ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস/Médecins Sans Frontières (MSF), যার সদস্যরা গাজায় গিয়েছেন আহতদের চিকিৎসা করতে, প্যালেস্তাইনের অধিকৃত এলাকায় (অকুপায়েড প্যালেস্তাইন টেরিটোরি) তার আঞ্চলিক প্রতিনিধি মেরি-এলিজাবেথ ইংগ্রেস ১৪-ই মে নিম্নলিখিত বিবৃতি দিয়েছেন:
আজ যা ঘটেছে, তা দুঃসহ ও অমানবিক। গাজা হেলথ অথরিটি থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত যে মারাত্মক হিসাব পেশ করা হয়েছে, তা অনুযায়ী ৫৫ জন মৃত, ২২৭১ জন আহত, যার মধ্যে ১৩৫৯ জনের আঘাত লাইভ অ্যামুনিশন-জনিত। এইভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত নিরস্ত্র মানুষের গণহত্যার সাক্ষ্য সহ্যের অতীত।
আমাদের মেডিকাল টীম ১’লা এপ্রিল থেকেই ঘড়ির কাঁটার মতো কাজ করে চলেছে, পুরুষ, নারী ও শিশুদের সার্জিকাল ও পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ার দিয়ে, এবং এটা তারা করে যাবে আজ রাত, কাল, এবং যতদিন এর প্রয়োজন থাকবে, ততদিনই। যে সব হাসপাতালে তারা কাজ করছে, তার একটায় যে টালমাটাল অবস্থা, তা ২০১৪-র যুদ্ধপরবর্তী বোমাবাজির পরের অবস্থার সাথে তুলনীয় — মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক অভাবনীয় সংখ্যক আহত মানুষের ভীড় স্বাস্থ্যকর্মীদের বিহবল করে দিয়েছে। আজকের এই একদিনের মধ্যেই আমাদের টীমকে ৩০টির-ও বেশি সার্জিকাল ইন্টারভেনশন করতে হয়েছে — কোনো কোনো সময় একই অপারেশন টেবিলে ২/৩-জনের অপারেশন করতে হয়েছে, এমনকি হাসপাতালের করিডোরেও অপারেশন করতে হয়েছে।
এই রক্তস্নান গত সাত সপ্তাহ ধরে ইজরায়েলি আর্মির যে নীতি, তারই ধারাবাহিকতাকে সূচিত করে: প্রতিবাদ প্রদর্শনকারী জনতার উপর লাইভ অ্যামুনিশন চালানো হচ্ছে এই ধরে নিয়ে, যে গাজার ‘সেপারেশন ফেন্স’-এর দিকে কেউ পা বাড়াচ্ছে মানেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো যায়। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই আঘাত এতটাই সাঙ্ঘাতিক, যা সারাজীবনের জন্য এঁদের পঙ্গু করে দেবে।