৯০-র দশকে বাজারের উন্মুক্তিকরণ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে গৃহশ্রমিক ও গৃহস্থের সম্পর্ক বদলাতে বদলাতে গেছে, সামন্ততান্ত্রিক ‘দয়া-দাক্ষিণ্যে’র সম্পর্ক শেষ পর্যায়ে নিয়ম-নীতিহীন পেশাদারি সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। এর মোকাবিলা করতে, বহু বছর ধরেই লোকচক্ষুর প্রায় আড়ালে ঘটে চলেছিল গৃহ-শ্রমিকদের নানা অধিকারের দাবিতে সংগঠিত করার প্রচেষ্টা। হালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এই নিয়ে প্রস্তাবনা দাখিল করার ডাক দেওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে নানা বিতর্ক। ঠিক কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে গৃহ-শ্রমিকদের এই আন্দোলন? লিখছেন তৃষ্ণিকা ভৌমিক।
বাংলা ব্যান্ড ভূমির ‘তোমার দেখা নাই’ গানটা খুব জনপ্রিয় হবার পর মজা করে অনেক মধ্যবিত্ত গৃহস্থকে বলতে শুনেছি গানটা আসলে বাড়ির ঠিকে কাজের লোককে নিয়ে লেখা। কারণটা, শুনতে খুবই সঙ্গত। পরিচারিকার কাজের সাথে যুক্ত ‘মনুষ্যতর জীবে’রা না বলে কয়ে যখন তখন ডুব মারে, কোনদিনই সময়ে কাজ করতে আসে না। মুখ চেয়ে বসে থাকতে হয়! নিম্নবিত্ত অর্থনৈতিক অবস্থান থেকে উঠে আসা বাড়ির ঠিকে কাজের ঝি এবং মধ্যবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তের সম্পর্কের রসায়নটা বরাবর আমরা একপেশেভাবে কাজের বাড়ির মালিকদের বয়ান হিসাবেই শুনে এসেছি। তবে তাতে অভিযোগ-অনুযোগের পরিমাণ বেশি হলেও মানবিক সম্পর্কের ছোঁয়াও থাকে। কিন্তু তা নিতান্তই ‘দয়া’র প্রেক্ষিতে, ‘ন্যায়ে’র প্রেক্ষিতে নয়। সময়ের সাথে সাথে পরিচারিকাদের সাথে তাদের কাজের বাড়ির দাদা-বউদিদের সম্পর্ক নব্বইয়ের দশকে বাজারের উন্মুক্তিকরণ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলাতে বদলাতে গেছে, সামন্ততান্ত্রিক ‘দয়া-দাক্ষিণ্যে’র সম্পর্ক শেষ পর্যায়ে চূড়ান্ত অমানবিক এবং নিয়ম-নীতিহীন পেশাদারি সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। শোষণের ধরন বদলেছে, মাত্রা বেড়েছে।
২০১০ সালে ইন্টারন্যাশানাল লেবার অর্গানাইজেশন কর্তৃক আয়োজিত পরিচারিকাদের অবস্থা বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন-পরবর্তী সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচারিকাদের ‘শ্রমিক’ হিসাবে মর্যাদা এবং শ্রমিকের অধিকার আদায়ের উদ্যোগ গৃহীত হলেও সম্মেলনের স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসাবে ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয় স্তরে সেরকম কোনো উদ্যোগ দেখা যায় নি। কিছু কিছু রাজ্যে ন্যূনতম মজুরি আইন সহ কিছু অধিকার খাতায় কলমে আদায় করা গেলেও, কিছুদিন আগে পর্যন্তও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যদিও বিগত বেশকিছু বছর ধরেই বেশ কিছু উদ্যোগ বিভিন্ন স্তরে, বিচ্ছিন্নভাবে সংগঠিত হচ্ছিল এই রাজ্যেও, বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠতে ব্যর্থ রয়ে গেছে।
২০১৮ সালের জুন মাসের ১৪/১৫ তারিখের পর থেকে রাতারাতি পরিস্থিতি বদলে যায়। গণ আন্দোলনের কর্মী এবং পশ্চিমবাংলা গৃহ পরিচারিকা কল্যাণ সমিতির অন্যতম সংগঠক মুনমুন বিশ্বাসকে একটি আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম থেকে ফোন করে বলা হয় যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে পরিচারিকাদের জন্য ন্যূনতম মজুরি আইন পাশ হয়ে গেছে। ঘণ্টায় ৫৪ টাকা ন্যূনতম মজুরি হিসাবে আইন পাশ হয়েছে, এই মর্মে ২৪ ঘণ্টা নামক একটি বাংলা সংবাদমাধ্যম খবরও সম্প্রচার করে একাধিকবার। এই খবর পরিচারিকার কাজের সাথে যুক্ত মানুষদের যেমন আশার আলো দেখায়, তেমনি উল্টোদিকে মধ্যবিত্তের ঘুম উড়িয়ে দেয়। পরে পশ্চিমবঙ্গ শ্রম দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় যে খবরটি ভুয়ো। তারা বিভিন্ন পরিচারিকা সংগঠনের কাছ থেকে ন্যূনতম মজুরি আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাব চেয়েছেন, যেগুলো বিশ্লেষণ করার পরই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে এবং আইন তৈরি হবে। একটি নামী সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এ ধরণের অপেশাদারী আচরণ অবশ্যই কাম্য নয়। এই ভুয়ো খবর সম্প্রচার পরিচারিকাদের কাজের সাথে যুক্ত মানুষদের আবেগের সাথে মজা করার সমান। তবে এর ফল স্বরূপ ন্যূনতম মজুরি আইনের পক্ষে-বিপক্ষে একটা আলোচনার পরিসর তৈরি হয়েছে তা মানতেই হবে।
গৃহ-শ্রমিকসহ বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সামাজিক নিরাপত্তা আইন কিম্বা ২০১৭ সালে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা চালু করলেও তা নিয়ে যে ব্যাপকহারে প্রচার এবং গৃহ-পরিচারিকাদের মধ্যে তাদের অধিকার সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির দরকার ছিল সরকারের তরফ থেকে তা ঘটেনি। ২০১৭ সালের সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় যদিও গৃহ-শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা, চিকিৎসা এবং সন্তানদের পড়াশুনো সংক্রান্ত খরচ এবং পেনশনের উল্লেখ রয়েছে গৃহ-পরিচারিকা হিসাবে নাম নিবন্ধীকরনের মাধ্যমে। কিন্তু পরিচয়পত্র তৈরি থেকে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া এতটাই জটিল যে, যে সমস্ত পরিচারিকা বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত তাঁদের কাছে দালাল মারফত টাকার বিনিময়ে এগোনো ছাড়া পথ নেই। কিছু কিছু অরাজনৈতিক সংগঠন গৃহ-শ্রমিকদের সংগঠিত করবার প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই জটিলতা পেরিয়ে তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতায় আনবার চেষ্টা করেছে, এবং করছে। শ্রমের মর্যাদাসহ, শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি এবং শ্রমিকের অধিকার আদায় করতে গেলে ইউনিয়ন তৈরি করার অধিকার একান্তই প্রয়োজনীয়। উল্লেখ্য যে, শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি বলতে শুধুমাত্র ন্যূনতম মজুরি আইন লাগু হওয়া ছাড়াও, গৃহ-শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে পৃথকভাবে গৃহশ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ গঠন, সরকারিভাবে এই পেশার সাথে যুক্ত মানুষদের উপর সংঘটিত অন্যায়, অত্যাচার ও শোষণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গঠনের দাবিও রয়েছে। তাছাড়া আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বাড়ির কাজকে গুরুত্বহীনভাবে দেখা হয় মেয়েদের কাজ বলে, এবং পরিচারিকারা করলে তা আরোই গুরুত্ব হারায়। ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে স্বীকৃতি কিছুটা হলেও হয়তো এইজাতীয় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে।
সেই বিচারে, গত ১৬ই জুন ২০১৮, বিশ্ব গৃহ-পরিচারিকা দিবসের প্রাক্কালে, অ্যাকশন এইড নামক একটি সংস্থার উদ্যোগে গড়ে ওঠা পশ্চিমবঙ্গ গৃহ পরিচারিকা সমিতির ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে সরকারি স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে পরিচারিকদের অধিকার আদায়ের আদায়ের আন্দোলনের পক্ষে একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু শাসকদলের সাহায্যে একটি এনজিও দ্বারা সংগঠিত গৃহশ্রমিক সংগঠনের ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে বিতর্ক থেকেই যায়। প্রথমত এনজিওগুলি যেভাবে বিভিন্ন সময়ে প্রজেক্ট-ভিত্তিক, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনুদান-নির্ভর কাজ করে, তাতে এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদী সংগ্রাম জারি রাখা মুশকিল। অনুদান আসা বন্ধ হয়ে গেলে এর পরিণতি ঠিক কী হবে, তা অনিশ্চিত। দ্বিতীয়ত কোন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাহায্য আপাতভাবে ইতিবাচক হলেও ভবিষ্যতে সাংসদীয় ভোটব্যাঙ্ক নির্ভর রাজনীতিতে শ্রমিক-স্বার্থের বিরোধী হয়ে উঠবে না, এই নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তাছাড়া রাজনৈতিক সংগঠনগুলির দ্বারা গৃহশ্রমিকরা সংগঠিত হলে তা এই পেশায় যুক্ত মানুষদের ক্ষমতায়নের পরিবর্তে রাজনৈতিক সংগঠনগুলির ক্ষমতাবৃদ্ধিতে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভবনা। এতদিন অনান্য সংগঠিত বা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মধ্যে ট্রেড ইউনিয়ন করলেও এই রাজনৈতিক দলগুলি গৃহশ্রমিকদের নিয়ে মাথা ঘামায়নি, কারণ এতে তাদের মধ্যবিত্ত ভোটব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভবনা ছিল। এখন যদি দলগুলি গণ আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয় এই পরিসরে কাজ করতে, সেক্ষেত্রেও তারা নিজস্ব দলীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে। ফলত গৃহ-পরিচারিকদের সংগঠিত হবার বিষয়টি যদি এই পেশায় যুক্ত মানুষদের রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ ব্যতীত তাদের ‘গৃহ-শ্রমিক’ হিসাবে পরিচয়ের জায়গা থেকে কার্যকর হয়, তাহলে অনেকবেশি ফলপ্রসূ হবার সম্ভবনা।
এতদিন এঁদের ‘শ্রমিক’ হিসাবে মর্যাদা দিতে অস্বীকার করে আসা হয়েছে ‘সরাসরি উৎপাদন’ এ যুক্ত নন – এই অজুহাতে। মৌখিক চুক্তি লঙ্ঘন করে বাড়তি কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়া থেকে শুরু করে, বোনাস না দেওয়া, ইচ্ছেমত মাইনে কেটে নেওয়া, অমানবিক আচরণ করতে অভ্যস্থ এ সমাজের এবার টনক নড়েছে বিগত কিছুদিনের ঘটনাগুলিতে, ন্যূনতম মজুরি আইনের ভুয়ো খবর হোক কিম্বা ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতি লাভের খবর দেখে। লেখিকা বাণী বসু কিম্বা নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায় থেকে নিতান্ত মধ্যবিত্ত গৃহবধূ সবাই খুবই চিন্তিত! তাঁদের চিন্তার বিষয় – পরিচারিকাদের ইউনিয়ন কিম্বা তাঁদের জন্য ন্যূনতম মজুরি আইন – এসব লাগু হয়ে গেলে কাজের লোকদের যে ন্যায্য পারিশ্রমিক দিতে হবে! আসলে সামান্য টাকার বিনিময়ে অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম করে কী করে এই পরিচারিকা-শ্রেণীর মানুষদের জীবন চলে, একটা বয়সের পরে কাজ ছেড়ে দিলে কীভাবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকেন তাঁরা, এ কথা সুশিক্ষিত, প্রগতিশীল মধ্যবিত্ত-উচ্চমধ্যবিত্ত সভ্য সমাজের ভাববার প্রয়োজন হয় না। উল্টোদিকে একটা অংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, ট্রেড ইউনিয়ন করবার অধিকার বা ন্যূনতম মজুরি আইন হলে, এবং সেই মজুরি মধ্যবিত্তের ক্ষমতার আওতার বাইরে চলে গেলে তা বুমেরাং হয়ে গৃহশ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমিয়ে দেবে না তো? এ বিষয়ে এটাই বলার এই মুহূর্তে, যে সমস্ত গৃহ-পরিচারিকা সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ শ্রমদপ্তরে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছে এবং শ্রমদপ্তরের তরফ থেকে তাদের কাছ থেকে যে দাবিপত্র চাওয়া হয়েছে, সেই খসড়া প্রস্তাবগুলিতে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে কাজের পরিমাণ অনুসারে অত্যন্ত ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবিই তোলা হচ্ছে। এই পেশায় যুক্ত মানুষেরা বর্তমানে সংসার চালাতে যে অমানুষিক পরিশ্রম করেন(এক-এক জন এমনকি ৮টা থেকে ১০টা বাড়িতেও কাজ করেন কম পারিশ্রমিক পান বলে), সঠিকভাবে ন্যূনতম মজুরি আইন লাগু হলে, ন্যায্য পারিশ্রমিক পেলে, কাজের অমানুষিক পরিশ্রমের হাত থেকে তাঁরা রেহাই পাবেন এবং এই পেশায় যুক্ত বাকিদের জন্য কাজের সুযোগও বাড়বে।
একটি সংগঠনের ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে স্বীকৃতি ইতিবাচক হলেও পরিচারিকাদের ‘শ্রমিক’ হিসাবে মর্যাদা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের এখনো অনেক বাকি। শুধু খাতায় কলমে আদায় করা নয়, প্রতিটি গৃহ-শ্রমের সাথে মানুষ যাতে সমস্ত অধিকার পায়, তা সুনিশ্চিত করবার জন্য এখনো অনেক পথ হাঁটা বাকি। লড়াই-আন্দোলনের এই তো সবে শুরু। এতদিন যে লড়াই অনেকটাই লোকচক্ষুর আড়ালে চলছিল, এবার তা সামনে এসেছে। সবে দুই পক্ষ মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে ভোটব্যাঙ্কই সব। শ্রমিক হিসাবে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এই ভোটব্যাঙ্ক-নির্ভর রাজনীতির সাথেও পাল্লা দিয়ে লড়তে হবে পরিচারিকাদের, সংগঠিত হতে হবে নিজেদের স্বার্থেই, নিজেদের মধ্যেকার ভেদাভেদ ভুলে একদম শ্রেণী-পরিচয়ের নিরিখেই। সময় এসেছে কাজের বাড়ির কর্তা-গিন্নিদেরও নিজেদের বাবুয়ানি মানসিকতা বিসর্জন দেবার।
লেখক লিঙ্গবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।
ছবি – আদিত্য প্রতিম মাইতি