পরিবেশবিদদের আশঙ্কা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে। রাজদণ্ড ও বণিকের মানদণ্ডের যৌথ আঁতাতের ফল কেরালার এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। লিখছেন অমিতাভ আইচ।
ভারতের পশ্চিমতট রেখা বরাবর রয়েছে এক আশ্চর্য পর্বতমালা, উপত্যকা আর কুয়াশা ঢাকা গভীর অরণ্যময়। কৃষিজমি, নদ-নদীময় এক প্রাকৃতিক ভূভাগ, ভৌগোলিকরা যাকে বলেন সহ্যাদ্রি বা পশ্চিমঘাট।
“প্রাকৃতিক দিক থেকে এ এক সুমহান ঐতিহ্য যা খালি উপমহাদেশের পশ্চিম ভাগকে রক্ষাই করে না, দাক্ষিণাত্যের প্রাণস্বরূপ গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, নেত্রাবতী, কুন্তী, ভাইগাই এবং অসংখ্য ছোট বড়ো নদী ও জলধারার উৎসস্থল, ও এককথায় সমগ্র দাক্ষিণাত্যের জলের আধার আর বিপুল নিজস্ব উদ্ভিদ, প্রাণী ও প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে আন্তর্জাতিক ভাবে পৃথিবীর একটি সবচেয়ে গুরুত্ববহনকারী জৈববৈচিত্র্যর আাধার বা বায়োডাইভারসিটি হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত। আর একারণেই তো ভারতের ইউনেস্কোর একাধিক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটও তো এখানেই। আরও যদি কাব্যিক ভাবে ভাবি, তবে যেতে হবে মহাকবি কালীদাসের কাছে। যিনি লিখেছেন, সহ্যাদ্রি এক পরমাসুন্দরী রমণী, অগস্থামালাই তাঁর মুখমণ্ডল, মহিমাময়ী আন্নামালাই আর নীলগিরি তাঁর দুই বক্ষযুগল, কটিদেশ কানাড়া ও গোয়া আর পদযুগল হল উত্তর সহ্যাদ্রি। সেই মোহমহীর ঘন সবুজ বসন আজ মলিন ও শতচ্ছিন্ন। ধনী ব্যবসায়ীদের লোভ আর ভোগের বাসনা তাকে করেছে লাঞ্ছিত ও অসুন্দর আর গরিব মানুষের নিত্য বেঁচে থাকার লড়াইয়ের আঁচড়ে তাঁর দেহময় ক্ষতচিহ্ন।”
হ্যাঁ, অনেকটা এমনভাবেই সহ্যাদ্রিকে তাঁর রিপোর্ট-এর মুখবন্ধে বর্ণনা করেছেন প্রফেসর গ্যাডগিল। সেই রিপোর্ট, যা অধুনা বহু আলোচিত অথচ প্রকৃত অর্থেই সরকারি দপ্তরের গড্ডালিকা প্রবাহ আর অর্থশক্তির কাছে বিকিয়ে যাওয়া সস্তা, নিচু রুচির রাজনীতির অলিগলিতে হারিয়ে যাওয়া এক অসামান্য বৈজ্ঞানিক দলিল, যা কিনা ‘রিপোর্ট অব দ্য ওয়েস্টার্ন ঘাটস ইকোলজি এক্সপার্ট প্যানেল’ বা সংক্ষেপে ডব্লুজিইইপি (WGEEP) বলে খ্যাত (অথবা কুখ্যাত)।
গ্যাডগিল কমিটি
২০১০ সালের ৪ মার্চ তদানীন্তন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক পশ্চিমঘাট পর্বতমালা ও ওই অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক গুরুত্ব অনুধাবন করে, বহু জটিল, বহুমাত্রিক ও একাধিক রাজ্যের মধ্যে বিস্তৃত ভারতের এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক অঞ্চলের রক্ষণাবেক্ষণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব এসব পর্যালোচনা করার জন্যে একটি অতি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। এই কমিটির চেয়ারম্যান ব্যাঙ্গালুরুর ভুবনখ্যাত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স-এর সেন্টার ফর ইকোলজিকাল সায়েন্সেস বিভাগের স্বনামধন্য ভূতপূর্ব প্রধান, প্রফেসর মাধব গ্যাডগিল। আর সে কারণেই এই কমিটিকে গ্যাডগিল কমিটিও বলা হয়ে থাকে। পশ্চিমঘাট বাস্তুতন্ত্র নিয়ে সারাটা জীবন কাজ করে যাওয়া আরও বহু বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা ছিলেন সেই দলে। ছিলেন, অধ্যাপক রমান সুকুমার, অধ্যাপক ভি এস বিজয়ন, যিনি সালিম আলির ছাত্র ও সালিম আলি ইনস্টিটিউট-এর ডাইরেক্টর, ছিলেন প্রফেসর রেনি বর্জেস ও আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও কেন্দ্রীয় ও কেরালা সরকারের বায়োডাইভারসিটি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও বন পরিবেশ দপ্তরের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
এসবের উদ্দেশ্য ছিল একটাই ভারতের পরিবেশ রক্ষা আইন বা Environmental Protection Act, 1986, মোতাবেক ও সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিগত রিপোর্টগুলি পর্যালোচনার মাধ্যমে পশ্চিমঘাটে একাধিক সংবেদনশীল বাস্তুতান্তিক এলাকা নির্ধারণ করা আর এর সবই হবে এলাকার সাধারণ মানুষ, গ্রামসভা সবার সাথে আলোচনা করে, দীর্ঘায়িত প্রক্রিয়া এবং সুদুরপ্রসারী পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে।
পরবর্তী কালে কমিটিকে গুন্ডিয়া ও আথিরাপিল্লি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও গোয়া অঞ্চলে নতুন করে কোনও খনিজ খনন প্রক্রিয়া বন্ধ করার ব্যাপারটাও পর্যালোচনা করতে বলা হয়।
এক যুগান্তকারী নতুন আলোর দিশা
২০১১ সালের ৩১ অগাস্ট, গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এটি একটি দীর্ঘ এবং যুগান্তকারী দলিল যা কখনই এই স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু তার মূল প্রতিপাদ্যগুলিতে আমরা নজর রাখব। গ্যাডগিল কমিটি পশ্চিমঘাটের সমস্ত রাজ্যগুলিকে বাস্তুতান্ত্রিক সংবেদনশীলতার দিক থেকে যথাক্রমে বেশি থেকে কম এই ভাবে এক, দুই ও তিন, যথা ESZ1, ESZ2, ESZ3 এই তিন ভাগে ভাগ করার কথা বলে ( ESZ- Ecological Sensitive Zone) আর এগুলির মাথার উপর একটি নতুন ও কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থার প্রবর্তন করার প্রস্তাব দেয়। যার নাম হবে Western Ghat Ecological Authority বা সংক্ষেপে WGEA। তবে সংরক্ষিত অরণ্য যেমন জাতীয় উদ্যান, অভয়ারন্য ইত্যাদিগুলি এসবের বাইরে যেমন ছিল থাকবে। সমস্ত পশ্চিমঘাটের পরিবেশ, প্রকৃতি, ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস, অর্থনীতি, সামাজিক গঠন, কৃষিকাজ, জৈব বৈচিত্র্য এসব দিক পর্যালোচনা করে এবং তৃণমূলস্তরের অসংখ্য আলোচনা সভা এবং সমস্ত প্রতিনিধি সভার সাথে কথা বলে, বহু নিজস্ব ফিল্ডভিজিটের মাধ্যমে গ্যাডগিল রিপোর্ট এই কাজের জন্য সামগ্রিক সামাজিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কাজ করার কথা বলে। এক কথায় সারা ভারতে সরকারি কাজে যেভাবে প্রিন্সিপাল অব এক্সক্লুশনের বা সাধারণ মানুষকে বাইরে রেখে ঔপনিবেশিককালের পদ্ধতির মাধ্যমে সব পরিকল্পনা রচনা করার কথা বলা হয় এই রিপোর্ট তার বিপরীত। গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্টে এনভায়রনমেন্টাল গভর্নেন্স-এর কথা বলা হয়েছে, বলা হয়েছে ফরেস্ট রাইট অ্যাক্ট-এর অন্তর্গত কমিউনিটি ফরেস্ট রিসোর্সের কথা, এছাড়াও বলা হয়েছে এ কাজে গ্রামসভাগুলির ব্যপক অংশগ্রহণ, জৈব বৈচিত্র্য ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও গ্রাম পরিবেশ রক্ষা বাহিনী বানানোর কথা। আছে মাইনিং প্রকল্পের সোশাল অডিট-এর কথাও।
কোনও কোনও অঞ্চলে বছরে ৫০০০ মিমি বৃষ্টি হওয়া, দেশের বহু বিপন্ন ও এন্ডেমিক (শুধুমাত্র ওইখানেই পাওয়া যায়) প্রজাতির আধার সহ্যাদ্রির (গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্ট অনুসারে সহ্যাদ্রির ৫৩% চিরসবুজ বৃক্ষ, ৭৬% ফড়িং, ৪০% প্রজাপতি, ৪১% মাছ ও ৭৮% ব্যাঙ খালি সেখানেই পাওয়া যায়, অর্থাৎ এন্ডেমিক, আর এটা তার সব ধরনের জৈববৈচিত্র্য, অর্থাৎ অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ, চাষের ফসল, গবাদি পশু, ফল, পানীয় এসব বিপুল সমাহারের একটি অংশমাত্র যা এককথায় এক বিপুল রত্নভাণ্ডার) পরিবেশকে রক্ষা করার জন্যে গ্যাডগিল কমিটি যে নির্দেশিকা দান করেছে তা এক কথায় পথপ্রদর্শক। এক থেকে তিন এই প্রতিটি ইকো সেনসিটিভ জোনে কীভাবে, কোন প্রকারে জল, নিকাশি, কৃষিকাজ, পশুপালন, ফরেস্ট্রি, মাছচাষ, জৈব বৈচিত্র্যর ব্যবহার, মাইনিং, পাথর খাদান ও বালি খাদান; লাল ও কমলা তালিকাভুক্ত শিল্প যেমন কয়লা চালিত বিদ্যুৎ, সবুজ ও নীল তালিকার অর্থাৎ কম দূষণকারী শিল্প, শক্তি, পরিবহন, পর্যটন, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও তার অধিকার – এসব কেমন ভাবে কোন জোনে হবে ও আদৌ হবে কিনা এবং কীভাবে হবে তার দিকনির্দেশ আছে এ রিপোর্টে।
কিন্তু গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল, বিশেষ করে ESZ1 ও ESZ2 অঞ্চলে বড়ো বাঁধ, জল বিদ্যুৎপ্রকল্প, সবধরনের মাইনিং, পর্যটনের জন্য তৈরি রিসর্ট, হাইরাইজ ও পরিবহনের উপর প্রতিবন্ধকতা লাগাতে বলে। ফলে কেরালা থেকে গোয়া পর্যন্ত এক বিশাল আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে শক্তিশালী কায়েমি শ্রেণির সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের মঞ্চ গ্যাডগিল কমিটি নিজেই তৈরি করে। বন্ধ করতে বলা হয় আথিরাপিল্লি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
পশ্চিমঘাটের প্রাকৃতিক সম্পদকে সেখানকার কায়েমি ও ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর খপ্পর থেকে বার করে কৃষক ও গ্রামিক সভার অধিকারের আওতায় নিয়ে এসে তা রক্ষা করার প্রতিস্পর্ধার সিঞ্চন রয়েছে এই যুগান্তকারী দলিলের পাতায় পাতায়। ফল যা হওয়ার তাই হল।
গ্যাডগিল মুর্দাবাদ
গ্যাডগিল রিপোর্ট দিনের আলো দেখার সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কেরলে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস ও সিপিএম যৌথভাবে একে জনগণবিরোধী আখ্যা দিয়ে নানা জায়গায় বন্ধ ডাকে, প্রফেসর গ্যাডগিলের কুশপুতুল পোড়ানো হয়, চারিদিকে রটিয়ে দেওয়া হয় যে, এই রিপোর্টের নির্দেশ কার্যকরী হলে কেরালা ও এই অঞ্চলের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এমন হুমকিও দেওয়া হয় যে যারা এসব করতে এখানে আসবেন তাদের লাঠিপেটা করে তাড়ানো হবে। কেরালা বিধানসভায় সব রাজনৈতিক দলের যৌথ সভা করা হয় আর সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন যায় এই রিপোর্ট নাকচ করার জন্য। চাপে পড়ে কেন্দ্রে ক্ষমতাশীল ইউপিএ সরকার রিপোর্ট নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটে। সবচেয়ে মজার, যে সাইরো মালাবার ক্যাথেলিক চার্চ ও বামপন্থীরা গরিব ও চাষিদের স্বার্থে কাজ করে তারা গ্যাডগিল কমিটি রিপোর্ট-এর সবচেয়ে বড় বিরোধী হিসাবে সামনে আসে। এর পিছনেও কায়েমি স্বার্থের হাতই দেখছেন গ্যাডগিল কমিটি রিপোর্টের অন্যতম প্রধান লেখক, সালিম আলি ইনস্টিটিউট অব অর্নিথোলজির ডিরেক্টর ও সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সদস্য ড: ভিএস বিজয়ন। তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ ও গ্রামসভার হাতে ক্ষমতা দানের মাধ্যমে, পরিবেশ বান্ধব কৃষি ও প্রকৃতি অনুসরণ করে যে পরিকল্পনা করা হল, তাকে মানুষ ও জীবন-জীবিকার বিরোধী এ কথা বলে যারা লোক খেপাচ্ছে তারা আসলে মাইনিং, অবৈধ খাদান, বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের লবি। এরা শুধু পশ্চিমঘাটকেই শেষ করবে না, যে কৃষকদের আজ খেপাচ্ছে তাদেরকেও। তিনি এর প্রমাণও দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের কাছে চরম ভর্ৎসনার পর কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্ট পাবলিশ করে দেওয়া হলে (রিপোর্ট কোনও স্থানীয় ভাষায় তর্জমা করা হয়নি ফলে মানুষ যা শুনেছে সব লোক মুখে) যে প্রতিবাদ পত্র আসে তার অধিকাংশই লিখেছিল মাইনিং লবির লোকেরা। আর এখান থেকেই বোঝা যায় আসল ঘটনাটা কী।
শেষ পর্যন্ত প্রায় বাতিলের খাতায় চলে যায় গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্ট। মহাকাশ বিজ্ঞানী কস্তুরিরঙ্গনকে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আরও একটি রিপোর্ট বানায়, যা গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্ট কে অনেক লঘু করে দেখিয়ে পশ্চিমঘাটের সংরক্ষণের কথা বলে। তবে তার কাজও তেমন এগোয় না। বিস্মৃতির পথে হাঁটা দেওয়া গ্যাডগিল কমিটির রিপোর্টে পশ্চিমঘাটের জলাধার নদী ও বনধ্বংসের ফলে ভূমিক্ষয়ে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল আর তার থেকে বাঁচবার উপায়ও। মানুষের লোভ ও কায়েমি স্বার্থ ও অশিক্ষা সে পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজ যে মহা প্রলয়সৃষ্টিকারী বর্ষণ ও বন্যা কেরালাকে প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড় করিয়ে শত শত নরনারী, বৃদ্ধ, শিশুর জীবন শেষ করে দিল তার দায় কার? অবশ্যই, সেই সব রাজনৈতিক নেতারা আর চার্চের ধর্মপ্রাণ ফাদাররা, যাঁরা সে সময় এর বিরোধিতা করেছেন আর যাঁরা এখন কোটি কোটি টাকার ত্রাণ তহবিল সামলাতে ব্যস্ত। তাঁরা অবশ্য এর দায়ভার নেননি। নেবেনও না কোনওদিন।
প্রলয় শেষ হবার পর
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রফেসর মাধব গ্যাডগিল কেরালার অগাস্ট ২০১৮ জুড়ে ঘটে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মনুষ্যকৃত বলেছেন এবং এর জন্য সরকারের ভুল পরিবেশ নীতি, বেআইনি খনন ও নির্মাণ কাজকে দায়ী করেছেন। ঘটনা হল বন্যা ও ভূমি ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত সবচেয়ে বেশি ESZ1 ও ESZ2, যার সংরক্ষণের উপর ও বিধিনিষেধের উপর এত জোর দেওয়া হয়েছিল WGEEP রিপোর্টে। প্রফেসর গ্যাডগিল বলেছেন এরকম ফল গোয়াকেও ভুগতে হবে। এবং WGEEEP রিপোর্ট অস্বীকার করার ফল আমরা সবাই হাতেনাতে পাব। তিনি সরকারগুলিকে এখনও সাবধান হয়ে পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সৌজন্য:
১) The Kasturirangan Report is a disaster for the Western Ghats
২) Kerala priests and politicians unite to oppose Gadgil report on Western Ghats
৩) Western Ghats Ecology Expert Panel – Ministry of Environment and Forests
৪) Kerala floods is man-made calamity: Madhav Gadgil – Kerala Floods News
“Tragedy of errors”. Nobody in India cares for protection of environment. One of the main reasons may be proverty, but that could be solved in other ways. Our government should get a lesson and give importance to the report. In West Bengal also environment experts are worried about the Sundarban Zone.