নাগরিকত্ব আন্দোলন চর্চায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।


  • January 31, 2020
  • (0 Comments)
  • 2076 Views

যে কথাগুলি না জানলে হঠাৎ আসামেই কেন প্রথম এনআরসি এবংবিদেশিচিহ্নিতকরণ বিতাড়নের জন্য একগুচ্ছের আইনের প্রয়োগ, সে প্রশ্নের জবাব মিলবে না। আর এখানেই লেখকরা পুস্তিকাটিতে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের রাষ্ট্রিয় কাঠামোর গড়ন নিয়েই। যেন অনেকটাই শিকড় ধরে টান মারালিখেছেন দেবাশিস আইচ

 

আসাম এনআরসি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক খসড়া তালিকায় ৪০ লক্ষ মানুষের বাদ পড়া সারা দেশকেই হতবাক করে দিয়েছিল। ভারতের মানসজগৎ থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন এই রাজ্য একধাক্কায় খবরের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল। যে আলোচনা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ এবং এনপিআরের দৌলতে শেষ পর্যন্ত সারা দেশ জুড়েই এক অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি এবং পরবর্তীতে সিএএ বিষয়ক কম পক্ষে দু’ডজন পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। বলার মতো বিষয় যে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে এই পুস্তিকাগুলি প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছিল বিভিন্ন নাগরিক ও সামাজিক সংগঠন, গণসংগঠন এবং ক্ষুদ্র অবাণিজ্যিক প্রকাশনাগুলি। পরে অবশ্য দু’-একটি বাম রাজনৈতিক দল, যেমন সিপিআই(এম) ও এসইউসি(আই) এমন পুস্তিকা প্রকাশ করেছে। অধিকাংশ পুস্তিকাই সুলিখিত এবং এনআরসি, সিএএ-র অভিসন্ধি বুঝতে আমাদের প্রভূত সাহায্য করেছে। বাংলায় বর্তমান চলমান আন্দোলনের কুশীলবরা, তথ্য ও তত্ত্বের ভিত গড়ে তুলতে এই পুস্তিকাগুলির কাছেও ঋণী বলে মনে হয়। এই তালিকায় নবতম সংযোজন গ্রাউন্ডজিরো প্রকাশিত ‘নাগরিকত্ব, আধুনিক রাষ্ট্র ও আসাম’। লেখকদ্বয় আসাম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সজল নাগ ও শান্তনু সরকার।

 

প্রথমোক্ত পুস্তিকাগুলির গুরুত্ব এই যে, নাগরিক পঞ্জি, নাগরিকত্ব আইন কী ও কেন, কেনই বা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবাসীর তার বিরোধিতা করা উচিত, সেই প্রশ্নগুলির যথাসাধ্য প্রাঞ্জল বিশ্লেষণ। অর্থাৎ, পুস্তিকাগুলির অভিমুখ ছিল প্রধানত আন্দোলনমুখী এবং উঠে আসা আশু প্রশ্ন ও সংশয়ের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা। আমাদের আলোচ্য পুস্তিকাটির শিরোনাম থেকেই স্পষ্ট সেটি আসাম এবং আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিকত্বের ধারণা কেন্দ্রিক।

 

আমরা জানি যে, বিগত বহু বছর ধরে অধ্যাপক নাগ উত্তর-পূর্বের জাতিসত্ত্বা, ইনসারজেন্সি, জাতিবৈরিতা বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখে চলেছেন এবং বিগত দু’দশকে অন্তত আটটি বইয়ে তিনি তাঁর চিন্তাভাবনাকে সংহত রূপ দিয়েছেন। তাঁর সাম্প্রতিক তম পরিচয় ‘বিলিগার্ড নেশন : দি মেকিং অ্যান্ড আনমেকিং অফ দ্য অ্যাসামিজ ন্যাশনালিটি’, ২০১৭। যা উত্তর-পূর্বের মন বুঝতে, ভারত ও উত্তর-পূর্বের সম্পর্কের টানাপড়েন ও রাজনীতি বুঝতে, জাতিবৈরিতা ও হিংসার শিকড় খুঁজে পেতে আমাদের সাহায্য করে। এই পুস্তিকাটিতে অত্যন্ত সাবলীল ও সহজ ভাষায় এই দুই মেধাজীবী বাঙালি ও অসমিয়া সম্পর্ক, তার নানা টানাপড়েনের ইতিহাস বিবৃত করতে করতে এক অমোঘ প্রশ্নের সামনে আমাদের ঠেলে দিয়েছেন। তা হল এই বিপুল বহু জাতি, বহু ধর্মের দেশে নাগরিকত্বকে আমরা কীভাবে দেখব। এই বৈচিত্র্যময় দেশে নাগরিকত্বের প্রশ্নটিও আমরা নানা ভিন্নতায় দেখব কি না? এই প্রশ্নে পৌঁছনোর আগে দীর্ঘ সময় ধরে আসামের বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন লেখকদ্বয়। স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আসামে ‘অভিবাসী’ বিরোধিতা, ‘অনুপ্রবেশ’ বিরোধিতা, ‘বাঙালি’ বিরোধিতার এক দীর্ঘ ইতিহাসের কথা। আমরা জানি, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের আগে অন্য কোনও ভারতীয় সাম্রাজ্য উত্তর-পূর্ব তো বটেই আসামে তাদের বিস্তার লাভ করতে পারেনি। ১৭৬৯-১৮০৬ মোরামোরিয়া বিদ্রোহ, আহোম রাজবংশের অন্তর্দন্দ্বের ফলে মায়ানমার সেনার আসাম আক্রমণ এবং তাদের ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর অত্যাচার আসামকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক সমীক্ষকদের মতে ১৮১৪-১৮২৬ সাল এক সর্বনাশা যুগ। আসাম পরিণত হয়েছিল এক গণশ্মশানে। মায়ানমারের সেনারা প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে বন্দি করে গোলাম হিসেবে নিজেদের দেশে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, ১৭৬৬ সালে আসামের জনসংখ্যা যা ছিল ১৮২৬ সালে তা তিন ভাগের এক ভাগে নেমে আসে। আর এই সুযোগেই ইংরেজ ১৮২৬ সালে ইয়াংবুতে মায়ানমারের সঙ্গে সন্ধি করে। আর সাথে সাথে ইংরেজ আসামে রাজ্য বিস্তার করে।

 

ইংরেজের রাজত্ব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ল বাণিজ্য বিস্তার। চা বাগান, তেল ও কয়লা খনি, রেল যোগাযোগ। প্রশাসনিক প্রয়োজনে এল বাবুরা। আর তাদের খাদ্য যোগান দিতে দলে দলে এল কৃষিজীবী মানুষ। অসমিয়া বুদ্ধিজীবী ও মধশ্রেণি তাদের সাদর আহ্বান জানিয়েছিল। এই প্রব্রাজন ঘটেছিল ঔপনিবেশিক ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে। তারা কেউ শরণার্থী কিংবা ঘুসপেটিয়া ছিল না। আর তারা তো শুধু পেট নিয়ে আসেনি, এসেছে শক্ত-সবল দুটো হাত, সচল মস্তিষ্ক নিয়ে। কৃষিজীবীরা এসেছে কৃষিকাজের অগাধ অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে। এ কথা সত্যি তাদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা মিলেছিল, জমি মিলেছিল। আবার অন্যদিকে বিশেষত তৎকালীন পূর্ববঙ্গের যে জেলাগুলি থেকে তারা এসেছিল, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জ্বালায় সেখানকার কৃষকরা তখন জমি হারাচ্ছে আর খাজনার চাপে দিশেহারা। এই কৃষিজীবীরা কীভাবে আসামের কৃষিব্যবস্থায় নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছিল তার বিবরণ রয়েছে পুস্তিকাটিতে। রয়েছে ফের সেই জমির প্রশ্নে, পরবর্তীতে দেশভাগ, শরণার্থীর আগমন, নিজ দেশে অসমিয়াদের সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়ার অমূলক ভয়, উচ্চবর্ণ বাবু বাঙালিদের একাংশের অহংমন্যতা এবং তাদের প্রতি ক্ষোভের বিবরণ। যে কথাগুলি না জানলে হঠাৎ আসামেই কেন প্রথম এনআরসি এবং ‘বিদেশি’ চিহ্নিতকরণ ও বিতাড়নের জন্য একগুচ্ছের আইনের প্রয়োগ, সে প্রশ্নের জবাব মিলবে না। আর এখানেই লেখকরা প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের রাষ্ট্রিয় কাঠামোর গড়ন নিয়েই। যেন অনেকটাই শিকড় ধরে টান মারা।

 

শুধু সংঘাতের কারণ নয়, সংঘাত থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার একটি পথ খোঁজার চেষ্টাও রয়েছে। সজল ও শান্তনু মনে করেন, “আসলে সমস্যার মূলে রয়েছে আধুনিক রাষ্ট্র কল্পনা। ইউরোপের অন্ধ অনুকরণে আমরা ভারতবর্ষকে একমাত্রিক নেশন স্টেট হিসেবে কল্পনা করতে চেয়েছি। সেখানেই এই সমস্যার মূল।” দ্বিতীয়ত আরও একটি দিকের প্রতি তাঁরা নির্দেশ করেছেন, সেটি হল ‘বিকাশ’ ও ‘উন্নয়ন’ এর ধারণা। তাঁরা বলছেন, “এই সমস্যার আরেকটি প্রধান কারণ ‘বিকাশ’ ও ‘উন্নয়ন’ জাতীয় ধারণাগুলি কেন্দ্রিক। অর্থনৈতিক নির্ধারণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বিকাশ ও উন্নয়নের যুক্তি বলতে যা বোঝায়, তা আসাম সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। একারণেই উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রায় কোনো জাতিসত্তা বা গোষ্ঠী ভারতবর্ষের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে আত্তীকৃত হতে চায়নি।” এই আত্তীকরণ নেহরুও চাননি। আর উন্নয়নের ধারণা নিয়েও ছিল সংশয়। ১৯৫৭ সালে বন্ধু নৃতত্ত্ববিদ ভেরিয়ার এলউইনের ‘এ ফিলজফি ফর নেফা’ (তৎকালীন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি অধুনা অরুণাচল প্রদেশ) বইটির মুখবন্ধে নেহরু লিখেছিলেন, “…(I)n considering various aspects of these (North East) problems and discussing them…more especially with Verrier Elwin, more definite idea took shape in my mind and I began to doubt how far the normal idea of progress was beneficial for these people and, indeed, whether this was progress at all in any real sense of the world.” নেহরু এই জনগোষ্ঠীগুলিকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চাননি। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, “…(I) felt that we should avoid two extreme courses : one was to treat them as anthropological specimens for study and the other was to allow them to be engulfed by the masses of Indian humanity.”

 

ভারত তো শুধু একটি দেশ নয়, অনেক জাতিগোষ্ঠীর দেশ। তাদের মধ্যে নানা বৈচিত্র্য  রয়েছে। রয়েছে বলেই সংবিধানে ৩৭০ থেকে ৩৭১ ক খ গ  ঘ ঙ ইত্যাদি ধারা বা আর্টিকেলের সমাবেশ। আছে বলেই খণ্ড জাতীয়তাবাদ বাংলা-বিহার, মহারাষ্ট্র-গুজরাট, কর্নাটক-হায়দরাবাদ ইত্যাদি ভাগে ভাগ হয়েছে। অসমের উগ্র ভাষানীতির বিরোধিতা করে অসম থেকে বেরিয়ে এসেছে মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল। এ প্রসঙ্গে লক্ষ করার মতো যে, উত্তর-পূর্বে  সিএএ বিরোধিতায় কোথাও জাতীয় পতাকা উড়ছে না। কেন? সমস্যা হল মুখে বা তত্ত্বে মেনে নিলেও প্রায় সকল রাজনৈতিক দলই এই বৈচিত্র্যকে প্রয়োগে মানতে চায়নি। এখনও মানে না। তারা সব সমস্যাকেই  ‘ভারত’ ও ‘ভারতীয়তা’র চোখ দিয়ে দেখে। এই ‘ভারত’ ও ‘ভারতীয়তা’ বিগত ৩০০ বছরে একটি সত্য হয়ে উঠেছে সে কথা মনে রেখেও বলা যায় যে, তা খণ্ডিত সত্য।

 

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা ভারত এক’ জাতীয় নরম জাতীয়তাবাদ এবং ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থান’ জাতীয় উগ্র জাতীয়তাবাদ থেকে সিএএ/এনআরসি আন্দোলনে বর্তমান জাতীয়তাবাদী ঝোঁক তার একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে বলেই মনে হয়। যেখানে গণতন্ত্রকে রক্ষা করাটাই প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে জাতীয় পতাকা, সংবিধান প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান দুটি চিহ্ন হিসেবে সাধারণ জনমানসে ধরা দিয়েছে। সেখানে ফৈয়াজ আহমেদ ফৈয়াজকে যেমন ইতিহাসের কবর খুঁড়ে ছাত্ররা নতুন করে আবিষ্কার করেছে, তেমনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার উঠে এসেছেন ইতিহাসের ভষ্ম থেকে।

 

অন্যদিকে, বর্তমান আন্দোলনের দুটি মহার্ঘ্য দিক হল (১) ছাত্র ও তরুণদের (২) রমণী বিশেষ করে মুসলমান রমণীদের উপস্থিতি ও নেতৃত্বদান। আরো একটি বড় দিক ইমাম কিংবা ধর্মীয় নেতাদের আন্দোলন পরিচালনায় অনুপস্থিতি। দিল্লির জামা মসজিদের ইমাম নয় দলিত আন্দোলনের নেতা দিল্লির জামা মসজিদের চত্বরে সংবিধান পড়ছে — এমন দৃশ্য কল্পনার অতীত ছিল। পপুলিজমের রাজনীতি, ক্ষমতার রাজনীতি — তা চিরাচরিত ডান-বাম যাই হোক না কেন — প্রতিবাদী আন্দোলনের এই বয়ানের সঙ্গে তাল রাখতে পারছে না। আবার তা এই রাজনীতিকে আত্মস্থ করবে তার সুযোগও সেভাবে মিলছে না। তারা একরকম বেড়ার উপর কিংবা আঙুলে আঙুল জড়িয়ে অপেক্ষা করছে কিংবা নিজেদের পরিসরে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে।

 

মনে হয়, আমাদের খোলামনে প্রতিটি রাজ্যের নির্দিষ্টতার মাপে এই আন্দোলনের বিচিত্র ঘরানাকে বিচার করে করে চলতে হবে। যেমন, উত্তর-পূর্বের সিএএ বিরোধিতা আর বাকি ভারতের সিএএ বিরোধিতা এক নয়। বাংলার গোর্খাদের সিএএ, এনআরসি  বিরোধিতা আর বাঙালি উদ্বাস্ত ও পশ্চিমবঙ্গীয় হিন্দু, মুসলমান (যাদের সিংহভাগই আবার পশ্চিমবঙ্গীয়), আদিবাসীদের এনআরসি/সিএএ বিরোধিতার একাধিক ভিন্ন আবার একাধিক অভিন্ন বয়ান/মত রয়েছে। এই গোষ্ঠীদের মধ্যে অনেকেই পক্ষাবলম্বীও বটে। কেউ মুসলমান বিরোধিতায়, কেউ বা উদ্বাস্তু বিরোধিতায়, কেউ হিন্দুত্বে, কেউ হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুত্বে। এই নানা টানাপড়েনগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া খুব সহজ কাজ নয়। কোনও তাত্ত্বিক সহজপাঠের কথাও জানা নেই। ইউরোপের মতো কোনও দেশ হলে এতদিনে এই বিতর্কের আর কোনও সুযোগ থাকত না। সেই সুযোগ আরও আরও সুযোগ বাড়িয়ে নেওয়াটাই এখন প্রাথমিকতা। লাল না তেরঙা — সে বিতর্কের ছেদহীন অবকাশের জন্যই আশু কাজ দেশের প্রতিটি অংশে প্রতিটি অংশর এই গণতান্ত্রিক লড়াই যা আখেরে ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা, সেই লড়াইকে আমার বিরোধিতা, আমাদের বিরোধিতা দিয়ে শক্তিশালী করে তোলা।

 

নাগরিকত্ব, আধুনিক রাষ্ট্র আসাম, সজল নাগ ও শান্তনু সরকার, গ্রাউন্ডজিরো প্রকাশনী, ২০২০, মূল্য : ২৫ টাকা।

 

Share this
Leave a Comment