পৃথিবীর গভীর অসুখের মধ্যেও নজর ঘোরাতে, অগণিত অনাহারী, দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিক, কাজ হারানো অন্যান্য মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশা উপেক্ষা করে যারা শুধু ঘৃণার প্রচারে ব্যস্ত, ইতিহাস তাদেরও ক্ষমা করবে না। যেমন উদ্ধত লোভী মানুষের বিধ্বংসী কার্যকলাপ মেনে নিচ্ছে না প্রকৃতিও। লিখেছেন পার্থ সিংহ।
কোভিড-১৯ অতিমারির আবহে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি এখন আমাদের দেশে, বিশ্ব জুড়েই। সারাদেশেই ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা পরিকাঠামোর অন্তর্গত অন্য কর্মীরা, পুলিশ, প্রশাসন-সহ অন্য আপৎকালীন বিভাগগুলি প্রাণপণ যুঝে যাচ্ছে এই পরিস্থিতির সঙ্গে। এই সঙ্কটকালেই প্রচারের শিরোনামে উঠে এসেছে ‘তবলিঘি জামাত’ নামে একটি মুসলিম ধর্মীয় সংগঠনের কথা। বলা হচ্ছে রোগ ছড়ানোর মূল দায় নাকি তাদের। আমেরিকা, ইউরোপ ফেরৎ উচ্চবিত্তরা নিতান্তই অবোধ, তাদের কোনওই দায় ছিল না! মূলধারার প্রচার মাধ্যমগুলি এবং তাদের সঙ্গতকারী কুখ্যাত ‘আইটি সেল’ উঠেপড়ে লেগেছে প্রমাণ করতে যাতে এই অতিমারির সমধিক দায় একটি বিশেষ ধর্মাবলম্বী মানুষদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায়।
মহীশূরের একটি সান্ধ্য পত্রিকা, ‘স্টর অফ মাইসোর’ (সম্পাদক: কে বি গণপতি) তাদের ৬ই এপ্রিলের সম্পাদকীয় শুরু করেছে একটি মুসলিম ধর্মীয় জমায়েতের ছবি দিয়ে। আর সম্পাদকীয়র শিরোনাম: ‘ঝুড়ির নষ্ট আপেল’। তাতে ‘দেশের ১৮ শতাংশ বিরক্তিকর জনসংখ্যার অন্তর্গত মানুষকে, নিজস্ব পরিচয়-জ্ঞাপক পোশাকে যাদের সহজেই চেনা যায়, নষ্ট বা পচা আপেল’ বলে চিহ্নিত করে সরাসরি ‘সেই পচা আপেল’ ঝুড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে, যাতে ‘ঝুড়ির ভালো আপেল রক্ষা করা যায়’: ‘The nation is currently hosting an annoying 18% of its population self-identifying as rotten apples. ….The presence of bad apples cannot be wished away. They are there in whatever way one wants to identify them, doesn’t matter if it is religious, political or social, taking care not to generalise. An ideal solution to the problem created by bad apples is to get rid of them, as the former leader of Singapore did a few decades ago or as the leadership in Israel is currently doing.’ (সূত্র: নিউজ মিনিট, নিউজ কর্নাটক, গৌরীলঙ্কেশ নিউজ)
গণহত্যার পক্ষেই সরাসরি সওয়াল নয় কি? প্যালেস্তিনীয়দের উপর ইজরায়েলের ধারাবাহিক অকথ্য নির্যাতন, খুন, নিজভূমি থেকে তাদের বিতাড়ন ইত্যাদি এদের কাছে অতীব গ্রহণযোগ্য। মনে পড়ে যায়, গত বছর নিউ ইয়র্কে ভারতের কনসাল জেনারেল সন্দীপ চক্রবর্তীর মন্তব্য। তাঁর পরামর্শ (!) ছিল, কাশ্মীরে ‘ইজরায়েল মডেল’ অনুসরণ করা হোক। হইচই হওয়ার পর তিনি বলেন, ওটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত, সরকারি বক্তব্য নয় (দ্য টেলিগ্রাফ, ২৭.১১.২০১৯)। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সিঙ্গাপুরে জাপানি মিলিটারি পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত Sook Ching গণহত্যা তো ঐতিহাসিক ঘৃণ্য কুকর্মের অন্যতম মাইলফলক হয়েই আছে। প্রকৃতপক্ষে এসব ঘৃণার প্রচার, কুৎসিত মন্তব্য থেকে প্রচারকদের মানসিক গঠন এবং আসল লক্ষ্যটি পরিষ্কার হয়ে যায়।
‘নাভু ভারতিয়ারু’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের আইনি নোটিস পাওয়ার পর মহীশূরের ওই পত্রিকার পক্ষে ১০ই এপ্রিল ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ করে একটি বিজ্ঞপ্তি অবশ্য ছাপা হয়েছে। এখানেই যেন সাত খুন মাফ! প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এ ব্যাপারে নীরব। তাদের প্রকাশিত নর্মস অব জার্নালিস্টিক কন্ডাক্ট-এর 4(vi) এবং 4(xv) ধারা অনুযায়ী সংবাদপত্রে কখনওই এমন লেখা বেরোবে না যা আপত্তিকর, উত্তেজক, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হানিকর, সংবিধানের মূলনীতির বিরুদ্ধে, দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে ক্ষতিকর। এ রকম হলে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তের এক্তিয়ার আছে, বহু ক্ষেত্রে করেওছে ইতিপূর্বে। কিন্তু এখন চলছে হিরন্ময় নীরবতা!
৮ই এপ্রিল ফের এ দেশের অন্যতম ‘অগ্রণী’ টিভি চ্যানেলে (যারা বিদ্বেষ প্রচারে যথেষ্ট নাম করেছে) জানানো হয়, মধ্যপ্রদেশের খারগোনে তবলিগি জমায়েত ফেরৎ জনৈক নুর মহম্মদ নিজের বিদেশ এবং নিজামুদ্দিন ফেরতের ইতিহাস লুকিয়ে বহু মানুষকে রোগাক্রান্ত করেছেন, তিনি মারাও গিয়েছেন, তাঁর বৃদ্ধা মা-ও মারা গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে রোগ ছড়ানোর অন্যতম দায় তাঁর এবং এতেই ক্ষান্ত না হয়ে চ্যানেলের সঞ্চালক তাঁকে ‘বদতমিজ (অসভ্য), বেহুদি (নির্বোধ) এবং বেশরম (বেহায়া) জামাতি’ বিশেষণেও ভূষিত করেন। অলট্ নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে, নুর মোটেই মারা যাননি, ইন্দোরের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন। ক’দিন আগে তাঁর মা মারা যান অবশ্য হার্ট অ্যাটাকে। দিল্লি থেকে নুর সরকারি হাসপাতালে দেখান, তাঁর করোনা-পজিটিভ এবং স্ত্রীর নেগেটিভ হয়। জেলাশাসক জানিয়েছেন, নুর বেঁচেই আছেন, সুস্থ। চ্যানেলের বিরুদ্ধে নুর এফআইআর করেছেন (অলট্ নিউজ, ১৪.০৪.২০২০)। এ ক্ষেত্রেও প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার মুখে কথা নেই!
নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এই ‘ঘৃণার প্রচার’-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত সোমবার শীর্ষ আদালত বলে দিয়েছে, ‘We cannot curb the freedom of the press. We cannot pass any interim directions…!” (দ্য টেলিগ্রাফ, ১৪.০৪.২০২০)। অথচ আগের সপ্তাহেই করোনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সরকারি তথ্য-পরিসংখ্যানেই জোর দেওয়ার উপদেশ দিয়ে কার্যত লক্ষ্মণরেখা টেনেছে এই সুপ্রিম কোর্টই।
আমরা জানি, তবলিঘি জামাত খুব দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দেয়নি। যদিও তারা বলার চেষ্টা করেছে, বার বার বলা সত্ত্বেও প্রশাসনের কাছ থেকে তারা সময়োচিত সহায়তা পায়নি। সে তর্কে না গিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, ঘৃণার প্রচারের শেষ কোথায়। সরকারের উচ্চস্তর থেকেও আপাত দায়সারা কিন্তু প্ররোচনামূলক মন্তব্যই করা হয়েছে, ‘রোগাক্রান্তের হার দ্বিগুণ হয়েছে তবলিগি জমায়েতের কারণে’ (‘If we compare Tablighi Jamaat congregation and if that had not taken place, our doubling rate is 4.1 days and had those cases not happened the doubling rate would be 7.4 days right now’– সূত্র: ইকনমিক টাইমস, ০৫.০৪.২০২০)। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, তবলিঘি-র জন্যই মধ্যপ্রদেশে রোগ বাড়ছে (ডেকান হেরাল্ড, ০৯.০৪.২০২০)। বললেন না তাঁর দপ্তরের কয়েকজন অতি উচ্চপদস্থ অফিসার এই রোগে আক্রান্ত, যাঁদের ছেলেদের আমেরিকা থেকে ফেরার সাম্প্রতিক ইতিহাস ছিল (ডেকান হেরাল্ড, ০৯.০৪.২০২০)।
ইতিমধ্যে অজস্র ঘৃণা-বহনকারী সংবাদ বেরিয়েছে, পরদিনই তা ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে। তবু নির্লজ্জ মিথ্যা প্রচারের বিরাম নেই। কেউ কেউ ভুয়ো সংবাদ নিশ্চিন্তে ফরোয়ার্ডও করে চলেছেন। তবলিঘি জমায়েত ফেরৎ এবং তাঁদের থেকে সংক্রমিত কতজনের টেস্ট পজিটিভ হয়েছে, কতজনের নেগেটিভ হয়েছে, কতজন সুস্থ হয়েছেন আর কতজনই বা মৃত– তার কোনও সরকারি তথ্য নেই। জামাত-যোগ নেই এমন কতজন রোগাক্রান্ত–তারও সরকারি তথ্য সামনে আসেনি। ফেসবুকে বহু পরিচিত মানুষের পোস্ট দেখা গেছে যাতে বলা হয়েছে, মুসলমান অধ্যুষিত জায়গায় অনাবশ্যক ভিড় হচ্ছে এই লকডাউনের সময়ে। অথচ এমন আইনভঙ্গের ঘটনা তো অনেকই ঘটছে। এই আপৎকালীন সময়ে বহু জায়গায় নিষেধ সত্ত্বেও রামনবমীর ভিড় হয়েছে, তা-ও সবাই সংবাদে দেখেছেন।
একপেশে উদ্দেশ্যমূলক এই ঘৃণার প্রচারের সঙ্গে বড় মিল রোয়ান্ডার, সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার এবং বহু আলোচিত জার্মানিতে ইহুদি নিকেশের আগের সলতে পাকানো পর্বের। ফলে আশঙ্কা গভীর হয়। গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টার-এর ব্লগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৩-র মে থেকে ’৯৪-এর জুলাইয়ের মধ্যে রোয়ান্ডায় টুটসি এবং উদারপন্থী-যুক্তিবাদী হুটুদের গণহত্যার আগে সেখানকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে টুটসিদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য প্রচার চলেছিল ধারাবাহিক ভাবে। তাঁদের ‘আরশোলা’র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। এখানে উইপোকা, পচা আপেল ইত্যাদি বলা হচ্ছে, এটুকুই ফারাক!
জাতিপুঞ্জের ‘নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক চুক্তিপত্র’-এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কারও প্রতি অত্যাচার, নিষ্ঠুর, অমানবিক, অমর্যাদাকর আচরণ ও শাস্তি-আরোপ করা যাবে না’; ধারা ২০ (২) অনুযায়ী, ‘উত্তেজনা ও বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং শত্রুতা ও হিংসা উদ্রেককারী যে কোনও রাষ্ট্রীয়, জাতিগত ও ধর্মীয় ঘৃণা সৃষ্টির পক্ষে ওকালতি করাকে আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ করতে হবে’। মনে রাখতে হবে ভারত কিন্তু এই চুক্তিপত্র অনুমোদন করেছে। Convention on Prevention and Punishment of the Crime of Genocide (effective:12.01.1951) অনুসারে ‘genocide’-এর মধ্যে পড়বে, ‘causing serious bodily or mental harm to members of the ethical, racial or religious group’– art.II(b), ‘deliberately inflicting on the group conditions of the life calculated to bring about its physical destruction in whole or in part’– art.II(c). আর কী কী শাস্তিযোগ্য: (a) Genocide; (b) Conspiracy to commit genocide;(c) Direct and public incitement to commit genocide; (d)Attempt to commit genocide, (e) Complicity in genocide.
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট-এর রোম স্ট্যাট্যুট (১৯৯৮)-এর ৭ ধারায় ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের’ পরিষ্কার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা আছে–‘নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর উপর ব্যাপক এবং সঙ্ঘবদ্ধ খুন, ধর্ষণ, নিপীড়ন, বিধ্বংসী অত্যাচার, বেহদিস করে দেওয়া এবং অন্যান্য অমানবিক, অমর্যাদাকর অত্যাচার তা শারীরিক বা মানসিক যাই হোক না কেন তা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হবে।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-এর রায় (২০০৭) অনুসারে, ‘গণহত্যা হচ্ছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, আন্তর্জাতিক আইনের চোখে এটা অপরাধ হিসেবে গণ্য। প্রত্যেক রাষ্ট্র তার সীমানায় এমন অপরাধ ঘটতে না দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ’।
প্রশ্ন উঠতেই পারে গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ কি, এখানে তো গণহত্যা হয়নি। তাই কি? অতীতের অভিজ্ঞতা এবং অতি সম্প্রতি দিল্লির ঘটনা তো ধারাবাহিক এই ঘৃণা ও মিথ্যা প্রচারের পরিণতিতেই। কী ভাবে সুসংগঠিত দাঙ্গার আগে বড় থেকে ছোট নেতারা নাগাড়ে তীব্র ঘৃণার খোলাখুলি প্রচার করে গিয়েছেন–সে কি সহজে ভোলা সম্ভব? কোনওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘৃণা পরিবেশনের এই সংগঠিত কার্যক্রম অবশ্যই ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’-এর আওতাতেই পড়ে।
অসীম ক্ষমতাধররা ভাবছেন—চিরকাল পার পেতেই থাকবেন। ইতিহাসে কিন্তু অন্য রকম উদাহরণ রয়েছে: হিটলারের ঘনিষ্ঠ জুলিয়াস স্ট্রিচার, যিনি কোনও রকম শারীরিক অত্যাচারে অংশ নেননি, শুধু তাঁর পত্রিকার মাধ্যমে ইহুদিদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতেন, নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয় ’৪৬-এর ১ অক্টোবর। রোয়ান্ডা গণহত্যার আগে ঘৃণা প্রচারের অপরাধে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা দোষী সাব্যস্ত হন আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (দ্য গার্ডিয়ান, ০৪.১২.২০০৩)। সাবেক যুগোস্লাভিয়ার গৃহযুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত হয় প্রবল পরাক্রান্ত নেতা স্লোবোদান মিলোশেভিক, রাডোভান কারাজিক, বসনিয়ার কসাই বলে কুখ্যাত রাটকো লাডিক। অতি সম্প্রতি মায়নামার-এর রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের উপর ভয়ানক নির্যাতন, খুন ও বিতাড়নের দায়ে রিপাবলিক অফ গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে মামলা করেছে মায়নামার-এর বিরুদ্ধে।
পৃথিবীর গভীর অসুখের মধ্যেও নজর ঘোরাতে, অগণিত অনাহারী, দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিক, কাজ হারানো অন্যান্য মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশা উপেক্ষা করে যারা শুধু ঘৃণার প্রচারে ব্যস্ত, ইতিহাস তাদেরও ক্ষমা করবে না। যেমন উদ্ধত লোভী মানুষের বিধ্বংসী কার্যকলাপ মেনে নিচ্ছে না প্রকৃতিও।
লেখক মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী।