কৃষক জনতা মুড়ে ফেলেছে দিল্লি। এ আইন অমান্য নয়। দাঙ্গাবাজ, দমনবাদী, স্বাধীনতাহরণকারী, তানাশাহী দিল্লিরাজের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ। সংবিধান, সংসদ, আদালত, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান — গণতন্ত্রের প্রতিটি স্তম্ভকে হিন্দুত্ববাদী সংখ্যাগুরুবাদের বুলডোজার দিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে — আজ সেই সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেই ধর্মীয় ফ্যাসিবাদীদের কব্জা থেকে পুনরুদ্ধার ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ‘উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া’ — ‘আমরা ভারতের জনগণ’ আজ দিল্লির রাজপথে, কৃষক জনতার রূপে।
মোদীশাহি সরকার যে এই বিদ্রোহকে সহজে নেবে না। প্রবল দমনপীড়ন নামিয়ে আনতে চাইবে। ইউএপিএ, এনএসএ-সহ তাবড় দমনমূলক আইন এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে লেলিয়ে দেবে। এ পথ নিতে চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার চরম ভুল করবে। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সারা দেশেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। যা ক্রমে আরও বেশি বেশি করে সংগঠিত হতে থাকবে। লালকেল্লায় কৃষক-নিশান এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। এই দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে দেশের কৃষক সমাজ। এই দৃশ্য দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতি প্রান্তের শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষের বুকের ভিতর। তাকে মুছে ফেলা সম্ভব হবে না।