১৯৮৭’র ২২ মে পিএসি’র ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা মিরাটের হাশিমপুরার ৩৮ জনকে গুলি করে খুন করে। ৩১ বছর লাগল বিচার পেতে। উত্তরপ্রদেশের প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্টাব্যুলারি (পিএসি)’র ১৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৬ জন জওয়ানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।এই হত্যাকাণ্ডকে ফিরে দেখা জরুরি। কেননা, স্রেফ হাশিমপুরার ঘটনাপ্রবাহের তথ্য-ই জানিয়ে দেবে মোদীর ভারত একদিনে নির্মাণ হয়নি। বিগত চার বছরেও নয়। তার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সে ইতিহাস গুজরাত গণহত্যার চেয়ে প্রাচীন। ভাগলপুর গণহত্যার প্রায় সমসাময়িক। লিখছেন দেবাশিস আইচ।
“We are conscious that for the families of those killed, this is perhaps too little, too late. They have had to wait for 31 years for justice.(…) This case (Hashimpura) points to systematic failure that results, not infrequently, in a miscarriage of justice.” – Delhi Highcourt.
৩১ বছর লাগল বিচার পেতে। উত্তরপ্রদেশের প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্টাব্যুলারি (পিএসি)’র ১৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৬ জন জওয়ানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। (তিন জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে।) অপহরণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুনের অপরাধে অপরাধী তারা। একই সঙ্গে অপরাধী খুনের পর যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে। ১৯৮৭’র ২২ মে পিএসি’র ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের এই জওয়ানরা মিরাটের হাশিমপুরার ৩৮ জনকে গুলি করে খুন করে। তার পর ভাসিয়ে দেয় খালের জলে। ১১জনকে শনাক্ত করতে পেরেছিলেন তাঁদের আত্মীয়রা। খুন করেছিল স্রেফ মুসলমান বলে। একটা ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে হবে বলে। এই রায় গভীর তাৎপর্যময়। ঠিক এই সময়। কেননা এ দেশের দলিত, মুসলমান, আদিবাসী শ্রমজীবী মানুষই জানে এমনই কত গণহত্যার কোনও প্রকৃত বিচার হয়নি। বিচারের দরজাতেই পৌঁছাতে পারেননি সিংহভাগ। যাঁরা পৌঁছাতে চেয়েছেন, তাঁদের সামনে দুর্লঙ্ঘ প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের তাবৎ স্তম্ভ। হাশিমপুরা পেরেছে। হাশিমপুরার শ্রমিক, দিনমজুররা পেরেছেন। উত্তরপ্রদেশের সেশন কোর্ট, মিরাটের হাশিমপুরা থেকে রাজধানী দিল্লির তিসহাজারির ট্রায়াল কোর্ট, সেই নিম্ন আদালত থেকে দিল্লি হাইকোর্ট। ৩১ বছরের লড়াইয়ের পর জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছেন। কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পেরেছেন পিএসি জওয়ানদের। যাবৎজীবন সাজা দিয়েছে হাইকোর্ট। এই হত্যাকাণ্ডকে ফিরে দেখা জরুরি। কেননা, স্রেফ হাশিমপুরার ঘটনাপ্রবাহের তথ্য-ই জানিয়ে দেবে মোদীর ভারত একদিনে নির্মাণ হয়নি। বিগত চার বছরেও নয়। তার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সে ইতিহাস গুজরাত গণহত্যার চেয়ে প্রাচীন। ভাগলপুর গণহত্যার প্রায় সমসাময়িক।
২২ মে ১৯৮৭।
১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট শাহবানু খোরপোষ মামলার রায় দিল। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। তাঁদের মন জয় করতে, সুপ্রিম কোর্টের রায় বদলে দেওয়ার অভিপ্রায়ে রাজীব গান্ধী সরকার মুসলিম মহিলা আইন, ১৯৮৬ প্রণয়ন করল। এবার ঝড় বইল দেশের সর্বত্র। বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ হল হিন্দুত্ববাদীরা। এই সময় বাবরি বিতর্ক বেশ মাথা চাড়া দিয়েছে। মহিলা আইন জারির দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজীব গান্ধী উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বীরবাহাদুর সিং-কে বাবরি মসজিদের দরজা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। ১৯৪৯ সালে রহস্যজনক ভাবে বন্ধ থাকা মসজিদে ‘রামলালা’ মূর্তি হয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। সেই থেকে বছরে একদিন মন্দিরের তালা খুলে পুরোহিত লালাপুজো করতেন। কট্টর সাম্প্রদায়িকদের সঙ্গে এই ভারসাম্য বজায় রাখার খেলা খেলতে গিয়ে — সাম্প্রদায়িক অমঙ্গলের দরজা হাট করে খুলে ফেলেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী। এবার চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মুসলিমরা রাস্তায় নেমে এল। যার ফলশ্রুতি ‘৮৭র মিরাট দাঙ্গা। প্রায় মাসখানেক ধরে চলা এই দাঙ্গায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ-পিএসি মদতপুষ্ট আক্রমণে স্বাভাবিক ভাবেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুসলিমরাই। দাঙ্গা থামাতে ৬০০ কোম্পানি পিএসি এবং তার ৫০ অফিসার, সিআরপিএফ ও সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল। ২২ মে হাশিমপুরায় সেনাবাহিনী মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঢুকে পুরুষ সদস্যদের পিটিয়ে পিটিয়ে বার করে আনে। ছ’শোর বেশি তরুণ, মধ্যবয়স্ক, বৃদ্ধকে তুলে দেওয়া হয় পিএসি ও পুলিশের হাতে। এর মধ্যে ৩২৪ জনকে লকআপে নিয়ে ফের চলে অকথ্য অত্যাচার। ৪২-৪৫ জনকে রেখে বাকিদের হাত-পা, মাথা ভাঙা অবস্থায় চালান করা হয় জেলে। সেখানেও অন্যান্য বন্দিদের হাতে খুন হয় পাঁচজন।
মহিলা আইন জারির দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজীব গান্ধী উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বীরবাহাদুর সিং-কে বাবরি মসজিদের দরজা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। কট্টর সাম্প্রদায়িকদের সঙ্গে এই ভারসাম্য বজায় রাখার খেলা খেলতে গিয়ে — সাম্প্রদায়িক অমঙ্গলের দরজা হাট করে খুলে ফেলেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী।
এবার এই ৪২-৪৫ জনকে তোলা হয় একটি ট্রাকে। তাদেরও মনে হয়েছিল বোধহয় কোনও জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাত নামার পর দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তের মুরাদনগরে গঙ্গা নহরের সামনে গাড়ি থামানো হয়, সেখানে এক এক করে নামিয়ে গুলি করতে থাকে পিএসি জওয়ানরা। এই দৃশ্য দেখে বাকিরা ট্রাকের উপর ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করলে ট্রাকের ভেতর গুলি চালানো হয়। দেহগুলি সেখানেই ফেলে দিয়ে বাকিদের নিয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে যায়। এর পর মকানপুরে হিন্দননালার কালভার্টের কাছে গাড়ি থামিয়ে বাকি ১৫-১৬ জনকে ০.৩০৩ রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ৩৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ১১ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছিল। বেঁচে গিয়েছিলেন পাঁচ জন।
বিভূতিনারায়ণ রাই ও বি বি সিংহ।
মকনপুরের ঘটনাস্থল থেকে খুব কাছেই লিংক রোড থানা। ২২ মে থানার দায়িত্বে ছিলেন এস.আই. বি বি সিংহ। গুলির আওয়াজ পেয়ে তিনি ভেবেছিলেন বোধহয় গ্রামে ডাকাত পড়েছে। এক পুলিশ কর্মীকে বাইকের পিছনে বসিয়ে তিনি লিংক রোড ধরে অকুস্থলের দিকে রওনা দেন। প্রায় ১০০ গজ এগোতে না-এগোতেই একটি ট্রাককে ঊর্ধ্বশ্বাসে এগিয়ে আসতে দেখেন। সেদিন বাইকটি সময়মতো রাস্তার পাশে নামিয়ে না-আনলে ওই ট্রাক তাদের পিষে দিয়েই চলে যেত। হলুদ রঙের ট্রাক, পিছনে লেখা ৪১, ট্রাকে আধা সামরিক বাহিনীর পোশাক পরা কিছু ব্যক্তি। পুলিশ কর্মী হিসেবে বি বি সিংহ বুঝে যান, ট্রাকটি পিএসি’র ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের। থানা থেকে কিছু দূরেই দিল্লি-গাজিয়াবাদ রাস্তার উপরেই ব্যাটেলিয়নের প্রধান কার্যালয়। মকনপুরের দিক থেকে আসা পিএসি’র ট্রাক, দ্রুতগতি, গুলির আওয়াজে রহস্যের গন্ধ পেলেন বি বি সিংহ। গাড়ি রাস্তায় তুলে ফের রওনা দিলেন। কিছুদূর এগোতেই পড়ল সেই খাল। খালের কাছে পৌঁছতে না-পৌঁছতে বাইকের আলো খালের ধারে ঝোপঝাড়ে পড়তেই চমকে উঠলেন বি বি সিংহ এবং তাঁর সঙ্গী। চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তের দাগ, রক্ত গড়াচ্ছে, জমাট বাঁধেনি তখনও। ঝোপেঝাড়ে, খালের জলে পড়ে রয়েছে বেশ কিছু মানুষ। দুই পুলিশ কর্মী অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও উত্তর পেলেন না।
তবে, গুলির আওয়াজ, পিএসি’র ট্রাক আর রক্তাক্ত দেহের মধ্যে একটা যে সম্পর্ক রয়েছে, সে কথা বুঝতে অসুবিধা হল না। বাইক ঘুড়িয়ে ছুটলেন পিএসি’র সদর দফতরে। না, তাঁদের সদর দরজা থেকেই ফিরিয়ে দিল সান্ত্রী।
ওইদিন প্রশাসনিক কাজে হাপুড় গিয়েছিলেন গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার বিভূতিনারায়ণ রাই এবং জেলাশাসক নাসিম জাইদি। বাংলোয় ফিরতেই দেখেন গেটের কাছে প্রচণ্ড ভীত এবং ফ্যাকাসে মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বি বি সিংহ। এর পর আতঙ্কিত সাব ইনস্পেক্টরের কাছ থেকে অসংলগ্ন যেটুকু জানতে পারলেন, তা এককথায় ভয়াবহ। তিনি বুঝতে পারলেন প্রায় একমাস ধরে চলা মিরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আঁচ তাঁর জেলা গাজিয়াবাদেও এসে পৌঁছাল।
৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে সাত-আট জন অফিসার এবং পুলিশ কর্মীকে নিয়ে এস.পি. রাই ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন। গাড়ির হেডলাইটের আলো দিয়ে ১০০ গজ এলাকা আলোকিত করা হল। যা দেখলেন সেই দু:স্বপ্ন তাঁকে আজও তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। বহু ডাকাডাকি এবং গাড়ি আর টর্চের আলোয় খোঁজাখুঁজি করেও কোনও সাড়া শব্দ মেলেনি। দেহগুলি উদ্ধার করার দায়িত্ব কয়েকজনের হাতে দিয়ে জেলাশাসককে নিয়ে তিনি যখন থানার দিকে এগোচ্ছেন, ঠিক তখনই অন্ধকার থেকে কাশির আওয়াজ ভেসে এল। ফের আলো জ্বালিয়ে খোঁজাখুঁজি করতেই দেখা গেল একজন একটি ঝোপ দু’হাতে আঁকড়ে অর্ধেক শরীর জলে ডুবিয়ে আছে। অনেক কষ্টে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। চামড়া ছুঁয়ে দু’টি গুলি চলে যাওয়ায় বেঁচে গেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর নাম বাবুদিন। যাঁর কাছ থেকে জানা যাবে, সেদিনের ঘটনার দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক বৃত্তান্ত। স্বাধীন ভারতে সবচেয়ে বড়ো হেফাজতে হত্যার মর্মান্তিক বয়ান। সেই দিনই লিংক রোড থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এস.পি. রাই। মামলা দায়ের করেন মুরাদনগর সেশন কোর্টে।
চিত্র সাংবাদিক প্রবীণ জৈন।
এই গণহত্যার মামলার সাক্ষীদের বয়ানের জ্বলন্ত চিত্ররূপ ‘সানডে মেইল’-এর চিত্র সাংবাদিক প্রবীণ জৈনের তোলা একগুচ্ছ সাদাকালো ছবি। ২২ মে পুলিশের কথাবার্তা থেকেই তিনি জানতে পারেন হাশিমপুরায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে। প্রবীণ সেখানে গিয়ে দেখেন, আর্মি জওয়ানরা মহল্লার ঘরে ঘরে ঢুকে মুসলিম যুবকদের পিটিয়ে পিটিয়ে বার করে আনছে এবং পিএসি’র হাতে তুলে দিচ্ছে। পিএসি বন্দুক উঁচিয়ে তাদের হাঁটিয়ে নিয়ে চলেছে কিংবা বাজারে বসিয়ে রেখেছে, ট্রাকে তুলছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে তোলা এই ছবি শেষ পর্যন্ত এই মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজ করেছে।
তবু, ৩১ বছর।
এই মামলা বার বার নানা ভাবে বাধা পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশের তাবড় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা আদালতে তথ্য-প্রমাণ জমা দিতে অস্বীকার করেছে। প্রথমে তো ব্যবহৃত ট্রাকটিকে চিহ্নিত ও আটক করতে দেওয়া হয়নি। তদন্তকারীদের হাতে বা আদালতে তুলে দেওয়া হয়নি ওইদিনের পিএসি’র ট্রাক ব্যবহারের জেনারেল ডায়েরির নথি। মামলার প্রায় শেষাবধি তা জমা পড়েনি। ট্রাকটি ধুয়েমুছে এমন ভাবে মেরামত করা হয়েছিল যে, রক্ত, গুলির দাগ কোনওকিছুই যেন ফরেনসিক পরীক্ষায় ধরা না পড়ে।
শুধু তাই নয়, গাজিয়াবাদের সেশন জজ ২৩ বার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার জন্য ওয়ারেন্ট জারি করেন। এবং বার বার তাঁকে জানানো হয় অভিযুক্তরা পলাতক। কিন্তু, এরা বহালতবিয়তেই চাকরি করে যাচ্ছিল। এর আগে উত্তরপ্রদেশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেটিং ডিপার্টমেন্ট সাত বছর ধরে তদন্ত করে ১৯৯৪ সালে রিপোর্ট দেয়। ১৯৯৬ সালে পিএসি’র ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলেও অভিযুক্ত আরও ৬৪ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়নি। চার্জশিট দেওয়ার পরও, জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও, ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল অবধি একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি।
উত্তরপ্রদেশে ১৯ বছর মামলা চলার পর প্রয়াত মানবাধিকার কর্মী ইকবাল আনসারি, মৃতদের আত্মীয় এবং সাক্ষীরা মামলা উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে আসার আবেদন জানায়। মামলা শুরু হয় দিল্লির তিসহাজারির ট্রায়াল কোর্টে। ২০১৫ সালের ২১ মার্চ তিসহাজারি আদালত ‘প্রমাণের অভাবে’ অভিযুক্তদের মুক্তি দেয়। মামলা যায় হাইকোর্টে। ৩১ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধর ও বিচারপতি বিনোদ গোয়েল ১৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাদের ২২ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
লেখক স্বতন্ত্র সাংবাদিক ও সামাজিক কর্মী। ছবি: প্রবীণ জৈন।