GKCIET থেকে SSC আন্দোলন : শাসকের ঔদ্ধত্য ও অমানবিকতার নিদর্শন


  • March 26, 2019
  • (1 Comments)
  • 1977 Views

মালদার GKCIET-র ছাত্রছাত্রীদের বৈধ সার্টিফিকেটের দাবিতে ৭০ দিন ধরে কলকাতার রাস্তায় অবস্থান এবং বর্তমানে  SSC আন্দোলনের যুবক যুবতীদের নিজেদের দাবি আদায় করতে রাস্তায় শুয়ে বসে ২৭ দিন ধরে চলতে থাকা আমরণ অনশন কি এখনও কলকাতার নাগরিক সমাজের চোখ খুলে দিতে সক্ষম হয়নি? লিখছেন GKCIET আন্দোলনের সক্রিয় ছাত্র, সাইন জাহেদী

 

 

ভর সন্ধ্যা। মানুষে থিক থিক করছে তখন নন্দনের রানু ছায়া মঞ্চ চত্বর। মঞ্চের উপর সভা চলছে, মাইকে আওয়াজ ভেসে আসছে.. “সুদূর মালদা থেকে আগত সরকারি উদ্যোগে প্রতারিত ছাত্রছাত্রী”। এটা এদেরই ডাকা সভা। আশপাশে থাকা সব মানুষই যে সভা শুনতে এসেছে তেমনটা কিন্তু নয়। কেউ এসেছে নাটক দেখতে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে, কেউ এসেছে নন্দন চত্বরে একটু সন্ধ্যেতে আড্ডা দিতে, অনেকেই এসেছে মালদা থেকে আগত সরকারি প্রতারণার শিকার ছাত্রছাত্রীদের হয়ে আওয়াজ তুলতে। কিন্তু প্রায় সকলেই বেশ মনোযোগ দিয়ে মাইকে ফুটে ওঠা কথাগুলো শুনছে। শুনছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সরকার দ্বারা প্রতারণা ও সরকারি টালবাহানায় হয়রান হওয়া এই ছাত্রছাত্রীদের কথা, যারা ন্যায্য বিচার চাইতে মহানগরীর বুকে এসে ভেবেই নিয়েছে হয় বৈধ সার্টিফিকেট, নাহয় আমাদের লাশ বাড়ি ফিরবে।

 

হয় সমস্যার সমাধান নচেৎ নিজেদের অন্ত। তাই সভার পরেই এই অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে কিছুটা নিশ্চিত করতে, সরকারের এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে, ঘুমন্ত সরকারকে জাগাতে, ছাত্রছাত্রীরা রানু ছায়া মঞ্চে কোনো কিছু না ভেবেই বসে পড়লো এক অনিশ্চিত দীর্ঘ অবস্থানে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই হেস্টিংস থানা থেকে এক জিপ ভর্তি পুলিস উপস্থিত হলো ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান মঞ্চে। যে ছাত্রছাত্রীদের এতদিন প্রশাসন পাত্তাও দেয়নি তাদের জন্যই। না, প্রশাসন সমস্যার সমাধান করতে আসেনি। আসেনি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতেও। এসেছে এই সরকার দ্বারা প্রতারিত ছাত্রছাত্রীদের খুন হওয়া ভবিষ্যতকে বালিচাপা দিতে। অর্থাৎ বিচার চাইতে আসা এই অসহায় ছাত্রছাত্রীদের শেষ আশা আন্দোলন থেকেও তুলে দিতেই এসেছে এরা। এসেই প্রথমে তারা ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান তুলে দেওয়ার জন্য বহু কাকুতি মিনতি করলো। কোনো ফল না হওয়ায় একটি প্রিজন ভ্যান ভর্তি পুলিস আসলো অবস্থানের মঞ্চে। সঙ্গে আসলো পুলিসের উচ্চপদস্থ দামড়া চেহারার কর্তারাও। বিপদ আঁচ করেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার নাগরিক সমাজ ও ছাত্রছাত্রী সমাজকে আমাদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান করে ফেসবুকে লিখলাম। এদিকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজনকে ডেকে পাঠালো পুলিসের কর্তারা.. “উঠে যাও.. এখানে কেন বসে পড়লে?”

 

আমরা বললাম, “স্যার, ৩ বছর ধরে আপনাদেরই মতো একটা সরকারি সংস্থা দ্বারা প্রতারিত হয়ে আওয়াজ তুলে যাচ্ছি। সরকার প্রশাসন নির্বিকার, তাই দেওয়ালে পিঠ ঠেকায় আজ মালদা ছাড়িয়ে কলকাতা এসেছি সরকারি হস্তক্ষেপ চাইতে।” পুলিসের কর্তা বললেন, “তা এখানে বসেছো কেন? এখানে বসে কি হবে? উপরমহলে চিঠি দাও, দেখা করো, এসব আন্দোলন করে কিচ্ছু হয়না।” আমরা বললাম, “স্যার গত ৩ বছর ধরে চিঠি করেই যাচ্ছি প্রত্যেকটা সরকারি দপ্তরে। যাদের অধীনে এই কলেজ সেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ৮০০ চিঠি করেছি। একটারও কোনো উত্তর পাইনি। তাই আজ বাধ্য হয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ চাইতে এখানে বসে পড়েছি। সরকারি হস্তক্ষেপ না পাওয়া পর্যন্ত উঠছি না। আপনারাই বরং সাহায্য করুন আমাদের এই খুন হওয়া ভবিষ্যতকে উদ্ধার করতে।” এবার পুলিস কর্তা শাসিয়ে বললেন যে, “ভদ্র ভাবে বলছি এখান থেকে উঠে যাও..”। আমরা জিজ্ঞেস করলাম “কোথায় যাবো?”, এই প্রতারিত মুখ নিয়ে বাড়ি ফিরার আর কোনো ইচ্ছা নেই। পুলিস কর্তা বললেন “কোথায় যাবে জানি না.. তবে এখানে থাকতে দেওয়া যাবে না.. এখানে আজ পর্যন্ত কেউ বসেনি.. এখানে কোনরকম আন্দোলন আজ পর্যন্ত হয়নি। আমাদের কাছে উপরমহলের চাপ আছে তোমাদের বসতে না দিতে.. তাই বসতে দেওয়া যাবে না।” আমরা বললাম, “আন্দোলন কোথাও হয়নি বলে সেখানে কোনোদিনও আন্দোলন হবে না – এর কি কোনো মানে আছে নাকি?.. এখানে আমরা GKCIET-এর প্রতারিতরা বসবো, আন্দোলন করবো আর জয়ীও হবো! ইতিহাস নিজে থেকে হয়না, তৈরি করতে হয়। আর এই রানু ছায়া মঞ্চে প্রতারিত থেকে জয়ী হওয়ার ইতিহাস আমরা তৈরি করবো। আপনি বরং আমাদের সহযোগিতা করুন এবং আপনার কাছে উপরমহলের এখানে আন্দোলনে বসতে না দেওয়ার কোনো লিখিত নথি থাকলে সেটা দিন। সেটা থাকলে না হয় আমাদের মেরে তুলে দিন। এমনি আমরা আর উঠছিনা এখান থেকে বৈধ সার্টিফিকেট না নিয়ে।”

 

এবার পুলিস একটু নির্বাক। এতক্ষনে কলকাতার নাগরিক সমাজের এবং ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে অনেকেই আমাদের সংহতিতে ভিড় জমিয়েছেন। তাদের মিলিত প্রতিরোধে পুলিসের গলা অনেকটাই নামলো। কার্যত পিছু হটলো পুলিস। সকলের সহযোগিতায় আমরা বসে পড়লাম এক দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে। ৭০ দিন কাটিয়েছি আমরা কলকাতার রাজপথে নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ে। হ্যাঁ, ৭০ দিন। এই অমানবিক সরকারকে কিছুটা জাগাতে আমাদের ৭০টা দিন রাজপথে রোদ-জল-মশা, রাস্তার ধুলোবালি পোকামাকড়, এবং রাতের অন্ধকারে অজানা নেশাগ্রস্থ মানুষের টিটকিরি-গালাগাল সহ্য করতে হয়েছে। অথচ এই সরকারগুলোকে আমার মতো আপনার মতো সাধারণ মানুষেরাই তৈরি করেছে নিজেদের প্রতিনিধি হিসাবে। আমরা এদের নির্বাচিত করেছি, যাতে এরা আমাদের চাওয়া পাওয়া, অধিকারগুলোকে আমাদের মাঝে সুষম ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, ঠিক সময়ে নাগরিক পরিষেবা পাইয়ে দেয়।

 

কিন্তু বাস্তবে কি সত্যিই আমাদের উদ্দেশ্যে সফল হতে পেরেছি? GKCIETর ছাত্রছাত্রীদের এই ৭০ দিনের কলকাতার রাস্তায় অবস্থান, এবং বর্তমানের SSC আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে রাস্তায় শুয়ে বসে ২৭ দিন ধরে চলতে থাকা আন্দোলন কি এখনও আমাদের চোখ খুলে দিতে সক্ষম হয়নি? দাবি আদায়ের এই লড়াইয়ে একটি মায়ের পেটের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই হারিয়ে যাওয়াও কি আমাদের জানান দিতে পারেনি যে সরকারগুলো প্রতিনিয়তই নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখছে? প্রতারিত করেই চলেছে আমাদের প্রতিক্ষণ, প্রতিদিন, অথচ আমরা তারপরেও নিজেদের সঠিক দাবিগুলি সম্পর্কে নিজেরাই উদাসীন – উদাসীন সরকারগুলোকে নিজেদের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করাতে। যে দায়বদ্ধতা দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য সুনিশ্চিত করতে আমাদের দেশের বীর সন্তানসন্ততিরা নিজেদের রক্ত বইয়ে দিতেও পিছপা হয়নি, যে রক্তের বদলেই এসেছিল আমাদের দেশের স্বাধীনতা, যে স্বাধীনতার সময় বলা হয়েছিল প্রতিটা মানুষের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মংস্থান সুনিশ্চিত করার কথা। রেখেছে কি সেই কথা? পেরেছে কি পূরণ করতে এর মধ্যে একটাও দাবি? স্বাধীনতার পর এতটা বছর কেটে গেলেও একটা সরকারও সেই কথা পূরণ করা তো দূর, পূরণ করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি। বরং তার উল্টোটাই হয়ে চলছে আমাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত। যা সরকারগুলো সম্পর্কে আমাদের মূল ধারণাটাই বদলে ফেলছে দ্রুত। সরকার যে আমাদের সুবিধা এবং পরিষেবা সুনিশ্চিত করতেই তৈরি, তা আজ আমরা প্রায় ভুলে যাওয়ার পথে। বরং সরকার মানেই বিভিন্ন আইনি জটিলতা, সরকারে থাকা ব্যক্তির জন্য নিজের আখের গোছান অত্যন্ত সহজ, কিন্তু জনসাধারণ মানেই বিভিন্ন লাল সুতার ফাঁসে পড়ে হাঁপিয়ে ওঠা – এই আমাদের কাছে এখন সরকারের মানে। কার্যত সরকার হয়ে দাঁড়িয়েছে জনসাধারণের আরও আরও অসুবিধা সৃষ্টি করার, আরও শোষণের, প্রতারণার যন্ত্র – কিন্তু তারপরেও আমরা আওয়াজ তুলতে ভুলে যাই। অন্তত আমারটা আমি নিজের মতো করে কিছুটা পেয়ে যাচ্ছি বলে এই প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি শোষণযন্ত্রগুলো চলেই যাচ্ছে শতকের পর শতক ধরে।

 

ছবি : অনিমেষ

 

আমাদের এই অল্পতে খুশি থাকা আধা রুটি খেয়ে পেট ভরানো স্বভাবের প্রতিফলন। অথচ পুরোটাই আমার ছিল অথবা হতে পারতো। চিরাচরিত চলতে থাকা একটি যান্ত্রিক পদ্ধতিকে বদলানোর কথা না ভেবে তাই প্রতিবারই আমরা ভোটের লাইনে দাঁড়াই খারাপ থেকে অল্প খারাপে ফিরে আসার ক্ষুদ্র ভীরু আশায়। কখনও “আচ্ছে দিন” আসার মিথ্যা আশ্বাসে, কখনও ১৫ লাখ টাকার আশায়, কখনও বেকারত্বের এই দেশে বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থান-এর গল্প শুনে, তো কখনও “বিশ্ববাংলা” কিংবা চোখে দেখতে না পাওয়া “উন্নয়ন” নামক অতীব সূক্ষ্ম কোনো বস্তুর খোঁজে আমরা “জনপ্রতিনিধি” নির্বাচনের নামে এই প্রতারক সরকারগুলোকে আরো ৫ বছর আমাদের প্রতারিত করতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াই। তারপরেও আমরা ভুলেই যাই, অথবা ভুলে থাকার নামে কিছুটা ভালো থাকার চেষ্টায় ভুলে যেতে চাই যে আমরাও প্রতারিত। GKCIET এর বৈধ সার্টিফিকেট ও উচ্চশিক্ষার দাবিতে গলা ফাটানো ছাত্রছাত্রীর থেকেও বেশি প্রতারিত, SSC শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত ওই বেকার যুবক যুবতীটির থেকেও হয়ত বেশিই প্রতারিত। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও যে দেশে খিদের জ্বালায় মানুষকে মরতে হয়, যেখানে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ, যেখানে আজও রাস্তার ধারে নগ্ন ভুখা মানুষকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়, সেখানে কি একটাও প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছে “স্বরাজ” পরবর্তী আমাদের নিজস্ব সরকারগুলি? পেরেছে কি আনতে “আচ্ছে দিন” নামের কোনো একটা সুখে থাকার জাদুকাঠিকে মানুষের সামনে এনে দিতে? এসেছে কি ১৫ লাখ টাকা কিংবা বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থান? এখনও দেখতে পাওয়া যায়নি অণুবীক্ষণ যন্ত্রে “উন্নয়ন” নামক সেই অতীব সূক্ষ্ম বস্তুকে। তাহলে কি আমরা প্রত্যেকেই প্রতারিত নই? প্রত্যেকেই কি বঞ্চিত নই? বরং GKCIET, SSC-র ছাত্রছাত্রীদের থেকে বেশিই, অনেকটাই বেশি। GKCIET-র ছাত্রছাত্রীরা সরকারি কলেজে বৈধ সার্টিফিকেট ও উচ্চশিক্ষার সুযোগের কথা শুনে ভর্তি হয়েছিল, অথচ সরকার দ্বারা বেতনভুক শিক্ষকদের থেকে পড়াশুনা করেও ৬ বছর পর পায়নি প্রাপ্য বৈধ সার্টিফিকেট। ৬ বছরের কোর্স করাবে বলে ভর্তি নিয়েও বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের ৪ বছর পড়িয়ে হাত তুলে নেওয়া সেই সরকারি কলেজটিই GKCIET। SSC তে বেশি নম্বর পেয়ে প্যানেলভুক্ত হওয়া সত্বেও নিয়োগের সুযোগ পায়নি বহু ছাত্রছাত্রী, অথচ তাদের থেকে কম নম্বর পাওয়া প্যানেল লিস্টে কার্যত শেষের দিকে থাকা যুবকযুবতীটিও অদৃশ্য কোনো এক জাদুবলে পেয়ে গিয়েছে নিয়োগ। বেকারত্বের এই দেশে অনৈতিকভাবে পেয়েছে একটি সরকারি চাকরি, এবং আন্দোলনকারী এই বেকার যুবকদের প্রতারিত করে আশ্চর্যজনক ভাবে নিয়োগ না করেই হু হু করে কমে গিয়েছে ভ্যাকান্সি টেবল। তবুও এদেশের বিশাল সংখ্যক সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের প্রতারিত হওয়ার বহর হয়তো এসবগুলির থেকেও অনেক বেশি।

 

আমরা সকলেই আজ প্রতারিত। সরকারিভাবে প্রতারিত, সরকার দ্বারা প্রতারিত। কিন্তু তারপরেও GKCIET কে ৭০ দিন ধরে রাস্তায় এই সরকারের প্রতারণার বিরুদ্ধে রোদ জলে শুতে হয় সরকারকে কিছুটা জাগানোর চেষ্টায়। SSC-র চাকরিপ্রার্থীদের ২৭ দিন রাস্তায় কাটানোর পরেও সরকারের কিচ্ছুটি এসে যাচ্ছে না। মরতে হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীর সন্তানকে, ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই। তারপরেও মানুষের সুবিধার জন্য তৈরি সরকারের কোনো সক্রিয়তা নেই, বরং অতিসক্রিয়তা আছে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের তুলে দেওয়াতে। তাই এরা কখনো GKCIET ক্যাম্পাসে পুলিস হয়ে লাঠিচার্জ করায়, আবার কখনো SSC-র চাকরি প্রার্থীদের তুলে দিতে পুলিস পাঠিয়ে হেনস্থা করে। এই তীব্র রোদবর্ষার দেশে নিজেদের অধিকারের দাবিতে রাস্তায় শুয়ে থাকা লোকগুলোর সামান্য রোদজল থেকে বাঁচার ত্রিপলটুকুও খুলিয়ে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ সরকারি উদ্যোগে। তারপরেও আমরা নির্বিকার, অজানা কোনো অদৃশ্য নিজেকে ভালো রাখার মিথ্যা অভিনয়ে।

 

আর তারপরেই আরো একবার দাঁড়াবো কদিন পরেই, ভোটের লাইনে। নির্বাচিত করবো আমাদের জনপ্রতিনিধি। যাদের আমাদের দাবিদাওয়াগুলি সরকার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা, উল্টে তারাই এখন নিজেদের তৈরি কিছু কথা আমাদের দাবিদাওয়া বলে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে, কিংবা জাতিধর্মের মসলা ছিটিয়ে আমাদের খেপিয়ে তুলে ভোট কিনবে। আর এভাবেই আমরা আরো একবার রাস্তায় ঠেলে দেব GKCIET-র ছাত্রছাত্রীদের, বা SSC-র চাকরিপ্রার্থীদের। সরকারকে সুযোগ করে দেব ২৭ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সমস্যার সমাধান এড়িয়ে যাওয়ার, সুযোগ করে দেবো এই রোদবৃষ্টিতে ত্রিপল খুলে নেওয়ার..

 

ছবি : গ্রাউন্ডজিরো

 

ফিচার ছবি: অনিমেষ

Share this
Recent Comments
1
  • comments
    By: santoshbanerjee on March 28, 2019

    Not physically, but mentally supporting your fight against injustice. This is the character of all ruling parties in our land, be it left,right,leftist right or rightist left. The repression and torture is same since 15th august 1947.Let there be a clarion call for changing this system totally.Otherwise , these monsters of our country will not be trammed.

Leave a Comment