হয়তো জুটে যাবে। কিন্তু বাকিরা কোথায় যাবে? ওদিকে শহরে কাজ নেই। ফলে তারা যে শহরে গিয়ে কাজের খোঁজ করবে সেই রাস্তাও মোটামুটি বন্ধ। প্রকৃতপক্ষে, তারা মজুত বেকার-বাহিনীর কলেবর বাড়াবে। ফলে মজুরি আরও কমতে থাকবে। গরিব মেহনতী মানুষের সংকটজনক অবস্থা গভীরতর হবে।
প্রকৃতপক্ষে, কর্পোরেট ও বহুজাতিক দানবদের সঙ্গে কোনও ধরনের প্রতিযোগিতার ধারেকাছে আসতে পারবে না ৮৬ শতাংশের বেশি গরিব ও প্রান্তিক কৃষিজীবী মানুষও। এমনকি যারা মধ্য কৃষক হিসেবে পরিচিত এমন ১৩ শতাংশ চাষি প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে এমন আশাও দূর-অস্ত। ফলে শেষ পর্যন্ত জমি যাবে ঐ কর্পোরেট, বহুজাতিক ও সামান্য কিছু ধনী চাষির খপ্পরে। ভূমিহীন মজুররা আরও ব্যাপক সংকটের মধ্যে পড়বে।
কনট্রাক্ট প্রথায় চাষ – লাভ কাদের?
ঐ কোম্পানিগুলির জন্য কনট্রাক্ট চাষ করেও টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। কনট্রাক্ট প্রথা মানে আগে বাংলায় যেভাবে নীল চাষ হত, তার সমতুল্য। কোম্পানির লোক (আধুনিক কালের নায়েব-বরকন্দাজ সহ) চাষিদের সঙ্গে চুক্তি করবে (বা, দাদন দেবে) – তারা কী ফসল ফলাবে, কতখানি ফলাবে, কী সার দেবে, কোন পোকা মারার ওষুধ দেবে, কী যন্ত্র ব্যবহার করা হবে, এরকম হাজারো কিছু। ফসলের মান উপযুক্ত মানের না হলে কিংবা অতিবৃষ্টি-খরা-অনাবৃষ্টি হয়ে ফসলের ক্ষতি হলে কোম্পানির লোক ওপরওয়ালা বা ‘ঈশ্বরের হাত’ দেখাবে। চাষির ফসল মাটিতে পচবে অথবা শুকিয়ে দড়ি হবে। ইতিমধ্যে যেখানে যেখানে চুক্তিচাষ চালু হয়েছে তার অভিজ্ঞতা চাষিদের পক্ষে আদৌ সুখকর হয়নি।
তার উপর, চুক্তি চাষ মানে হল, ভারতের আপামর জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ফসলের চাষআবাদ লাটে উঠবে। যাতে কোম্পানির মুনাফা বেশি, চাষ হবে সেগুলো। যেমন, ধানের বদলে প্যাকেটের আলুভাজা, অর্ধ-প্রস্তুত খাদ্য, গমের বদলে ফল-ফুল কিংবা রকমারি সবজি বা কফি – অর্থাৎ বড়লোকদের ভোগের জন্য ও রপ্তানিযোগ্য পণ্যদ্রব্য। ফলে দেশের তথাকথিত স্বনির্ভরতা মাটিতে লুটোবে। বিদেশ থেকে খাদ্যফসল আমদানি হবে। সেগুলির দাম হবে আকাশছোঁয়া।
মেস্কিকোতে কী ঘটেছে?
১৯৯৪ সালে মেক্সিকোর সঙ্গে আমেরিকার ন্যাফটা চুক্তিতে একইভাবে চাষবাস কর্পোরেট ও বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তার কিছু ফলাফল হল:
১) স্টেট ট্রেডিং কোম্পানি (আমাদের এফসিআই-এর মতো) উঠে গেছে।
২) কৃষি কাজে সরকারি সাহায্য গুটিয়ে ফেলা হয়েছে।
৩) খাদ্যদ্রব্যের উপর সরকারি ভরতুকি তুলে নেওয়া হয়েছে।
৪) মেক্সিকোর প্রধান খাদ্যফসল এখন আমেরিকা থেকে আমদানি হয়।
৫) মেক্সিকোর পরিবার-কেন্দ্রিক খামারগুলির অর্ধেক উঠে গেছে।
৬) কৃষিতে মোট কাজের সুযোগ ব্যাপক মাত্রায় সংকুচিত হয়েছে। ফলে বেকারি হয়েছে আকাশছোঁয়া।
৭) বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে।
৮) মেক্সিকোর অর্ধেক মানুষের হাতে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছায় না। এক-পঞ্চমাংশ খাদ্য পায় না।
৯) বেকার মেক্সিকোবাসী বেঁচে থাকার মরিয়া তাগিদে উত্তর আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছে এবং ঘাড়ধাক্কা খাচ্ছে।
১০) খাদ্যের দাম বহু গুণে বেড়ে গেছে।
১১) মেক্সিকোর দানাশস্য (যা তাদের মূল খাদ্য)-এর বাজার এখন মাত্র দু’টি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে।১০
মেক্সিকোর শাসকশ্রেণি আমেরিকা-কানাডার সঙ্গে ন্যাফটা চুক্তির আগে সেখানকার কৃষক ও জনগণের কাছে লাগাতার স্বপ্নের ফিরি করেছিল। যেমন এখন ভারতে করা হচ্ছে। শুধু মেক্সিকো নয়, লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের একই অবস্থা হয়েছে।
বর্তমান কৃষক সংগ্রাম
ভারতে কৃষকদের ঐতিহাসিক আন্দোলন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিরোধ-সংগ্রাম। এই সংগ্রাম শুধু কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে হচ্ছে না, ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ গরিব মানুষের কাছে কোনও ক্রমে বেঁচে থাকার যে উপায়গুলি ছিল তা কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদ। যেভাবে ভারতবর্ষে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি ও কর্পোরেটদের লুঠের মৃগয়াক্ষেত্র বানানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে, এই সংগ্রাম হল অন্তর্বস্তুতে তার বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহ।
সরকার এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটাই স্বাভাবিক কেননা সরকারের পিছনে আছে ভারতের তামাম পুঁজিপতি শ্রেণি, তাদের তাঁবেদার ধনী শ্রেণিগুলি এবং সর্বোপরি সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি। একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করেছেন, জার্মানি ও জাপানে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সেখানকার কর্পোরেট পুঁজির মেলবন্ধন ঘটেছিল। ভারতেও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের সঙ্গে সেই ধরনের আঁতাত ক্রমশ জোরের সঙ্গে জানান দিচ্ছে।১১ বস্তুত, যেভাবে কর্পোরেট স্বার্থ ও দেশপ্রেমকে একাসনে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, আন্দোলনকারী কৃষক ও তাদের সমর্থকদের নির্বিচারে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে এবং সন্ত্রস্ত করে তোলা হচ্ছে, তাতে ভারতে ফ্যাসিবাদী পদধ্বনি আরও জোরালো হয়ে উঠছে। সংগ্রাম, শ্রমিক-কৃষকের সংগ্রামই এখন নির্ধারণ করে দিতে পারে ভারতের ইতিহাস কোন খাতে বইবে।
সূত্র:
১। জাতীয় নমুনা সমীক্ষা, ৫৭৬ নং রিপোর্ট, ভারত সরকার, http://www.indiaenvironmentportal.org.in/files/ ; সংগৃহীত ২৫.০৯.২০২০।
২। https://thewire.in/agriculture/farm-bills- ; ২৫.০৯.২০২০, সংগৃহীত ২৫.০৯.২০২০।
৩। https://www.business-standard.com/article/; ২৪.০৯.২০১৮, সংগৃহীত ২৫.০৯.২০২০।
৪। সূত্র ২ দেখুন।
৫। https://rupeindia.wordpress.com/2021/02/03/; ০৩.০২.২০২১, সংগৃহীত ০৩.০২.২০২১।
৬। https://www.thehindu.com/news/national/; ১৯.০৮.২০১৮, সংগৃহীত ২৫.০৯.২০২০।
৭। https://thewire.in/agriculture/a-policy-roadmap-to-end-farmers-distress; ২০.০৩.২০১৯, সংগৃহীত ২৫.০৯.২০২০।
৮। https://economictimes.indiatimes.com/news/ ; ০১.০৯.২০২০, সংগৃহীত ২৯.১২.২০২০।
৯। https://www.newsclick.in/modi-govt-continues- ; ৩১.১০.২০১৯, সংগৃহীত ০১.১১.২০১৯।
১০। https://rupeindia.wordpress.com/2020/12/03/; ০৩.১২.২০২০, সংগৃহীত ০৪.১২.২০২০।
১১। প্রভাত পট্টনায়ক, ১৩.০১.২০২১, দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন; https://www.macroscan.org/cur/jan21/; সংগৃহীত ২৪.০১.২০২১।